কম্পিউটারে ভয়েস টাইপিং করার সহজ উপায়

কম্পিউটারে ভয়েস টাইপিং (Speech-to-Text) করার জন্য Windows, Google Docs এবং বিভিন্ন তৃতীয় পক্ষের সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়। নিচে বিস্তারিত পদ্ধতি দেওয়া হলো:


১. Windows Speech Recognition (Windows Built-in Feature)

Windows-এর নিজস্ব ভয়েস টাইপিং ফিচার ব্যবহার করতে:

  1. Windows + H প্রেস করুন (Windows 10 ও 11-এ কাজ করবে)।
  2. স্ক্রিনে Dictation toolbar আসবে।
  3. মাইক্রোফোনের অনুমতি দিন এবং বাংলায় কথা বলুন।
  4. লেখা স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাইপ হবে।

👉 নোট: Windows-এর বিল্ট-ইন Speech Recognition বাংলার জন্য ভালোভাবে কাজ নাও করতে পারে। এজন্য Google Voice Typing ব্যবহার করা ভালো হবে।


২. Google Docs Voice Typing (সবচেয়ে কার্যকর ও জনপ্রিয় পদ্ধতি)

Google Docs-এ ভয়েস টাইপিং খুব সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি।

পদ্ধতি:

  1. Google Chrome ব্রাউজারে Google Docs খুলুন (docs.google.com)।
  2. Tools > Voice Typing এ যান।
  3. Microphone আইকনে ক্লিক করুন
  4. ভাষা বাংলা (বাংলাদেশ) নির্বাচন করুন
  5. মাইক্রোফোনের অনুমতি দিন এবং কথা বলুন, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাইপ করবে।

👉 Google Docs ভয়েস টাইপিং সব ধরনের বাংলা লেখার জন্য চমৎকার কাজ করে!


৩. গুগল ভয়েস টাইপিং (Gboard বা Google Assistant ব্যবহার করে)

যদি আপনি মোবাইলের মাধ্যমে কম্পিউটারে টাইপ করতে চান:

  1. Google Gboard অ্যাপ ইন্সটল করুন (Android/iPhone)।
  2. মোবাইলে Gboard-এর Voice Typing চালু করুন।
  3. PC-তে WhatsApp Web / Google Keep খুলুন।
  4. মোবাইলে ভয়েস টাইপ করে PC-তে কপি-পেস্ট করুন।

৪. Microsoft Word-এ ভয়েস টাইপিং

Microsoft Word-এ সরাসরি ভয়েস টাইপিং করতে:

  1. Microsoft 365 বা Office 2019/2021 ব্যবহার করুন।
  2. Home > Dictate (মাইক্রোফোন আইকন) > ভাষা বাংলা নির্বাচন করুন
  3. মাইক্রোফোনে কথা বললে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাইপ হবে।

৫. তৃতীয় পক্ষের সফটওয়্যার (Speech-to-Text Software)

নিম্নোক্ত সফটওয়্যারগুলো ভালোভাবে বাংলা ভয়েস টাইপিং সাপোর্ট করে:


শেষ কথা:

সর্বোত্তম পদ্ধতি: Google Docs Voice Typing
Windows ইউজারদের জন্য: Windows Speech Recognition + Microsoft Word Dictate
মোবাইল দিয়ে টাইপ করতে চাইলে: Gboard + Google Keep

আপনার প্রয়োজনে কোনটি সবচেয়ে ভালো হবে জানাতে পারেন! 😊

মাউস ছাড়া কিবোর্ড দিয়ে কিভাবে কম্পিউটার চালাবেন?

মাউস ছাড়াই আপনি কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করে সহজেই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। নিচে Windows এবং Mac-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কীবোর্ড শর্টকাট দেওয়া হলো।


📌 Windows এর জন্য কীবোর্ড শর্টকাট:

1️⃣ Start Menu খুলতে: Ctrl + Esc অথবা Win
2️⃣ প্রোগ্রাম চালু করতে: Win + R (Run ওপেন করে সফটওয়্যার নাম লিখুন)
3️⃣ Tab পরিবর্তন করতে: Alt + Tab (খোলা উইন্ডোগুলোর মধ্যে পরিবর্তন)
4️⃣ ফাইল এক্সপ্লোরার খুলতে: Win + E
5️⃣ Settings খুলতে: Win + I
6️⃣ Desktop দেখার জন্য: Win + D
7️⃣ Right Click মেনু আনতে: Shift + F10
8️⃣ Task Manager খুলতে: Ctrl + Shift + Esc
9️⃣ কোনো ফাইল বা ফোল্ডার Rename করতে: F2
🔟 কম্পিউটার Lock করতে: Win + L


📌 Mac এর জন্য কীবোর্ড শর্টকাট:

1️⃣ Spotlight Search (অ্যাপ বা ফাইল খোঁজার জন্য): Command + Space
2️⃣ Dock অ্যাক্সেস করতে: Control + F3
3️⃣ Tab পরিবর্তন করতে: Command + Tab
4️⃣ Force Quit (প্রোগ্রাম বন্ধ করতে): Command + Option + Esc
5️⃣ সিস্টেম Preferences খুলতে: Command + , (কমা)


📌 মাউস কার্সার কীবোর্ড দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা:

আপনি Numeric Keypad ব্যবহার করে কার্সার চালাতে পারেন।

📌 Windows এ:
1️⃣ Win + Ctrl + Num Lock চাপুন।
2️⃣ এরপর 8, 2, 4, 6 ব্যবহার করে মুভ করুন।

📌 Mac এ:
1️⃣ System PreferencesAccessibilityMouse & Trackpad
2️⃣ Enable Mouse Keys অপশন চালু করুন।


উপসংহার: মাউস ছাড়া কীবোর্ড দিয়ে নেভিগেশন, অ্যাপ চালু করা, ফাইল ম্যানেজমেন্ট—সবকিছুই করা সম্ভব। শর্টকাটগুলো আয়ত্ত করলে আপনার কাজ অনেক দ্রুত হবে!

 

Owner’s Engineer কী?

Owner’s Engineer প্রকল্প বাস্তবায়নে মালিকপক্ষের (Owner) পক্ষে পরামর্শক বা তদারকি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করে। এটি মূলত একটি তৃতীয় পক্ষের ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট, যার প্রধান দায়িত্ব হলো:

ডিজাইন রিভিউ করা – প্রকল্পের নকশা ও স্পেসিফিকেশন যাচাই করা।
কন্ট্রাক্টর ও ভেন্ডর ব্যবস্থাপনা – ঠিকাদারদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা।
কোয়ালিটি কন্ট্রোল – নির্মাণ কাজ ও উপকরণের মান নিশ্চিত করা।
সমস্যা সমাধান ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা – প্রকল্প চলাকালে উদ্ভূত সমস্যা নিরসন করা।
প্রজেক্টের সময়সীমা ও বাজেট তদারকি – নির্ধারিত সময় ও বাজেটের মধ্যে কাজ শেষ করতে সহায়তা করা।

সংক্ষেপে, Owner’s Engineer প্রকল্পের স্বার্থ রক্ষা করতে মালিকপক্ষের ‘চোখ ও কান’ হিসেবে কাজ করে।

MS Word Excel

Microsoft Word-এ একই ডকুমেন্টে কিছু পেজ Portrait এবং কিছু পেজ Landscape করার সহজ উপায়

Microsoft Word ব্যবহারকারীদের অনেক সময় একই ডকুমেন্টে PortraitLandscape উভয় ধরণের পেজ লেআউটের প্রয়োজন হয়। এটি বিশেষভাবে দরকার হয় টেবিল, চার্ট বা চওড়া কন্টেন্ট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে। এই পোস্টে আমরা ধাপে ধাপে দেখাবো কিভাবে সহজেই এটি করা যায়।


📌 Step-by-Step গাইড: Microsoft Word-এ কিছু পেজ Portrait ও কিছু পেজ Landscape করা

🔹 Step 1: লেআউট পরিবর্তনের জন্য পেজ নির্বাচন করুন

প্রথমে, আপনি যে পেজটিকে Landscape করতে চান, তার ঠিক আগে কোথাও কার্সর ক্লিক করুন

🔹 Step 2: Section Break যুক্ত করুন

📌 এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ! কারণ Section Break ছাড়া Landscape & Portrait একসঙ্গে কাজ করবে না।

Section Break যোগ করতে:
1️⃣ Layout ট্যাবে যান।
2️⃣ Breaks অপশনে ক্লিক করুন।
3️⃣ Next Page অপশনটি সিলেক্ট করুন।

এটি আগের অংশ এবং নতুন অংশ আলাদা করবে, যাতে লেআউট পরিবর্তন করা যায়।

🔹 Step 3: পেজ লেআউট পরিবর্তন করুন

➡ এখন Landscape পেজ সেট করতে:
1️⃣ Cursor নতুন Section Break করা অংশে রাখুন।
2️⃣ Layout ট্যাবে গিয়ে Orientation > Landscape সিলেক্ট করুন।

এখন দেখবেন শুধুমাত্র সিলেক্ট করা পেজ Landscape হয়েছে, বাকি অংশ Portrait আছে!

🔹 Step 4: পুনরায় Portrait মোডে ফেরত আসা

➡ আবার Landscape এর পরের অংশকে Portrait করতে চাইলে,
1️⃣ Landscape পেজের পরের অংশে কার্সর নিয়ে যান।
2️⃣ Step 2 অনুসারে আবার Section Break দিন।
3️⃣ Layout > Orientation > Portrait সিলেক্ট করুন।

ব্যাস! আপনার ডকুমেন্টে কিছু পেজ Portrait এবং কিছু পেজ Landscape হয়ে গেলো! 🎉


📌 কেন এটি দরকার হতে পারে?

বড় টেবিল ও চার্ট উপস্থাপন করতে
প্রেজেন্টেশন ও রিপোর্টিং সহজ করতে
PDF Export করলে ফরম্যাট ঠিক রাখতে


এভাবে Microsoft Word-এ Portrait ও Landscape একসঙ্গে ব্যবহার করে ডকুমেন্টকে প্রফেশনাল লুক দেওয়া সম্ভব! আপনি যদি এই টিপসটি পছন্দ করেন, তবে শেয়ার করতে ভুলবেন না! 🚀💡

ভূমি ব্যবস্থাপনা

CS, SA, এবং RS দলিলের সম্পর্ক ও পার্থক্য

CS (Cadastral Survey), SA (State Acquisition), এবং RS (Revisional Survey) দলিল হলো বাংলাদেশের জমি মালিকানা ও ভূমি রেকর্ডের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়।

✅ CS (Cadastral Survey) দলিল:

  • ব্রিটিশ আমলে (1888-1940) ভূমি জরিপের মাধ্যমে তৈরি।
  • জমির পরিমাণ ও মালিকানা নির্ধারণের জন্য CS খতিয়ান তৈরি হয়।
  • এটি প্রাথমিক ভূমি রেকর্ড হিসেবে পরিচিত।

✅ SA (State Acquisition) দলিল:

  • ১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলোপের পর SA জরিপ চালু হয়।
  • এই জরিপে CS দলিলের পরিবর্তন এনে নতুন খতিয়ান তৈরি করা হয়।
  • সরকারি অধিগ্রহণের ফলে জমির মালিকানায় পরিবর্তন আসে।

✅ RS (Revisional Survey) দলিল:

  • স্বাধীনতার পর আধুনিকায়নের জন্য RS জরিপ চালু করা হয়।
  • এতে CS ও SA জরিপের ভুল সংশোধন করা হয় এবং নতুন RS খতিয়ান তৈরি হয়।
  • বর্তমান জমির মালিকানা যাচাই করতে RS খতিয়ান সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য।

📌 CS, SA ও RS-এর পারস্পরিক সম্পর্ক:

  • CS → SA → RS পর্যায়ে জমির রেকর্ড আপডেট করা হয়েছে।
  • CS দলিল মূল ভিত্তি হলেও, সর্বশেষ মালিকানা যাচাইয়ের জন্য RS খতিয়ান বেশি গ্রহণযোগ্য।
  • জমির ইতিহাস নিশ্চিত করতে CS, SA ও RS খতিয়ান একসঙ্গে মিলিয়ে দেখা গুরুত্বপূর্ণ।

 

শিশুর যত্ন

৭ মাস থেকে ১ বছর বয়সী বাচ্চার যত্ন:

৭ মাস থেকে ১ বছর বয়সী বাচ্চার যত্ন নিতে হলে সঠিক খাবার, ঘুম, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং মানসিক বিকাশের দিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর পুষ্টি ও বিকাশের জন্য প্রতিদিনের যত্ন গুরুত্বপূর্ণ।

১. খাদ্য ও পুষ্টি:

✅ বুকের দুধ: ১ বছরের আগ পর্যন্ত বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ প্রধান খাবার হিসেবে চলবে।

✅ সলিড খাবার: ৭ মাস থেকে ১ বছর বয়সে শিশুকে দিনে ২-৩ বার সলিড খাবার দিতে হবে।

✅ খাবারের ধরন: খিচুড়ি, ডাল-ভাত, সেদ্ধ ডিমের কুসুম, শাক-সবজি, ফল (কলা, পেঁপে, আপেল, নাশপাতি), ওটস, সুজি, দই, পনির।

✅ পানি: শিশুকে সেদ্ধ বা ফিল্টার করা পানি দেওয়া উচিত।

✅ নতুন খাবার: নতুন খাবার দিতে গেলে ৩-৪ দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

 

২. ঘুমের রুটিন:

✅ ঘুমের প্রয়োজন: ১ বছর বয়সী শিশুর দিনে ১৩-১৪ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন, যার মধ্যে ১০-১২ ঘণ্টা রাতের ঘুম এবং ২-৩ ঘণ্টা দিনের ঘুম।

✅ ঘুমানোর পরিবেশ: ঘরটি শান্ত, নিরাপদ এবং আরামদায়ক হওয়া উচিত।

✅ রুটিন তৈরি করুন: শিশুর ঘুমের আগে গোসল, গান শোনা বা গল্প বলা অভ্যাসে আনা যেতে পারে।

৩. স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা:

✅ টিকা: শিশুর নিয়মিত টিকা দেওয়া উচিত।

✅ স্বাস্থ্য পরীক্ষা: শিশুর ওজন এবং উচ্চতা ঠিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।

✅ স্বাস্থ্যবিধি: শিশুর হাত-মুখ পরিষ্কার রাখা, নরম ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা।

✅ ঠাণ্ডা-গরম থেকে সুরক্ষা: শিশুকে ঠাণ্ডা বা গরম থেকে সুরক্ষিত রাখুন।

৪. নিরাপত্তা:

✅ ঘরেই নিরাপত্তা: শিশুর কাছে ধারালো জিনিস বা ক্ষতিকর বস্তু না রাখুন, এবং সিঁড়ির কাছে নিরাপত্তা গেট ব্যবহার করুন।

✅ খেলনা নির্বাচন: শিশুদের জন্য নিরাপদ খেলনা নির্বাচন করুন, যেগুলো ছোট অংশ বা ধারালো নয়।

৫. মানসিক ও সামাজিক বিকাশ:

✅ শিশুর খেলাধুলা: রঙিন বই, খেলনা ব্লক, বল বা গান শেখানো যেতে পারে।

✅ কথা বলা: শিশুর সঙ্গে কথোপকথন করুন, গল্প বলুন।

✅ অনুভূতি বোঝা: শিশুর কান্নার কারণ বোঝার চেষ্টা করুন এবং ধৈর্য ধরে তার সাথে আচরণ করুন।

*********************

চোখের যত্ন

চোখের ড্রাইনেস দূর করার উপায়: কার্যকর ও প্রাকৃতিক সমাধান

চোখের শুষ্কতা বা ড্রাইনেস একটি সাধারণ সমস্যা, যা দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের সামনে থাকা, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া বা বাতাসের শুষ্কতার কারণে হতে পারে। এটি প্রতিরোধ ও নিরাময়ের জন্য কিছু কার্যকর উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে।

১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

২. চোখের ব্যায়াম করুন

চোখের শুষ্কতা দূর করতে নিয়মিত ব্লিঙ্কিং ও ২০-২০-২০ রুল অনুসরণ করুন—প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরের কিছু দেখুন।

৩. আর্টিফিশিয়াল টিয়ারস ব্যবহার করুন

ড্রাই আই সিনড্রোম থাকলে চোখের চিকিৎসকের পরামর্শে লুব্রিকেন্ট আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।

৪. স্ক্রিন টাইম কমান

দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহারের কারণে চোখ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই মাঝে মাঝে বিরতি নিন।

৫. পুষ্টিকর খাবার খান

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার (যেমন মাছ, বাদাম, অলিভ অয়েল) চোখের ড্রাইনেস কমাতে সাহায্য করে।

৬. পরিবেশ আর্দ্র রাখুন

শুষ্ক বাতাসের কারণে চোখের আর্দ্রতা কমতে পারে। তাই প্রয়োজনে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।

৭. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
চোখের শুষ্কতা দূর করতে দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করলেই ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। চোখ সুস্থ রাখতে নিয়মিত যত্ন নিন এবং প্রাকৃতিক উপায়গুলো অনুসরণ করুন।

*********************************************************************************************

২০-২০-২০ রুল ফলো করার জন্য পিসিতে এলার্ম সেট করার উপায়

২০-২০-২০ রুল অনুসরণ করতে প্রতি ২০ মিনিট পরপর আপনাকে একটি এলার্ম সেট করতে হবে। এটি চোখের চাপ কমায় এবং স্ক্রিন টাইমের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সহায়তা করে।

Windows PC-তে এলার্ম সেট করার উপায়:

  1. Windows Clock অ্যাপ ব্যবহার করুন:
    • Start Menu > Clock লিখে অনুসন্ধান করুন।
    • “Alarms & Clock” অ্যাপ খুলুন।
    • New Alarm যোগ করুন এবং ২০ মিনিট অন্তর পুনরাবৃত্তি (Repeat) সেট করুন।
  2. Microsoft To-Do বা Reminders ব্যবহার করুন:
    • Microsoft To-Do বা Sticky Notes-এ “20-20-20 Break” রিমাইন্ডার সেট করুন।
  3. Browser Extension বা Online Timer ব্যবহার করুন:
  4. Third-Party Software ব্যবহার করুন:
    • f.lux, EyeLeo, বা ProtectYourVision সফটওয়্যার ডাউনলোড করে স্বয়ংক্রিয় রিমাইন্ডার সেট করুন।

Mac-এ এলার্ম সেট করার উপায়:

  • Siri-কে বলুন: “Hey Siri, set a timer for 20 minutes.”
  • Clock অ্যাপ বা Reminders অ্যাপ ব্যবহার করুন।
  • Break Timer বা Awareness সফটওয়্যার ইনস্টল করুন।

চোখের সুস্থতা

চোখের ড্রাইনেস দূর করার উপায় কি ?

চোখের ড্রাইনেস দূর করার কিছু কার্যকর উপায় হলো:

  1. চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন – কৃত্রিম টিয়ার বা লুব্রিকেটিং আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
  2. পর্যাপ্ত পানি পান করুন – শরীর হাইড্রেটেড রাখলে চোখ শুষ্ক হবে না।
  3. কম্পিউটার ব্যবহারের সময় বিরতি নিন – প্রতি ২০ মিনিট পর চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম দিন বা দূরে তাকান।
  4. বাতাসের সংস্পর্শ এড়ান – সরাসরি ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনারের বাতাস থেকে চোখ রক্ষা করুন।
  5. চোখের ব্যায়াম করুন – চোখ ঘোরানো, বারবার পলক ফেলা ড্রাইনেস কমাতে সাহায্য করে।
  6. ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খান – মাছ, বাদাম, চিয়া সিড ইত্যাদি চোখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  7. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন – কম ঘুম চোখের ড্রাইনেস বাড়াতে পারে।
  8. ধুলাবালি ও ধোঁয়া থেকে বাঁচুন – বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

*****************************************************************************

২০-২০-২০ রুল ফলো করার জন্য কম্পিউটারে কিভাবে এলার্ম সেট করবেন?

২০-২০-২০ রুল অনুসরণ করতে কম্পিউটারে এলার্ম সেট করার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করতে পারেন:

Windows Timer বা Alarm ব্যবহার করুন

  1. Windows Clock App ব্যবহার করুন:
    • Start MenuClock লিখে অনুসন্ধান করুন।
    • Timer অপশনে গিয়ে ২০ মিনিটের জন্য টাইমার সেট করুন।
    • টাইমার শেষ হলে নোটিফিকেশন আসবে।
  2. Windows Task Scheduler ব্যবহার করে পপ-আপ রিমাইন্ডার সেট করুন।

Browser Extensions ব্যবহার করুন

  • Eye Care 20 20 20 (Chrome Extension)
  • Break Timer (Chrome/Firefox)
  • Stretch Reminder (Google Chrome)

Desktop Apps ব্যবহার করুন

  • Workrave (Windows/Linux)
  • EyeLeo (Windows)

Google Assistant বা Cortana ব্যবহার করুন

  • “Hey Google, set a 20-minute reminder for eye break”

 

 

খুচরা আপডেট

#জেনজি

প্রজন্ম বলতে বোঝায় কাছাকাছি সময়ে জন্মগ্রহণকারী মানুষজন যারা চিন্তা চেতনা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে কাছাকাছি ধরনের হয়। 

১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী শিশুরা জেনারেশন জেড। 

২০১৩ থেকে ২০২৪ এ জন্মগ্রহণকারীরা জেনারেশন আলফা।

২০২৫ থেকে ২০৩৯ সাল পর্যন্ত জন্মগ্রহণকারীরা জেনারেশন বিটা হিসেবে পরিচিত হবে।

#রেলঃ 

বর্তমানে দেশের ৪৯ টি জেলা রেল লাইনের মাধ্যমে যুক্ত রয়েছে। বরিশাল বিভাগের কোন জেলাতেই রেল সংযোগ নেই। 

#ব্রিকসঃ 

ব্রিকস এর দশম সদস্য হিসেবে যোগদান করেছে ইন্দোনেশিয়া। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশটি ব্রিকসে যোগদানের ফলে আরো শক্তিশালী হবে। ইন্দোনেশিয়ার সর্ববৃহৎ মুসলিম জনসংখ্যার দেশ এবং আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।  ব্রিকস এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য গুলো হল ভারত চীন রাশিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল। গত বছর ইরান সংযুক্ত আরব আমিরাত মিশর এবং ইথিওপিয়া ব্রিকস এ যোগ দেয়।