দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন কি প্রস্তাব করলো?

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি এর নির্বাহী পরিচালক ডঃ ইফতেখারুজ্জামানকে প্রদান করে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। 

কমিশন সম্প্রতি তাদের একটি রিপোর্ট দাখিল করেছে। রিপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলো হচ্ছে – 

  • দুদকের উপর থেকে রাজনৈতিক এবং আমলাতান্ত্রিক প্রভাব দূর করতে হবে 
  • সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে দুর্নীতি অনিয়ম সমূহ দূর করতে হবে 
  • দুদকের অভ্যন্তরে একটি শৃঙ্খলা কোন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাদের কাজ হবে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা এবং তাদের অপসারণ এর জন্য সুপারিশ করা 
  • প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের আয়বের হিসাব নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে 
  • প্রতিটি স্তরের জনপ্রতিনিধির সম্পদের বিবরণে প্রতিবছর নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হবে।

 

খুচরা আপডেট

#জেনজি

প্রজন্ম বলতে বোঝায় কাছাকাছি সময়ে জন্মগ্রহণকারী মানুষজন যারা চিন্তা চেতনা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে কাছাকাছি ধরনের হয়। 

১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী শিশুরা জেনারেশন জেড। 

২০১৩ থেকে ২০২৪ এ জন্মগ্রহণকারীরা জেনারেশন আলফা।

২০২৫ থেকে ২০৩৯ সাল পর্যন্ত জন্মগ্রহণকারীরা জেনারেশন বিটা হিসেবে পরিচিত হবে।

#রেলঃ 

বর্তমানে দেশের ৪৯ টি জেলা রেল লাইনের মাধ্যমে যুক্ত রয়েছে। বরিশাল বিভাগের কোন জেলাতেই রেল সংযোগ নেই। 

#ব্রিকসঃ 

ব্রিকস এর দশম সদস্য হিসেবে যোগদান করেছে ইন্দোনেশিয়া। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশটি ব্রিকসে যোগদানের ফলে আরো শক্তিশালী হবে। ইন্দোনেশিয়ার সর্ববৃহৎ মুসলিম জনসংখ্যার দেশ এবং আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।  ব্রিকস এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য গুলো হল ভারত চীন রাশিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল। গত বছর ইরান সংযুক্ত আরব আমিরাত মিশর এবং ইথিওপিয়া ব্রিকস এ যোগ দেয়।

Economic Exceptionalism, Diversity equity inclusion (DEI), Critical Race theory (CRT) কি ? আমেরিকার পলেসি নির্ধারণে ধারণাগুলোর প্রভাব কি?

Economic Exceptionalism কি ? 

Economic Exceptionalism হলো কোন এমন একটি ধারণা যেখানে কোন একটি দেশ তাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে অন্য সবার চেয়ে অনন্য বা সেরা মনে করে। ধারণাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সাথে সম্পর্কযুক্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে তাদের অর্থনৈতিক কাঠামো সকল দিক থেকে সবার চেয়ে সেরা। বিশ্ব অর্থনীতিতে তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার বৈধ অধিকার রয়েছে।

ইকনোমিক এক্সেপশনালিজম ধারণাটি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের পলিসি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ট্রাম্পের America First এর মাধ্যমে তিনি সব ক্ষেত্রে আমেরিকার সার্থকেই অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তিনি মনে করেন যে আমেরিকার অর্থনীতি বিশ্বে সেরা এবং তাদেরই বেশি নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। ডাব্লিউটিও বা আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো আমেরিকাকে তার যৌক্তিক হিস্যা থেকে বঞ্চিত করেছে বলে তিনি মনে করেন। ট্রাম্প মনে করেন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি আমেরিকার অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক। অভিবাসন ব্যবস্থাকে তিনি অত্যন্ত কঠোরতার মধ্যে নিয়ে গিয়েছেন। সবকিছুই ইকোনমিক Economic Exceptionalism ধারণার সাথে সম্পর্কিত।

 

DEI কি ?

Diversity equity inclusion আন্তর্জাতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সাথে সম্পর্কযুক্ত।

Diversity এর মাধ্যমে সকল ধরনের মানুষের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়।

Equity এর মাধ্যমে সকল মানুষের ন্যায্যতা বিধান করা হয়।

Inclusion এটাই এমন একটি ধারনা সকল মানুষকে যেখানে সমান বিবেচনা করা হয় এবং সমানভাবে শ্রদ্ধা ও মূল্যায়ন করা হয়।

রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ধারণার বিরোধিতা করেন । তিনি মনে করেন এর মাধ্যমে Reverse Discrimination হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় যেখানে আমেরিকার শ্বেতাঙ্গরা বৈষম্যের শিকার হবে। এছাড়াও রক্ষণশীল এই নেতা মনে করেন এই ধারণার মাধ্যমে আমেরিকা LGBTQ প্রমোশন করা হবে। মূলত তার এই ধারণাটি বিরোধিতা করার পেছনে মূল কারণ হলো এর মাধ্যমে আমেরিকায় White Supremacy দুর্বল হয়।

Critical Race theory (CRT) কি?

ক্রিটিকাল এ রেস থিওরি DEI এর সাথে সম্পর্কিত একটি ধারণা।  এই থিউরি সমাজে বর্ণবাদ ও এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে। রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ধারণার বিরোধিতা করেন।

 

কর্ণফুলী টানেল সাদা হাতি নাকি সম্ভাবনা।

চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ দিকে কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে পতেঙ্গা এবং আনোয়ারা কে যুক্ত করে নির্মিত হয়েছে কর্ণফুলী টানেল। ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টানেলের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে চায়না এক্সিম ব্যাংক থেকে। ঋণের টাকা চলতি বছরের থেকেই পরিশোধ করা শুরু হবে।

পরিচালন ব্যয়ের তুলনায় রাজস্ব আদায় অত্যন্ত কম হওয়ায় এই টানেলের কার্যকারিতা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই এটিকে একটি সাদা হাতি প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কেননা টানেল এর জন্য প্রাক্কলন করা হয়েছিল যে প্রতিদিন প্রায় ১৮ হাজার গাড়ি চলবে সেখানে চলছে প্রায় মাত্র চার হাজার গাড়ি। টানেলের প্রতিদিন পরিচালন ব্যয় হচ্ছে ৩৫ লাখ টাকা যেখানে রাজস্ব আসছে মাত্র ৭-৮ লাখ টাকার মত। ফলে টানেলের অর্থনৈতিক উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ রয়েছে।

তবে এটিও নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে এই টানেল চট্টগ্রামের দক্ষিণ অংশ এবং কক্সবাজার জেলার জন্য অমিত সম্ভাবনার দার খুলে দিয়েছে। চট্টগ্রাম শহর বলতে আমরা যা বুঝি সেটি আসলে কর্ণফুলী নদীর উত্তর অংশে। যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে চট্টগ্রাম শহর কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ অংশে খুব বেশি বিস্তারিত হতে পারেনি। এখন সুযোগ তৈরি হয়েছে শহরকে , বাণিজ্যিক এবং আবাসিক এলাকাকে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ অংশ বিস্তার করার।

কয়েকটি কাজ করা যেতে পারে –  চট্টগ্রাম বন্দরের কয়েকটি জেটি যদি নদীর দক্ষিণ অংশে নির্মাণ করা যায় তাহলে দক্ষিণ অংশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বৃদ্ধি পাবে। ইতোমধ্যেই আনোয়ারা কোরিয়ান ইপিজেড এবং চাইনিজ ইপিজেড নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

আনোয়ারা অবস্থিত পারকি বিচ পর্যটনের জন্য একটি নতুন হটস্পট হতে পারে। সরকার মিরসরাই ইপিজেড থেকে কর্ণফুলী টানেল হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রোড নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করার জন্য মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের কথা বিবেচনা করছে।

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেও কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ অংশে কানেক্টিং রোড ভালোভাবে নির্মাণ করা। মূল কথা হল কর্ণফুলী দক্ষিন অংশে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন যত দ্রুত হবে কর্ণফুলী টানেল তত দ্রুত অর্থনৈতিক সুফল বয়ে আনবে।