Science

সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (Social Engineering) হলো এমন এক ধরনের প্রতারণা বা ছলচাতুরীর কৌশল, যার মাধ্যমে মানুষকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করে গোপন বা সংবেদনশীল তথ্য বের করে আনা হয়।


🔍 মূল ধারণা:

সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়াররা মানুষের আস্থার সুযোগ নিয়ে তাদের কাছ থেকে এমন কাজ করিয়ে নেয় বা তথ্য জেনে নেয়, যা তারা সাধারণত কাউকে বলতেন না।


📌 সাধারণ কৌশলগুলো:

  1. Pretexting (ভান করা)
    বিশ্বাসযোগ্য মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তথ্য বের করা
    উদাহরণ: নিজেকে ব্যাংক অফিসার বা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ফোন করা।
  2. Phishing (ফিশিং)
    ইমেইল, মেসেজ বা লিংকের মাধ্যমে প্রতারণা করা
    উদাহরণ: “আপনার একাউন্টে সমস্যা হয়েছে, এখানে ক্লিক করুন” ধরনের ইমেইল।
  3. Impersonation (ছদ্মবেশ ধারণ)
    অন্য কারও পরিচয় ধারণ করে কাজ করানো
    উদাহরণ: আইটি কর্মী সেজে অফিসে প্রবেশ করা।
  4. Baiting (লোভ দেখানো)
    কিছু আকর্ষণীয় দেখিয়ে কৌতূহল তৈরি করে ফাঁদে ফেলা
    উদাহরণ: ফ্রি মুভি/সফটওয়্যার ডাউনলোড লিংকে ভাইরাস ঢুকানো।
  5. Tailgating (পিছনে ঢুকে পড়া)
    নিরাপদ স্থানে প্রবেশের জন্য কারো সাথে সাথে ঢুকে পড়া
    উদাহরণ: পরিচয় না দেখিয়ে অফিসে ঢুকে পড়া।

🎯 উদ্দেশ্য:

  • পাসওয়ার্ড চুরি
  • ব্যাংক একাউন্টের তথ্য নেওয়া
  • সংস্থার ভিতরের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া
  • নেটওয়ার্কে প্রবেশের পথ খোঁজা

🛡️ প্রতিকার:

  • অপরিচিত ইমেইল ও লিংকে ক্লিক না করা
  • ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে না দেয়া
  • অফিসে পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ঢুকতে না দেয়া
  • নিয়মিত নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা

সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং একধরনের মানবকেন্দ্রিক সাইবার হুমকি, যেখানে মানুষের মনোজগতই মূল লক্ষ্য।

******************

Science, Engineering, এবং Technology—এই তিনটি ক্ষেত্র একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত হলেও এদের মাঝে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। নিচে তা সহজভাবে তুলে ধরা হলো:


🔬 Science (বিজ্ঞান)

উদ্দেশ্য: প্রাকৃতিক জগৎ ও ঘটনাকে বোঝা।
কাজ:

  • পর্যবেক্ষণ

  • পরীক্ষা-নিরীক্ষা

  • তত্ত্ব গঠন

  • ব্যাখ্যা প্রদান

উদাহরণ:

  • নিউটনের গতিসূত্র আবিষ্কার

  • পানির রাসায়নিক গঠন (H₂O)


🛠️ Engineering (প্রকৌশল)

উদ্দেশ্য: বিজ্ঞানের জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করা বা কিছু তৈরি করা।
কাজ:

  • ডিজাইন করা

  • গঠন ও নির্মাণ

  • প্রয়োগে উপযোগী সমাধান বের করা

উদাহরণ:

  • ব্রিজ বা বিল্ডিং ডিজাইন করা

  • রকেট ইঞ্জিন তৈরি করা


💡 Technology (প্রযুক্তি)

উদ্দেশ্য: মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহারের উপযোগী যন্ত্র, পদ্ধতি বা সিস্টেম তৈরি করা।
কাজ:

  • নতুন যন্ত্রপাতি বা সফটওয়্যার তৈরি

  • বিদ্যমান প্রযুক্তিকে উন্নত করা

  • মানুষের দৈনন্দিন জীবন সহজ করা

উদাহরণ:

  • স্মার্টফোন

  • ইন্টারনেট

  • মোবাইল অ্যাপ


🧾 তুলনামূলক টেবিল:

দিক Science (বিজ্ঞান) Engineering (প্রকৌশল) Technology (প্রযুক্তি)
উদ্দেশ্য বোঝা সমাধান বের করা ব্যবহার উপযোগী কিছু তৈরি করা
ভিত্তি তত্ত্ব ও গবেষণা বিজ্ঞানের প্রয়োগ প্রকৌশলের বাস্তব রূপ
ফলাফল জ্ঞান ডিজাইন/মডেল যন্ত্র/প্রযুক্তি
উদাহরণ মহাকর্ষের সূত্র ব্রিজ নির্মাণ গুগল ম্যাপ, মোবাইল, ল্যাপটপ

একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে বোঝানো:

বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন যে পোলিও রোগের জন্য একটি ভাইরাস দায়ী
প্রকৌশলীরা সেই ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরি করলেন
প্রযুক্তিবিদরা সেই ভ্যাকসিনটি সংরক্ষণ ও পরিবহন উপযোগী প্রযুক্তি তৈরি করলেন

Project Management

LC Margin কী?

  • এটি একটি অগ্রিম জামানত, যা আমদানিকারক ব্যাংকে জমা রাখে এলসি খোলার জন্য।

  • সাধারণত পণ্যের মূল্যের ৩০%-৮০% পর্যন্ত হয়ে থাকে।

  • এর মাধ্যমে ব্যাংক নিজেকে রক্ষা করে আমদানিকারকের ব্যর্থতার বিপরীতে।


Erection All Risk (EAR) Insurance

এটি এমন একটি ইন্স্যুরেন্স যা যন্ত্রপাতি স্থাপন, সংযোগ ও কমিশনিং পর্বে সম্ভাব্য ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।

কভার করে:

  • প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি (আগুন, বন্যা, ঝড় ইত্যাদি)

  • চুরি, দুর্ঘটনা

  • তৃতীয় পক্ষের ক্ষতি

  • প্রকল্পে বিলম্ব এবং সম্ভাব্য লাভ ক্ষতি

Structure and Transport

ঢাকার যানজট নিরসনের এখনই সুযোগ – করণীয় সংক্ষেপে

ঢাকার যানজট শুধু নাগরিকদের ভোগান্তি নয়, বরং অর্থনৈতিক ক্ষতিরও বড় কারণ। এর পেছনে মূল কারণ হলো ব্যক্তিগত গাড়ির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং অনুন্নত গণপরিবহনব্যবস্থা।


🔑 মূল সমস্যা:

  • একটি বাসে যেখানে ৪০–৫০ জন যাত্রী পরিবহন হয়, সেখানে একই পরিমাণ রাস্তা দখল করে ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করে মাত্র ৪–৫ জন।

  • গণপরিবহনের মান খারাপ হওয়ায় মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির দিকেই ঝুঁকছে।

  • উন্নয়ন প্রকল্পগুলো (উড়ালসড়ক, মেট্রোরেল ইত্যাদি) গণপরিবহন ভিত্তিক না হয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির সুবিধার দিকে বেশি ঝুঁকে গেছে।

  • ২০০৭ সালে যানবাহনের গড় গতিবেগ ছিল ২১ কিমি/ঘণ্টা, বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৪.৮ কিমি/ঘণ্টায় (২০২২)।


যা করণীয়:

  1. ভালো মানের বাস চালু:

    • শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, আরামদায়ক, নিরাপদ বাস চালু করতে হবে।

    • রংচটা, পুরাতন বাসগুলো বন্ধ করতে হবে।

  2. বাস কোম্পানিভিত্তিক চালনা:

    • ব্যক্তি মালিকানার চুক্তিভিত্তিক বাস চালনার বদলে কোম্পানিভিত্তিক একক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।

    • এতে বাসের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, যত্রতত্র থামা বন্ধ হবে।

  3. ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিরুৎসাহিত:

    • গাড়ির নিবন্ধন, পার্কিং ও জ্বালানি খরচ বাড়িয়ে সীমিত করতে হবে।

    • নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা যেতে পারে।

  4. গণপরিবহনভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়ন:

    • শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য অবকাঠামো নির্মাণ না করে গণপরিবহন রুট ও ফিডার লাইন বাড়ানো।

✅ 5. ধীরগতির যানবাহন নিয়ন্ত্রণ:

  • ঢাকার প্রধান সড়কে রিকশার মতো ধীরগতির যানবাহন নিষিদ্ধ করতে হবে।
  • অলিগলি বা নির্দিষ্ট এলাকায় রিকশা চলতে পারে, তবে প্রধান রাস্তায় নয়।

 

✅ 6. সব বাস এক কোম্পানির আওতায়:

  • বর্তমানে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাসের কারণে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
  • সমাধান: সব বাসকে একটি বা কয়েকটি কোম্পানির অধীনে এনে নির্দিষ্ট রুটে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করতে হবে।

✅ 7. ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিবহন শৃঙ্খলা:

  • ট্রাফিক সিগন্যাল চালু ও মানতে বাধ্য করা।
  • মোড়ের ৫০–১০০ মিটারের মধ্যে কোনো যান থামানো বা পার্কিং নিষিদ্ধ করতে হবে।
  • বাস থামার নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করতে হবে।
  • বাসগুলো পেছন পেছন থামবে, পাশাপাশি নয়।
  • ভ্রাম্যমাণ ট্রাফিক মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।

✅ ৪. আলাদা বাস লেন:

  • বিদ্যমান রাস্তার মধ্যে বিভাজক দিয়ে বাসের জন্য পৃথক লেন চালু করা।
  • এতে বাস চলাচল দ্রুত ও সময়মতো নিশ্চিত হবে।

***********************

Power and Energry

Integrated Energy and Power Master Plan (IEPMP) 2023 হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, যার মাধ্যমে ২০৫০ সাল পর্যন্ত দেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কাঠামো উন্নয়ন, সরবরাহ নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং কার্বন নির্গমন হ্রাস নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিচে IEPMP 2023-এ অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরা হলো:


মূল লক্ষ্যসমূহ:

  1. নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা

  2. জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা (Energy Security)

  3. নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো

  4. কার্বন নিঃসরণ ধীরে ধীরে হ্রাস করা (Low-carbon Transition)

  5. বেসরকারি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ

  6. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে মিল রেখে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সম্প্রসারণ


🔋 বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নির্ধারিত পরিকল্পনা:

১. ⚡ বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা (2050 পর্যন্ত):

  • ২০৩০ সাল: ৪০,০০০ মেগাওয়াট

  • ২০৪১ সাল: ৬০,০০০ মেগাওয়াট

  • ২০৫০ সাল: ৮৫,০০০ মেগাওয়াট

  • যেখানে নবায়নযোগ্য শক্তির অংশ থাকবে ৩০% পর্যন্ত


২. 🌞 নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসার:

  • ২০৫০ সালের মধ্যে ৩০–৪০% বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য

  • সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি, বায়োমাস, হাইড্রো ও হাইব্রিড প্রযুক্তি প্রসারের ওপর গুরুত্ব

  • Floating solar, rooftop solar প্রজেক্ট উন্নয়ন


৩. 🛢️ প্রাকৃতিক গ্যাস ও LNG ব্যবস্থাপনা:

  • এলএনজি (LNG) আমদানির সক্ষমতা বৃদ্ধি

  • নতুন গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানো

  • ২০৫০ সালের পর প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে হাইড্রোজেন ও নবায়নযোগ্য শক্তিতে স্থানান্তর


৪. 🚗 বিদ্যুৎচালিত যানবাহন (EV):

  • E-Mobility প্রসারে জাতীয় নীতিমালা

  • EV চার্জিং স্টেশন স্থাপন

  • ডিজেলচালিত পরিবহনের বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের প্রসার


৫. 🏭 কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ:

  • কম-কার্বন নীতিমালা গ্রহণ

  • বিদ্যুৎকেন্দ্রে Clean Coal Technology ব্যবহার

  • Net Zero Emission লক্ষ্যে কাজ শুরু (বিশেষ করে ২০৭০ সালের মধ্যে)


৬. 💡 Smart Grid ও Modernization:

  • বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় Smart Grid প্রযুক্তির ব্যবহার

  • Pre-paid ও Smart Metering সিস্টেম চালু ও বিস্তার


৭. 🤝 বেসরকারি খাত ও বৈদেশিক বিনিয়োগ:

  • IPP (Independent Power Producers) অংশগ্রহণ

  • Energy efficiency projects–এ বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ


📝 সারসংক্ষেপ:

IEPMP 2023 বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী পরিকল্পনা যা:

  • বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে

  • নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার ঘটাবে

  • কার্বনমুক্ত ভবিষ্যতের ভিত্তি রচনা করবে

  • স্মার্ট প্রযুক্তি ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় অগ্রসর করবে

***************************

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০”–এর আওতায় স্বাক্ষরিত সব চুক্তি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

🔍 কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?

  • চুক্তি পর্যালোচনার জন্য ৫ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে

  • এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্ট বিচারপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম চৌধুরী

  • কমিটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২০১০ সালের বিশেষ আইনের অধীনে করা সব চুক্তি যাচাই-বাছাই করবে


⚖️ “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০” কী?

  • ২০১০ সালে তৎকালীন সরকার বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে চুক্তি করতে এই আইন প্রণয়ন করে

  • এই আইনে সরকারি ক্রয় বিধি এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া এড়িয়ে সরাসরি চুক্তি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল

  • এ আইন অনুযায়ী চুক্তির বিষয়ে আইনগত দায়মুক্তি দেওয়া হয়, অর্থাৎ কোনো আদালতে মামলা করা যায় না


❗ কেন পর্যালোচনা জরুরি মনে করা হচ্ছে?

  • অনেক চুক্তি দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কেনার বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে

  • একাধিক প্রতিষ্ঠানকে কাজ না করেও ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে

  • বিভিন্ন পক্ষের অভিযোগ: দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বচ্ছতার অভাব

  • ২০২৩ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে অতিরিক্ত চুক্তি করা হয়েছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ গ্রহণ না করেও টাকা দিতে হচ্ছে

****************

Air Quality

সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আইকিউ এআর বাতাসের গুণগতমান পর্যবেক্ষণ করে।
ইনডেক্স ১৫০ এর বেশি হলে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। ইন্ডেক্স ৩০০ এর উপরে গেলে সেটাকে দুর্যোগপূর্ণ / hazardous হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজ সকালে ঢাকার স্কোর ছিল ৩৩৫।
ঢাকা > লাহোর > দিল্লি।

কারনঃ –
যানবাহন, কলকারখানা, ইট ভাটা, নির্মাণ কাজের ধুলাবালি

****************

বাংলাদেশের বর্তমান জ্বালানি সংকট:

বর্তমানে জ্বালানি সংকটের মূল কারণ হলো ডলার সংকট।
দেশের ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৬০ শতাংশই আমদানিকৃত।
দেশে জ্বালানি ব্যবহারের দুটি বড়খাত হলো বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহন।
যানবাহনকে ইলেকট্রিক গাড়িতে প্রতিস্থাপন করতে পারলে খরচ এবং বায়ু দূষণ কমবে।
গরমকাল গ্যাস থেকে আমরা প্রায় সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি এর জন্য প্রায় ২৩ ০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হয়।
তেল দিয়ে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করি।

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তাবনা
-গ্যাসের পরে সবচেয়ে কম খরচ হল কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সেক্ষেত্রে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো সার্বক্ষণিক চালু রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে

-চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো বাদ দিতে হবে.
অথবা ক্যাপাসিটি সার্জের পরিবর্তে নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট নীতিতে চুক্তি করা যেতে পারে

-দোকানপাট মার্কেট রাত আটটার পরে বন্ধ করার নীতি আরো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
-সকালে অফিস এর সময় আরো একঘন্টা এগিয়ে আনা যেতে পারে। প্রয়োজনে গ্রীষ্মের ওষুধ খেলে ভিন্ন অফিস সময় প্রবর্তন করা যেতে পারে। এমনকি স্ট্যাগার্ড করেও দেওয়া যেতে পারে।
–নিউক্লিয়ার ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের সমন্বয়ে গ্রিন এনার্জি দিকে যেতে হবে।
-গ্রিডের সক্ষমতা বাড়াতে হবে স্মার্ট গ্রিড গড়ে তুলতে হবে।

********************

Energy Transition (এনার্জি ট্রানজিশন) বলতে বোঝানো হয়—

👉 জীবাশ্ম জ্বালানি (যেমন: কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস) নির্ভরতা কমিয়ে
👉 নবায়নযোগ্য জ্বালানি (যেমন: সৌর, বায়ু, জলবিদ্যুৎ, জিওথার্মাল, বায়োমাস) ব্যবহারের দিকে ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া।


🔍 মূল উদ্দেশ্য:

  • কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমানো

  • পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা

  • জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশেষ করে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে।


🌱 উদাহরণ:

  • সৌর প্যানেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন

  • বৈদ্যুতিক গাড়ি (EV) চালু করা

  • গ্রিডে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ বাড়ানো


📌 বাংলাদেশ প্রসঙ্গে:

  • ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে

  • সোলার হোম সিস্টেম, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প, ও অফগ্রিড বিদ্যুৎ উৎপাদন এর অংশ

Water and Environment

জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ সনদ, ১৯৯৭

(আসল নাম: Convention on the Law of the Non-Navigational Uses of International Watercourses)

  • এটি আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য ও যুক্তিসংগত ব্যবহার, পরিবেশ সংরক্ষণ, এবং অন্য দেশের ক্ষতি না করা– এমন কিছু মূলনীতি নির্ধারণ করে।

  • ভাটির দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় এটি কার্যকর রক্ষাকবচ, কারণ এটি বলছে—
    🔹 সব দেশ পানি ভাগ করবে ন্যায্যতা ও যৌক্তিকতার ভিত্তিতে,
    🔹 নদীর বাস্তুতন্ত্রের প্রয়োজনীয় পানিও সংরক্ষিত রাখতে হবে,
    🔹 কোনো দেশ এমন ব্যবহার করতে পারবে না যাতে ভাটির দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

➡️ দুঃখজনকভাবে, বাংলাদেশ এখনো এটি অনুসমর্থন (ratify) করেনি।

********************

২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন এবং সেই সফরের সময় তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। বাংলাদেশে তখন আশাবাদী পরিবেশ তৈরি হয়েছিল যে বহু প্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তি এবার স্বাক্ষরিত হবে।

কিন্তু কী ঘটে?

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ মুহূর্তে সফরে না এসে চুক্তির বিরোধিতা করেন।
তিনি দাবি করেন—
🔸 পশ্চিমবঙ্গে নিজেই পানির সংকট রয়েছে।
🔸 তিস্তা থেকে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিলে রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ফলে:

  • চুক্তিটি বাতিল হয় বা স্থগিত থাকে

  • মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় তিস্তার চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়ায় বাংলাদেশে হতাশা তৈরি হয়

  • বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়।

**********************

বন্যা সতর্কতা ও পানি পর্যবেক্ষণ:

  • পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার এর মধ্যে পৌঁছালে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়।

  • বিপদসীমা অতিক্রম করলে তা বন্যা হিসেবে গণ্য হয়।

  • বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কতা ব্যবস্থার বড় অংশ নির্ভর করে উজান থেকে ভারতের নদীর পানির আগমন ও তথ্য বিনিময়ের উপর।

*************************

Air Quality

সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আইকিউ এআর বাতাসের গুণগতমান পর্যবেক্ষণ করে।
ইনডেক্স ১৫০ এর বেশি হলে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। ইন্ডেক্স ৩০০ এর উপরে গেলে সেটাকে দুর্যোগপূর্ণ / hazardous হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজ সকালে ঢাকার স্কোর ছিল ৩৩৫।
ঢাকা > লাহোর > দিল্লি।

কারনঃ –
যানবাহন, কলকারখানা, ইট ভাটা, নির্মাণ কাজের ধুলাবালি

************************************************************

Water Rights এবং Water Justice– এই দুটি ধারণা সম্পর্কিত হলেও ভিন্ন। নিচে সহজভাবে পার্থক্যটি তুলে ধরা হলো:


🟦 Water Rights (জলাধিকার)

🔸 অর্থ:
জলাধিকার হলো ব্যক্তির, গোষ্ঠীর বা দেশের আইনগত বা নৈতিক অধিকার যাতে তারা পানি ব্যবহার করতে পারে।

🔸 বৈশিষ্ট্য:

  • এটি আইনি ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।
  • জমির মালিকানা, ঐতিহাসিক ব্যবহার, অবস্থান ইত্যাদির ভিত্তিতে পানির অধিকার নির্ধারিত হয়।
  • এটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দকৃত পানি ব্যবহারের অনুমতি বোঝায়।

🔸 উদাহরণ:

  • একজন কৃষক তার জমির পাশের খাল থেকে সেচের জন্য পানি তোলার অধিকার রাখেন।
  • একটি দেশ আন্তর্জাতিক নদী থেকে পানি তোলার অধিকার দাবি করে।

🟩 Water Justice (জলবিচার/পানির ন্যায়বিচার)

🔸 অর্থ:
জলবিচার হলো সবার জন্য ন্যায্য, টেকসই ও নিরাপদ পানির প্রাপ্তি নিশ্চিত করা

🔸 বৈশিষ্ট্য:

  • এটি নৈতিকতা ও সমতার ওপর ভিত্তি করে।
  • সমাজে পানি বণ্টনের বৈষম্য দূর করার কথা বলে।
  • পানি ব্যবহারে দারিদ্র্যপীড়িত, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন বঞ্চিত না হয়, তা নিশ্চিত করে।

🔸 উদাহরণ:

  • শহরের দরিদ্র এলাকায় নিরাপদ পানির সংযোগ দেওয়া।
  • আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পানি প্রবেশাধিকার রক্ষা।

📌 পার্থক্য সারাংশে:

দিক Water Rights (জলাধিকার) Water Justice (জলবিচার)
ভিত্তি আইনগত বা ঐতিহাসিক অধিকার নৈতিকতা, সমতা ও মানবাধিকার
ফোকাস ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধিকার সবার ন্যায্য পানি প্রাপ্তি
লক্ষ্য নির্দিষ্ট অধিকার রক্ষা সামাজিক ও পরিবেশগত ন্যায্যতা নিশ্চিত
দৃষ্টিভঙ্গি স্বত্বাধিকার-ভিত্তিক (ownership-based) অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি

Water Rights বলছে “আমি পানি পাওয়ার অধিকার রাখি”, আর Water Justice বলছে “সবাই যেন ন্যায্যভাবে পানি পায়”।
এজন্য একটি টেকসই ও ন্যায়ভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনায় দুইটি ধারণাই গুরুত্বপূর্ণ।

***************
***************

ফারাক্কা বাঁধ: একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ভারতের একটি বৃহৎ বাঁধ, যা বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কলকাতা বন্দরের নৌচলাচল বজায় রাখা ও পলি অপসারণ ছিল এর মূল উদ্দেশ্য। তবে বাঁধটির বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশসহ বিহার ও পশ্চিমবঙ্গেও পড়েছে।


প্রভাব বিশ্লেষণ:

১. বিহার:

  • নদীতে পলি জমার ফলে বন্যার প্রকোপ বেড়েছে।

  • নদীতীরবর্তী এলাকায় ভূমি ধস ও বাস্তুচ্যুতি হয়েছে।

২. পশ্চিমবঙ্গ:

  • কৃষি ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়ক।

  • কলকাতা শহরের পানির সরবরাহে অবদান রাখে।

  • তবে অতিরিক্ত পলি অপসারণ করতে না পারায় সমস্যাও রয়ে গেছে।

৩. বাংলাদেশ:

  • গঙ্গার পানি প্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে লবণাক্ততা বেড়েছে।

  • হিলসা মাছের প্রজনন ব্যাহত ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।

  • নৌচলাচল ও কৃষিকাজ ব্যাহত হয়।


সমাধানের দিক:

  • কূটনৈতিক আলোচনা: ১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও বাস্তবায়নের জোরালো পদক্ষেপ।

  • পরিবেশগত পুনরুদ্ধার: বনায়ন, জলাভূমি সংরক্ষণ ও নদী খনন।

  • বিকল্প পানির উৎস: জলাশয়, খাল, ও প্রযুক্তিনির্ভর পানির ব্যবহার।

  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে চুক্তি পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগ।

***************
***************

ড্যাপ (বিসদ অঞ্চল পরিকল্পনা) ২০২২–২০৩৫ সম্পর্কে সংক্ষেপে বিবরণ:


📌 ড্যাপ কী?

ড্যাপ বা “বিসদ অঞ্চল পরিকল্পনা” (Detailed Area Plan) হচ্ছে রাজউকের অধীন ঢাকার উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ। এটি ২০২২–২০৩৫ সময়কাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে।

এটির আওতায় ঢাকা মহানগর ও আশপাশের ১,৫০০ বর্গকিমি এলাকা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।


🎯 ড্যাপের উদ্দেশ্য:

  • ঢাকাকে একটি পরিকল্পিত, বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব নগরীতে রূপান্তর করা।
  • ভবন নির্মাণের জন্য ফ্লোর এরিয়া রেশিও (FAR) নির্ধারণ করা।
  • জলপথ, সবুজ এলাকা ও নাগরিক সুবিধার সমন্বিত উন্নয়ন।

⚖️ বিতর্ক ও সমালোচনা:

⚠️ বৈষম্য:

  • পরিকল্পিত ও অপরিকল্পিত এলাকাভেদে FAR নির্ধারণে বৈষম্য রয়েছে
  • গুলশান, বনানী, ধানমন্ডির মতো এলাকায় FAR বেশি হলেও মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মালিবাগ, শান্তিবাগ, বাড্ডা প্রভৃতি এলাকায় FAR অনেক কম।
  • এতে সাধারণ জমির মালিক, ফ্ল্যাট ক্রেতা-বিক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

💸 আবাসন খাতে প্রভাব:

  • জমির মালিকরা ভবন নির্মাণে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
  • নতুন প্রকল্প কমে গেছে।
  • ভবিষ্যতে ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা

🏗️ রিয়েল এস্টেট খাতের দাবি (রিহ্যাব):

  • ড্যাপ বাতিল বা সংশোধনের দাবি।
  • FAR বাড়ানো, রাস্তার প্রস্থ কমপক্ষে ২০ ফুট করার প্রস্তাব।
  • ওকুপেন্সি সনদ ও অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার প্রস্তাব।

🧱 FAR ও ভবন নির্মাণে প্রভাবের উদাহরণ:

📍 মোহাম্মদপুর (ওয়ার্ড ৩১):

  • বর্তমান ড্যাপে ৫ কাঠা জমিতে ভবনের আয়তন: ৮,২৮০ বর্গফুট (৯–১০ ফ্ল্যাট)
  • রিহ্যাবের প্রস্তাব অনুযায়ী ভবনের আয়তন হবে: ১৪,৫৪৪ বর্গফুট (১৪–১৫ ফ্ল্যাট)

📍 মিরপুর ১০ ও ১১:

  • বর্তমানে ৩ কাঠা জমিতে ভবনের আয়তন: ৪,৮৬০ বর্গফুট
  • রিহ্যাবের প্রস্তাব অনুযায়ী তা হবে: ৮,১০০ বর্গফুট (৪টি ফ্ল্যাট বেশি)

🌊 পরিবেশ ও নাগরিক সুবিধা:

  • ৫৪৭ কিমি জলপথকে “নগর জীবনরেখা” হিসেবে সাজানোর পরিকল্পনা।
  • প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে আঞ্চলিক পার্ক।
  • ৬২৭টি বিদ্যালয় ও ২৮৭টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রস্তাব।

🧑‍🎓 বিশেষজ্ঞ মত:

  • সংবেদনশীল ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় বেশি FAR দিলে অবকাঠামোর ওপর চাপ বাড়বে।
  • সংকীর্ণ রাস্তা, অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ও সামাজিক সুবিধা থাকলে সুউচ্চ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

সারাংশে ড্যাপের চ্যালেঞ্জ:

চ্যালেঞ্জ বিস্তারিত
বৈষম্য এলাকা ভিত্তিক FAR-এর অসম বণ্টন
অস্পষ্টতা অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের সুযোগ
আর্থিক প্রভাব ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধি, আবাসন খাত ক্ষতিগ্রস্ত
পরিবেশ জলাশয় ও খাল ভরাটের ঝুঁকি

🔧 সমাধানের পথ (রিহ্যাব ও অন্যান্য প্রস্তাব):

  • ড্যাপ সংশোধন ও FAR বৃদ্ধি করা।
  • অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করা।
  • শহরকে পরিকল্পিতভাবে পরিবেশবান্ধবভাবে গড়ে তোলা।

**************************
**************************

 

 

ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা: সমস্যা, কারণ ও সমাধান


📌 পরিচিতি:

ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা একটি দীর্ঘস্থায়ী ও প্রকট সমস্যা, যা বর্ষাকালে নগরবাসীর জীবনযাত্রা, যাতায়াত, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।


⚠️ জলাবদ্ধতার প্রধান কারণসমূহ:

১. অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও জলাশয় ভরাট:

  • গত ৯ বছরে ৩,৪৮৩ একর জলাশয় ও নিচু জমি ভরাট হয়েছে।

  • ১৯২৪ সালে পুরান ঢাকায় ১২০টি পুকুর থাকলেও এখন মাত্র ২০টি রয়েছে।

  • খালের সংখ্যা ২২টিতে এসে ঠেকেছে; এগুলোর অধিকাংশই সংকুচিত ও কার্যত মৃত।

২. অবৈধ দখল ও খাল-নালার সংকোচন:

  • খাল ও নদী (যেমন বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা) দখল ও দূষণের শিকার।

  • ড্রেন ও নালায় পলিথিন, প্লাস্টিকসহ কঠিন বর্জ্য জমে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

৩. অকার্যকর ও অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা:

  • ঢাকার ড্রেনেজ পরিচালনায় ৭টি সংস্থা থাকলেও সমন্বয়হীনতা প্রকট

  • ওয়াসার ৮০% যন্ত্র বিকল, ৫৫টি স্লুইসগেটের মধ্যে ৩৭টি অচল।

  • গুরুত্বপূর্ণ পাম্পস্টেশন (যেমন কল্যাণপুর) জলাধার সংকোচনের কারণে অকার্যকর।

৪. অপরিকল্পিত নির্মাণ ও অসমতল ভূমি:

  • ঢাকার অনেক স্থানে উচ্চ থেকে নিচু এলাকায় পানি গড়িয়ে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।

  • ড্রেন নির্মাণে তলদেশ সমান না থাকায় পানি জমে থাকে।

  • শহরে মাত্র ১৮% উন্মুক্ত স্থান রয়েছে, যা আদর্শ মান (৪০%) থেকে অনেক কম।

৫. জনসচেতনতার অভাব:

  • মানুষ নালা ও রাস্তায় ময়লা ফেলে পানির প্রবাহ ব্যাহত করে।

  • বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি অসচেতনতা সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে।

৬. জলবায়ু পরিবর্তন ও অতিবৃষ্টি:

  • বৃষ্টিপাতের হার বেড়েছে। যেমন, ২০২১ সালে একদিনে ১৩৩ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।

  • প্রচণ্ড বৃষ্টিতে বিদ্যমান ড্রেনেজ সিস্টেম অপ্রতুল হয়ে পড়ে।

৭. শিল্প ও যানবাহনের দূষণ:

  • নদী-খালে শিল্পবর্জ্য, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটার দূষণ পানির প্রবাহ ও গুণমান নষ্ট করে।


সমাধানের পথ:

১. খাল, নালা ও জলাশয় পুনরুদ্ধার:

  • অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে প্রাকৃতিক জলাধার পুনঃস্থাপন।

  • সেনাবাহিনী বা বিশেষ টাস্কফোর্স দিয়ে অভিযান পরিচালনার পরামর্শ।

২. ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন:

  • ওয়াসার যন্ত্রপাতি ও স্লুইসগেট সংস্কার।

  • নতুন ড্রেনেজ লাইন ও পাম্পস্টেশন স্থাপন।

  • নালায় বর্জ্য ছাঁকনি (waste trap) বসানো।

৩. সবুজায়ন ও উন্মুক্ত স্থান বৃদ্ধি:

  • শহরের ৪০% এলাকা উন্মুক্ত রাখতে উদ্যোগ।

  • রুফটপ গার্ডেনে ট্যাক্স ছাড়

  • কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু গাছ লাগানোর মতো উদ্যোগ।

৪. জনসচেতনতা বৃদ্ধি:

  • ময়লা নালায় না ফেলার জন্য প্রচারণা।

  • স্কুল, মিডিয়া ও কমিউনিটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া।

৫. সমন্বিত পরিচালনা কাঠামো:

  • ডিএনসিসি, ডিএসসিসি, রাজউক, ওয়াসা প্রভৃতি সংস্থার সমন্বয় বাড়ানো

  • কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (Central Control Room) গঠন।

৬. প্রযুক্তিনির্ভর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা:

  • স্পঞ্জ সিটি মডেল: পারমেবল রাস্তা, রেইন গার্ডেন, জলাধার সংরক্ষণ।

  • জলাবদ্ধতা প্রতিরোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ।

৭. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা:

  • জলবায়ু প্রকল্পে আন্তর্জাতিক অনুদান আহ্বান (যেমন, প্যারিস সামিটে মোহাম্মদ এজাজের প্রস্তাব)।