Power and Energry

Integrated Energy and Power Master Plan (IEPMP) 2023 হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, যার মাধ্যমে ২০৫০ সাল পর্যন্ত দেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কাঠামো উন্নয়ন, সরবরাহ নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং কার্বন নির্গমন হ্রাস নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিচে IEPMP 2023-এ অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরা হলো:


মূল লক্ষ্যসমূহ:

  1. নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা

  2. জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা (Energy Security)

  3. নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো

  4. কার্বন নিঃসরণ ধীরে ধীরে হ্রাস করা (Low-carbon Transition)

  5. বেসরকারি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ

  6. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে মিল রেখে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সম্প্রসারণ


🔋 বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নির্ধারিত পরিকল্পনা:

১. ⚡ বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা (2050 পর্যন্ত):

  • ২০৩০ সাল: ৪০,০০০ মেগাওয়াট

  • ২০৪১ সাল: ৬০,০০০ মেগাওয়াট

  • ২০৫০ সাল: ৮৫,০০০ মেগাওয়াট

  • যেখানে নবায়নযোগ্য শক্তির অংশ থাকবে ৩০% পর্যন্ত


২. 🌞 নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসার:

  • ২০৫০ সালের মধ্যে ৩০–৪০% বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য

  • সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি, বায়োমাস, হাইড্রো ও হাইব্রিড প্রযুক্তি প্রসারের ওপর গুরুত্ব

  • Floating solar, rooftop solar প্রজেক্ট উন্নয়ন


৩. 🛢️ প্রাকৃতিক গ্যাস ও LNG ব্যবস্থাপনা:

  • এলএনজি (LNG) আমদানির সক্ষমতা বৃদ্ধি

  • নতুন গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানো

  • ২০৫০ সালের পর প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে হাইড্রোজেন ও নবায়নযোগ্য শক্তিতে স্থানান্তর


৪. 🚗 বিদ্যুৎচালিত যানবাহন (EV):

  • E-Mobility প্রসারে জাতীয় নীতিমালা

  • EV চার্জিং স্টেশন স্থাপন

  • ডিজেলচালিত পরিবহনের বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের প্রসার


৫. 🏭 কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ:

  • কম-কার্বন নীতিমালা গ্রহণ

  • বিদ্যুৎকেন্দ্রে Clean Coal Technology ব্যবহার

  • Net Zero Emission লক্ষ্যে কাজ শুরু (বিশেষ করে ২০৭০ সালের মধ্যে)


৬. 💡 Smart Grid ও Modernization:

  • বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় Smart Grid প্রযুক্তির ব্যবহার

  • Pre-paid ও Smart Metering সিস্টেম চালু ও বিস্তার


৭. 🤝 বেসরকারি খাত ও বৈদেশিক বিনিয়োগ:

  • IPP (Independent Power Producers) অংশগ্রহণ

  • Energy efficiency projects–এ বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ


📝 সারসংক্ষেপ:

IEPMP 2023 বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী পরিকল্পনা যা:

  • বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে

  • নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার ঘটাবে

  • কার্বনমুক্ত ভবিষ্যতের ভিত্তি রচনা করবে

  • স্মার্ট প্রযুক্তি ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় অগ্রসর করবে

***************************

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০”–এর আওতায় স্বাক্ষরিত সব চুক্তি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

🔍 কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?

  • চুক্তি পর্যালোচনার জন্য ৫ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে

  • এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্ট বিচারপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম চৌধুরী

  • কমিটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২০১০ সালের বিশেষ আইনের অধীনে করা সব চুক্তি যাচাই-বাছাই করবে


⚖️ “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০” কী?

  • ২০১০ সালে তৎকালীন সরকার বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে চুক্তি করতে এই আইন প্রণয়ন করে

  • এই আইনে সরকারি ক্রয় বিধি এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া এড়িয়ে সরাসরি চুক্তি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল

  • এ আইন অনুযায়ী চুক্তির বিষয়ে আইনগত দায়মুক্তি দেওয়া হয়, অর্থাৎ কোনো আদালতে মামলা করা যায় না


❗ কেন পর্যালোচনা জরুরি মনে করা হচ্ছে?

  • অনেক চুক্তি দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কেনার বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে

  • একাধিক প্রতিষ্ঠানকে কাজ না করেও ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে

  • বিভিন্ন পক্ষের অভিযোগ: দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বচ্ছতার অভাব

  • ২০২৩ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে অতিরিক্ত চুক্তি করা হয়েছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ গ্রহণ না করেও টাকা দিতে হচ্ছে

****************

Air Quality

সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আইকিউ এআর বাতাসের গুণগতমান পর্যবেক্ষণ করে।
ইনডেক্স ১৫০ এর বেশি হলে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। ইন্ডেক্স ৩০০ এর উপরে গেলে সেটাকে দুর্যোগপূর্ণ / hazardous হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজ সকালে ঢাকার স্কোর ছিল ৩৩৫।
ঢাকা > লাহোর > দিল্লি।

কারনঃ –
যানবাহন, কলকারখানা, ইট ভাটা, নির্মাণ কাজের ধুলাবালি

****************

বাংলাদেশের বর্তমান জ্বালানি সংকট:

বর্তমানে জ্বালানি সংকটের মূল কারণ হলো ডলার সংকট।
দেশের ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৬০ শতাংশই আমদানিকৃত।
দেশে জ্বালানি ব্যবহারের দুটি বড়খাত হলো বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহন।
যানবাহনকে ইলেকট্রিক গাড়িতে প্রতিস্থাপন করতে পারলে খরচ এবং বায়ু দূষণ কমবে।
গরমকাল গ্যাস থেকে আমরা প্রায় সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি এর জন্য প্রায় ২৩ ০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হয়।
তেল দিয়ে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করি।

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তাবনা
-গ্যাসের পরে সবচেয়ে কম খরচ হল কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সেক্ষেত্রে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো সার্বক্ষণিক চালু রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে

-চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো বাদ দিতে হবে.
অথবা ক্যাপাসিটি সার্জের পরিবর্তে নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট নীতিতে চুক্তি করা যেতে পারে

-দোকানপাট মার্কেট রাত আটটার পরে বন্ধ করার নীতি আরো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
-সকালে অফিস এর সময় আরো একঘন্টা এগিয়ে আনা যেতে পারে। প্রয়োজনে গ্রীষ্মের ওষুধ খেলে ভিন্ন অফিস সময় প্রবর্তন করা যেতে পারে। এমনকি স্ট্যাগার্ড করেও দেওয়া যেতে পারে।
–নিউক্লিয়ার ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের সমন্বয়ে গ্রিন এনার্জি দিকে যেতে হবে।
-গ্রিডের সক্ষমতা বাড়াতে হবে স্মার্ট গ্রিড গড়ে তুলতে হবে।

********************

Energy Transition (এনার্জি ট্রানজিশন) বলতে বোঝানো হয়—

👉 জীবাশ্ম জ্বালানি (যেমন: কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস) নির্ভরতা কমিয়ে
👉 নবায়নযোগ্য জ্বালানি (যেমন: সৌর, বায়ু, জলবিদ্যুৎ, জিওথার্মাল, বায়োমাস) ব্যবহারের দিকে ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া।


🔍 মূল উদ্দেশ্য:

  • কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমানো

  • পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা

  • জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশেষ করে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে।


🌱 উদাহরণ:

  • সৌর প্যানেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন

  • বৈদ্যুতিক গাড়ি (EV) চালু করা

  • গ্রিডে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ বাড়ানো


📌 বাংলাদেশ প্রসঙ্গে:

  • ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে

  • সোলার হোম সিস্টেম, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প, ও অফগ্রিড বিদ্যুৎ উৎপাদন এর অংশ