ঢাকার যানজট নিরসনের এখনই সুযোগ – করণীয় সংক্ষেপে
ঢাকার যানজট শুধু নাগরিকদের ভোগান্তি নয়, বরং অর্থনৈতিক ক্ষতিরও বড় কারণ। এর পেছনে মূল কারণ হলো ব্যক্তিগত গাড়ির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং অনুন্নত গণপরিবহনব্যবস্থা।
🔑 মূল সমস্যা:
-
একটি বাসে যেখানে ৪০–৫০ জন যাত্রী পরিবহন হয়, সেখানে একই পরিমাণ রাস্তা দখল করে ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করে মাত্র ৪–৫ জন।
-
গণপরিবহনের মান খারাপ হওয়ায় মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির দিকেই ঝুঁকছে।
-
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো (উড়ালসড়ক, মেট্রোরেল ইত্যাদি) গণপরিবহন ভিত্তিক না হয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির সুবিধার দিকে বেশি ঝুঁকে গেছে।
-
২০০৭ সালে যানবাহনের গড় গতিবেগ ছিল ২১ কিমি/ঘণ্টা, বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৪.৮ কিমি/ঘণ্টায় (২০২২)।
✅ যা করণীয়:
-
ভালো মানের বাস চালু:
-
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, আরামদায়ক, নিরাপদ বাস চালু করতে হবে।
-
রংচটা, পুরাতন বাসগুলো বন্ধ করতে হবে।
-
-
বাস কোম্পানিভিত্তিক চালনা:
-
ব্যক্তি মালিকানার চুক্তিভিত্তিক বাস চালনার বদলে কোম্পানিভিত্তিক একক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।
-
এতে বাসের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, যত্রতত্র থামা বন্ধ হবে।
-
-
ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিরুৎসাহিত:
-
গাড়ির নিবন্ধন, পার্কিং ও জ্বালানি খরচ বাড়িয়ে সীমিত করতে হবে।
-
নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা যেতে পারে।
-
-
গণপরিবহনভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়ন:
-
শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য অবকাঠামো নির্মাণ না করে গণপরিবহন রুট ও ফিডার লাইন বাড়ানো।
-
✅ 5. ধীরগতির যানবাহন নিয়ন্ত্রণ:
- ঢাকার প্রধান সড়কে রিকশার মতো ধীরগতির যানবাহন নিষিদ্ধ করতে হবে।
- অলিগলি বা নির্দিষ্ট এলাকায় রিকশা চলতে পারে, তবে প্রধান রাস্তায় নয়।
✅ 6. সব বাস এক কোম্পানির আওতায়:
- বর্তমানে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাসের কারণে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
- সমাধান: সব বাসকে একটি বা কয়েকটি কোম্পানির অধীনে এনে নির্দিষ্ট রুটে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করতে হবে।
✅ 7. ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিবহন শৃঙ্খলা:
- ট্রাফিক সিগন্যাল চালু ও মানতে বাধ্য করা।
- মোড়ের ৫০–১০০ মিটারের মধ্যে কোনো যান থামানো বা পার্কিং নিষিদ্ধ করতে হবে।
- বাস থামার নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করতে হবে।
- বাসগুলো পেছন পেছন থামবে, পাশাপাশি নয়।
- ভ্রাম্যমাণ ট্রাফিক মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।
✅ ৪. আলাদা বাস লেন:
- বিদ্যমান রাস্তার মধ্যে বিভাজক দিয়ে বাসের জন্য পৃথক লেন চালু করা।
- এতে বাস চলাচল দ্রুত ও সময়মতো নিশ্চিত হবে।
***********************