শিশুর যত্ন

৭ মাস থেকে ১ বছর বয়সী বাচ্চার যত্ন:

৭ মাস থেকে ১ বছর বয়সী বাচ্চার যত্ন নিতে হলে সঠিক খাবার, ঘুম, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং মানসিক বিকাশের দিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর পুষ্টি ও বিকাশের জন্য প্রতিদিনের যত্ন গুরুত্বপূর্ণ।

১. খাদ্য ও পুষ্টি:

✅ বুকের দুধ: ১ বছরের আগ পর্যন্ত বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ প্রধান খাবার হিসেবে চলবে।

✅ সলিড খাবার: ৭ মাস থেকে ১ বছর বয়সে শিশুকে দিনে ২-৩ বার সলিড খাবার দিতে হবে।

✅ খাবারের ধরন: খিচুড়ি, ডাল-ভাত, সেদ্ধ ডিমের কুসুম, শাক-সবজি, ফল (কলা, পেঁপে, আপেল, নাশপাতি), ওটস, সুজি, দই, পনির।

✅ পানি: শিশুকে সেদ্ধ বা ফিল্টার করা পানি দেওয়া উচিত।

✅ নতুন খাবার: নতুন খাবার দিতে গেলে ৩-৪ দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

 

২. ঘুমের রুটিন:

✅ ঘুমের প্রয়োজন: ১ বছর বয়সী শিশুর দিনে ১৩-১৪ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন, যার মধ্যে ১০-১২ ঘণ্টা রাতের ঘুম এবং ২-৩ ঘণ্টা দিনের ঘুম।

✅ ঘুমানোর পরিবেশ: ঘরটি শান্ত, নিরাপদ এবং আরামদায়ক হওয়া উচিত।

✅ রুটিন তৈরি করুন: শিশুর ঘুমের আগে গোসল, গান শোনা বা গল্প বলা অভ্যাসে আনা যেতে পারে।

৩. স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা:

✅ টিকা: শিশুর নিয়মিত টিকা দেওয়া উচিত।

✅ স্বাস্থ্য পরীক্ষা: শিশুর ওজন এবং উচ্চতা ঠিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।

✅ স্বাস্থ্যবিধি: শিশুর হাত-মুখ পরিষ্কার রাখা, নরম ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা।

✅ ঠাণ্ডা-গরম থেকে সুরক্ষা: শিশুকে ঠাণ্ডা বা গরম থেকে সুরক্ষিত রাখুন।

৪. নিরাপত্তা:

✅ ঘরেই নিরাপত্তা: শিশুর কাছে ধারালো জিনিস বা ক্ষতিকর বস্তু না রাখুন, এবং সিঁড়ির কাছে নিরাপত্তা গেট ব্যবহার করুন।

✅ খেলনা নির্বাচন: শিশুদের জন্য নিরাপদ খেলনা নির্বাচন করুন, যেগুলো ছোট অংশ বা ধারালো নয়।

৫. মানসিক ও সামাজিক বিকাশ:

✅ শিশুর খেলাধুলা: রঙিন বই, খেলনা ব্লক, বল বা গান শেখানো যেতে পারে।

✅ কথা বলা: শিশুর সঙ্গে কথোপকথন করুন, গল্প বলুন।

✅ অনুভূতি বোঝা: শিশুর কান্নার কারণ বোঝার চেষ্টা করুন এবং ধৈর্য ধরে তার সাথে আচরণ করুন।

*********************

শিশুতোষ কবিতা

 

শিখি ইংরেজি বর্ণমালা 

A লিখব তাই তো রে ভাই
ঘরের চালা আঁকি
B লিখতে চশমাখানা
দাঁড় করিয়ে রাখি

লিখতে হবে C এবারে
গোল্লা এঁকে তাই
ডানদিকেতে আলতো করে
একটু মুছে যাই

D লিখতে গোল্লা আবার
মাঝখানেতে কাঠি
বামদিকটা মুছে দিলেই
চুকবে লেখার পাটই

E যেন ভাই এক চিরুনি
তিন দাঁতেতে গড়া
নিচের খানা সরিয়ে দিলে
F-কে যাবে পড়া

G লিখতে C এর কাছে
যাই না চলো ফিরে
আড়াআড়ি দুইটা কাঠি
নিচপ্রান্ত ঘিরে

দুইটা লাঠি লম্বা করে
পেট বরাবর টেনে
H তুমি লিখতে পারো
অবাক হবে জেনে

I এর বেলায় একটা কাঠি
এত্ত সোজা, ধুর!
J এর বেলায় I এর নিচেই
বাম দিকেতে শুঁড়

I ব্যাটাকে লাগবে আবার
লিখতে যে K ওরে
দুইটা কাঠি দাও মাঝেতে
কোনাকুনি করে

E-চিরুনির উপরদিকে
দাঁত পড়ল দুই
বলল সবাই, এই রে বাবা
L হলি যে তুই!

M হলো ভাই আকাশপানে
পাখির খোলা ঠোঁট
ওটাই চেপে N লেখা যায়
পায় না পাখি চোট

O দেখতে ডিমের মতো
P লিখবে ভাই?
D এর বামের সেই কাঠিটা
লম্বা করা চাই

O এর ডানে নিচের দিকে
পা বেরোলে Q
R লিখতেও P এর নিচে
পা জুড়ে দাও নিউ

S দেখতে সাপের মতো
এঁকেবেঁকে চলা
I এর মাথায় কাঠি দিয়ে
T লিখতে বলা

U লিখতে মুছতে হবে
ডিমের উপরদিকে
কোণাকুনি দুইটা রেখায়
V লেখা নাও শিখে

M-কে দিলে উলটো করে
W নাম তারই
X যেন ভাই দুইটা লাঠি
করছে মারামারি

Y যেন এক পায়েতে
V দাঁড়িয়ে ঠায়
N-টা যদি দাও ঘুরিয়ে
Z-কে পাওয়া যায়

ছড়াকার – আফিফা আবেদীন সাওদা

©কারিমুনি