বাংলাদেশে বিহারীদের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ও গণহত্যা

বিহারী কারা?

বিহারীরা মূলত অবিভক্ত ভারতের বিহার, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা রাজ্য থেকে আসা উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী, যারা ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) বসবাস শুরু করেন। তারা মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত এবং ভারত থেকে পাকিস্তানে অভিবাসিত হন পাকিস্তানকে তাদের ধর্মীয় মাতৃভূমি হিসেবে গ্রহণ করার কারণে।

তারা কবে কোথায় থেকে বাংলাদেশে এসেছে?

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময়, অনেক উর্দুভাষী মুসলমান পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন। এদের মধ্যে একটি বড় অংশ ছিল বিহার থেকে আগত, তাই তারা ‘বিহারী’ নামে পরিচিতি লাভ করে। তাদের মধ্যে অনেকেই ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, সৈয়দপুর এবং অন্যান্য শিল্পনগরীতে বসতি স্থাপন করেন। তারা প্রধানত ব্যবসা, কারিগরি কাজ এবং রেলওয়ের সাথে যুক্ত ছিলেন। পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত পার্থক্য থাকায় তারা স্থানীয় বাঙালিদের সঙ্গে মিশতে পারেননি এবং নিজেদের উর্দুভাষী সম্প্রদায় হিসেবে আলাদাভাবে রক্ষা করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে বিহারীদের ভূমিকা

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়, বিহারীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পাকিস্তানপন্থী অবস্থান নেয়। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ ছিল, যেমন:

  • ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য: উর্দুভাষী হওয়ায় তারা বাঙালিদের থেকে নিজেদের আলাদা মনে করতো।
  • রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণ: কেউ কেউ মনে করতো, পাকিস্তান ভেঙে গেলে তাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
  • ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা: মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে কিছু সহিংসতার ঘটনায় তারা ভীত হয়ে পড়ে এবং পাকিস্তানের পক্ষ নেয়।

তবে সকল বিহারীই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন এমন নয়। অনেক বিহারী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং বাঙালিদের সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু সংখ্যায় তারা ছিল কম। ফলে স্বাধীনতার পর বিহারীদের বড় অংশ বিশ্বাসঘাতকতার দায়ে স্থানীয় জনগণের রোষানলে পড়ে।

বিহারীদের ওপর পরিচালিত গণহত্যা

মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং পরবর্তী সময়ে বিহারীদের ওপর বিভিন্ন প্রতিশোধমূলক আক্রমণ হয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করার কারণে মুক্তিযুদ্ধের পরে অনেক বিহারীকে হত্যা করা হয় এবং তাদের সম্পত্তি লুট করা হয়। বিশেষ করে সৈয়দপুর, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিহারীদের ওপর ব্যাপক সহিংসতা চালানো হয়।

স্বাধীনতার পর, অনেক বিহারী পাকিস্তানে চলে যেতে চাইলেও পাকিস্তান সরকার তাদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তারা বাংলাদেশে আটকা পড়ে যায় এবং শরণার্থী শিবিরে বসবাস করতে বাধ্য হয়। ১৯৭৪ সালের ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তান কিছু বিহারীকে গ্রহণ করলেও বেশিরভাগই বাংলাদেশেই থেকে যায়।

বিহারীদের উপর পরিচালিত গণহত্যার বিস্তারিত বিবরণ Aisha Ghazi / iResist নির্মিত 71 SLAUGHTERHOUSE ডকুমেন্টারিতে রয়েছে।

বর্তমানে বিহারীদের অবস্থা

বর্তমানে বাংলাদেশে আনুমানিক ২,৫০,০০০ বিহারী বসবাস করেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট তাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিলে তারা ভোটাধিকারসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার লাভ করে। তবে এখনো তারা নানা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক বিহারী আজও বিভিন্ন শিবিরে বসবাস করছেন এবং নাগরিক জীবনে সম্পূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি।

বিহারীদের ইতিহাস জটিল এবং সংবেদনশীল। তাদের পাকিস্তানপন্থী অংশ মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও, তারা আজ বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা। অতীতের বিভেদ ভুলে গিয়ে তাদের সমাজে সমান সুযোগ প্রদান করা মানবিক ও ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত হবে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎকে এগিয়ে নেওয়াই সবার জন্য মঙ্গলজনক।

 

ইস্টার্ণ রিফাইনারির তেল পরিশোধন সক্ষমতা কি দেশের জন্য যথেষ্ট?

দেশে বর্তমানে প্রায় ৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন বাৎসরিক তরল জ্বালানির চাহিদা রয়েছে। দেশের একমাত্র সরকারি মালিকানাধীন ক্রুড অয়েল ইস্টার্ণ রিফাইনারি লিমিটেড বছরে ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করতে পারে। বাকি পরিশোধিত তেলের জন্য আমদানির উপরে নির্ভর করতে হয়। ফলে দেশের অর্থনীতিতে বাড়তে চাপ রয়েই যায়। সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত তেল এনে ইস্টার্ণ রিফাইনারি পরিশোধন করে। ইস্টার্ণ রিফাইনারিতে পেট্রোল, ডিজেল, ন্যাপথা, জেট ফুয়েল, বিটুমিন উৎপাদিত হয়।

দেশের তেল পরিশোধনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা গেলে দেশের অর্থনীতির উপরে চাপ কমবে। সে লক্ষ্যে ইস্টার্ণ রিফাইনারি-২ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যার সক্ষমতা হবে ৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এটি স্থাপন হওয়ার পরেও আমাদের আমদানি নির্ভরতা থেকে যাবে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে পরিশোধিত তেল কেনার পরিবর্তে দেশে ক্রুড অয়েল রিফাইন করা গেলে ব্যারেল প্রতি প্রায় নয় থেকে দশ ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব। যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি আশীর্বাদ হতে পারে।

যমুনা রেল সেতু- উত্তবঙ্গের সাথে রেল যোগাযোগে আশির্বাদ। Jamuna Railway Bridge: A Blessing for Rail Connectivity with Northern Bangladesh

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর উপর দিয়ে যমুনা রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের উত্তর এবং পশ্চিম অঞ্চলের সাথে রেল যোগাযোগের নব দিগন্তের উন্মোচন হবে।

এতদিন পর্যন্ত যমুনা সেতুর উপর দিয়ে প্রায় ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো হতো যার ফলে যমুনা সেতু পার হতে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট লেগে যেত। উপরন্ত লাইনটি সিঙ্গেল ট্র্যাক হওয়ায় কোন একটি ট্রেন চলাচল করতে গেলে বাকি ট্রেনগুলোকে অপেক্ষায় থাকতে হতো। যার ফলে উত্তরবঙ্গ বা পশ্চিম অঞ্চল থেকে আগত ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে যমুনা সেতু পূর্ব বা যমুনা সেতু পশ্চিম স্টেশনে অনেক সময় আধা ঘন্টা বা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হতো। নতুন রেল সেতু উদ্বোধনের ফলে এই সমস্যা দূর হবে। নতুন সেতুতে ট্রেন সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। ফলে প্রায় ৫ থেকে ৬ মিনিট সময়ের মধ্যে সেতু পার হওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও এটি ডাবল লাইন হওয়ায় কোন ট্রেনকে আর অপেক্ষায় থাকতে হবে না।

১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়েনির্মিত এই সেতু জন্য জাইকা থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। এই ট্রেন লাইন চালু হওয়ার ফলে যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে আর ট্রেন চলাচলের প্রয়োজন হবে না। ফলে যমুনা সেতুর উপরে দিয়ে যে রেললাইন হয়েছে সেটাকে তুলে ফেলা সম্ভব হবে। এতে যমুনা সেতুর ওপরে লেনের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে অথবা লেনের উইথ বানানো সম্ভব হবে। এতে যমুনা সেতুর গাড়ি পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সব মিলিয়ে এই সেতু উত্তরবঙ্গ তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

The Jamuna Railway Bridge, constructed over the Jamuna River in Sirajganj, marks the beginning of a new era in rail connectivity for the northern and western regions of the country.

Until now, trains traveled over the Jamuna Bridge at a speed of around 20 km/h, taking 25 to 30 minutes to cross. Additionally, the single-track line often caused delays, as trains had to wait at either the Jamuna East or Jamuna West stations for other trains to pass. This waiting time could extend up to 30–45 minutes, causing significant disruptions for trains traveling to and from the northern and western regions. With the inauguration of the new railway bridge, these problems will be resolved.

Trains on the new bridge will be able to travel at speeds of up to 120 km/h, allowing them to cross in just 5–6 minutes. Moreover, as the bridge features double tracks, no train will need to wait for others to pass.

Built at a cost of 16,000 crore BDT, the project received 12,000 crore BDT in loans from JICA. Once this new railway line is operational, trains will no longer need to use the Jamuna Multipurpose Bridge, freeing it from rail traffic. Consequently, the existing railway lines on the Jamuna Multipurpose Bridge can be removed, increasing the number of lanes or expanding the width of the lanes for vehicles. This enhancement will boost the bridge’s vehicular capacity significantly.

 

In summary, this railway bridge is poised to play a vital role in the economic development of Northern Bangladesh and the nation as a whole.

মেগা প্রকল্পগুলো কতটা কাজে লাগছে? How effective are the mega projects?

বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে নেওয়া মেগা প্রকল্প গুলোর কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। সম্প্রতি টাস্ক ফোর্স  তাদের মূল্যায়ন সমাপ্ত করে একটি রিপোর্ট প্রদান করেছে। টাস্ক ফোর্স মূলত চারটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে মাওয়া  এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা রেল লিংক, কর্ণফুলী টানেল এবং দুহাজারী কক্সবাজার রেলওয়ে।   কমিটি জানায় দুর্বল পরিকল্পনা, যথাযথভাবে ব্যবহার করতে না এবং বিদ্যমান অবকাঠামর সাথে সমন্বয়ের অভাবে প্রকল্পগুলো লাভজনক হচ্ছে না। কিন্তু প্রকল্প গুলোর জন্য নেওয়া ঋণের বোঝা দেশের অর্থনীতির উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে।

 

ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেস

প্রতি কিলোমিটারে প্রায়  ২০০ কোটি টাকা পেয়ে নির্মিত ৫৫ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা শহরের ট্রাফিক বৃদ্ধি করেছে। ফলে শহরে যানজটের পরিমাণ বেড়েছে। ডিসেন্ট্রালাইজ না করে শহরের উপরে বাড়তে চাপ তৈরি হয়েছে। দক্ষিণের জেলা গুলোতে শিল্পায়ন সেভাবে না হয় ঢাকার উপরে নির্ভরশীলতা কমেনি।

এছাড়াও শহরের চারিদিকে রিং রোড না থাকার কারণে এই এক্সপ্রেস গুলোর প্রবেশ মুখে যানজট লেগে থাকে। ফলে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে যথাযথ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকা, ট্রাফিক আইন না মানা ইত্যাদি কারণে এই এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দূর্ঘটনা এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পদ্মা রেল লিংকঃ 

প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে যশোর থেকে ঢাকায় যোগাযোগের সময় কমিয়ে আনার জন্য এই রেল লাইন  তৈরি করা হয়েছিল। এ কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রেনের অভাব, বিদ্যমান রাস্তাগুলোর সাথে সমন্বয়ের অভাব, পর্যাপ্ত স্টেশনের অভাভ ইত্যাদি কারণে এই প্রকল্প লাভের মুখ দেখছে না। যে পরিমাণ আশা করা হয়েছিল তার অর্ধেকও রেভিনিউ উঠছে না।

দুহাজারী কক্সবাজার রেললাইন

এডিবির অর্থায়নে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই রেল লাইন নির্মিত হয়েছিল। প্রয়োজনীয় সংখ্যক রেলের অভাব এবং বাস মালিকদের বিরোধীদের মুখে এই রুটি বেশি সংখ্যক ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি। যার ফলে এই রেল লাইন থেকেও আশানুরুপ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। কক্সবাজারগামী পর্যটকদের ভোগান্তি লাঘব করতে পারেনি এই রেল লাইন। উলটো এই রেল লাইনের কারনে গত কয়েক বছর সংশ্লিষ্ট এলাকা গুলোতে ব্যপক বন্যা দেখা গেছে।

কর্ণফুলী টানেল

চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ অংশের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য প্রায় দশ হাজার টাকা ব্যয় করে এই টানেল নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান অবকাঠামোর সাথে সংযোগের  অভাব, টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের পর্যাপ্ত মান সম্পন্ন সড়কের অভাব  ইত্যাদি কারণে এই টাএনল লাভের মুখ দেখছে না। উল্টো টানেল কে অপারেশনাল রাখতে সরকার কে প্রতিদিন প্রায় ২৫ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।

The current interim government has formed a task force to evaluate the effectiveness of mega projects undertaken during the previous Awami League government. Recently, the task force completed its evaluation and submitted a report. The task force primarily focused on four projects: Mawa Expressway, Padma Rail Link, Karnaphuli Tunnel, and the Dohazari-Cox’s Bazar Railway. However, the debt burden incurred for these projects is having an adverse impact on the country’s economy.

The committee stated that weak planning, improper utilization, and lack of integration with existing infrastructure have resulted in these projects not being profitable.

Dhaka-Mawa Expressway

This 55-kilometer expressway, built at a cost of approximately 200 crore BDT per kilometer, has increased traffic congestion in Dhaka city. Instead of decentralizing development, the expressway has intensified pressure on the capital. Due to a lack of industrialization in the southern districts, Dhaka’s dependency has not decreased.

Moreover, the absence of a ring road around the city causes traffic congestion at the entry points of expressways, reducing their effectiveness. Additionally, lack of proper safety measuresviolations of traffic laws, and frequent road accidents have become regular occurrences on this expressway.

Padma Rail Link

Built at a cost of approximately 39,000 crore BDT, this railway line was designed to reduce travel time between Jessore and Dhaka. However, due to a shortage of trains, lack of coordination with existing roads, and insufficient stations, the project has yet to become profitable. The revenue generated is less than half of the expected amount.

Dohazari-Cox’s Bazar Railway Line

Constructed with funding from the Asian Development Bank (ADB) at a cost of 18,000 crore BDT, this railway line has not yielded expected benefits due to a shortage of trains and opposition from bus owners. As a result, the route has not seen an adequate number of train operations, failing to ease the transportation struggles of Cox’s Bazar-bound tourists. Additionally, this railway line has contributed to severe flooding in the surrounding areas over the past few years.

Karnaphuli Tunnel

This 10,000 crore BDT tunnel was built to improve connectivity between the southern part of Chattogram and the rest of the city. However, due to a lack of connection with existing infrastructure and poor-quality roads on the southern end, the tunnel has not become profitable. Instead, the government has to provide a daily subsidy of approximately 25 lakh BDT to keep it operational.

দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন কি প্রস্তাব করলো?

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি এর নির্বাহী পরিচালক ডঃ ইফতেখারুজ্জামানকে প্রদান করে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। 

কমিশন সম্প্রতি তাদের একটি রিপোর্ট দাখিল করেছে। রিপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলো হচ্ছে – 

  • দুদকের উপর থেকে রাজনৈতিক এবং আমলাতান্ত্রিক প্রভাব দূর করতে হবে 
  • সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে দুর্নীতি অনিয়ম সমূহ দূর করতে হবে 
  • দুদকের অভ্যন্তরে একটি শৃঙ্খলা কোন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাদের কাজ হবে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা এবং তাদের অপসারণ এর জন্য সুপারিশ করা 
  • প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের আয়বের হিসাব নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে 
  • প্রতিটি স্তরের জনপ্রতিনিধির সম্পদের বিবরণে প্রতিবছর নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হবে।

 

কর্ণফুলী টানেল সাদা হাতি নাকি সম্ভাবনা।

চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ দিকে কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে পতেঙ্গা এবং আনোয়ারা কে যুক্ত করে নির্মিত হয়েছে কর্ণফুলী টানেল। ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টানেলের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে চায়না এক্সিম ব্যাংক থেকে। ঋণের টাকা চলতি বছরের থেকেই পরিশোধ করা শুরু হবে।

পরিচালন ব্যয়ের তুলনায় রাজস্ব আদায় অত্যন্ত কম হওয়ায় এই টানেলের কার্যকারিতা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই এটিকে একটি সাদা হাতি প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কেননা টানেল এর জন্য প্রাক্কলন করা হয়েছিল যে প্রতিদিন প্রায় ১৮ হাজার গাড়ি চলবে সেখানে চলছে প্রায় মাত্র চার হাজার গাড়ি। টানেলের প্রতিদিন পরিচালন ব্যয় হচ্ছে ৩৫ লাখ টাকা যেখানে রাজস্ব আসছে মাত্র ৭-৮ লাখ টাকার মত। ফলে টানেলের অর্থনৈতিক উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ রয়েছে।

তবে এটিও নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে এই টানেল চট্টগ্রামের দক্ষিণ অংশ এবং কক্সবাজার জেলার জন্য অমিত সম্ভাবনার দার খুলে দিয়েছে। চট্টগ্রাম শহর বলতে আমরা যা বুঝি সেটি আসলে কর্ণফুলী নদীর উত্তর অংশে। যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে চট্টগ্রাম শহর কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ অংশে খুব বেশি বিস্তারিত হতে পারেনি। এখন সুযোগ তৈরি হয়েছে শহরকে , বাণিজ্যিক এবং আবাসিক এলাকাকে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ অংশ বিস্তার করার।

কয়েকটি কাজ করা যেতে পারে –  চট্টগ্রাম বন্দরের কয়েকটি জেটি যদি নদীর দক্ষিণ অংশে নির্মাণ করা যায় তাহলে দক্ষিণ অংশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বৃদ্ধি পাবে। ইতোমধ্যেই আনোয়ারা কোরিয়ান ইপিজেড এবং চাইনিজ ইপিজেড নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

আনোয়ারা অবস্থিত পারকি বিচ পর্যটনের জন্য একটি নতুন হটস্পট হতে পারে। সরকার মিরসরাই ইপিজেড থেকে কর্ণফুলী টানেল হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রোড নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করার জন্য মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের কথা বিবেচনা করছে।

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেও কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ অংশে কানেক্টিং রোড ভালোভাবে নির্মাণ করা। মূল কথা হল কর্ণফুলী দক্ষিন অংশে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন যত দ্রুত হবে কর্ণফুলী টানেল তত দ্রুত অর্থনৈতিক সুফল বয়ে আনবে।