Science

সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (Social Engineering) হলো এমন এক ধরনের প্রতারণা বা ছলচাতুরীর কৌশল, যার মাধ্যমে মানুষকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করে গোপন বা সংবেদনশীল তথ্য বের করে আনা হয়।


🔍 মূল ধারণা:

সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়াররা মানুষের আস্থার সুযোগ নিয়ে তাদের কাছ থেকে এমন কাজ করিয়ে নেয় বা তথ্য জেনে নেয়, যা তারা সাধারণত কাউকে বলতেন না।


📌 সাধারণ কৌশলগুলো:

  1. Pretexting (ভান করা)
    বিশ্বাসযোগ্য মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তথ্য বের করা
    উদাহরণ: নিজেকে ব্যাংক অফিসার বা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ফোন করা।
  2. Phishing (ফিশিং)
    ইমেইল, মেসেজ বা লিংকের মাধ্যমে প্রতারণা করা
    উদাহরণ: “আপনার একাউন্টে সমস্যা হয়েছে, এখানে ক্লিক করুন” ধরনের ইমেইল।
  3. Impersonation (ছদ্মবেশ ধারণ)
    অন্য কারও পরিচয় ধারণ করে কাজ করানো
    উদাহরণ: আইটি কর্মী সেজে অফিসে প্রবেশ করা।
  4. Baiting (লোভ দেখানো)
    কিছু আকর্ষণীয় দেখিয়ে কৌতূহল তৈরি করে ফাঁদে ফেলা
    উদাহরণ: ফ্রি মুভি/সফটওয়্যার ডাউনলোড লিংকে ভাইরাস ঢুকানো।
  5. Tailgating (পিছনে ঢুকে পড়া)
    নিরাপদ স্থানে প্রবেশের জন্য কারো সাথে সাথে ঢুকে পড়া
    উদাহরণ: পরিচয় না দেখিয়ে অফিসে ঢুকে পড়া।

🎯 উদ্দেশ্য:

  • পাসওয়ার্ড চুরি
  • ব্যাংক একাউন্টের তথ্য নেওয়া
  • সংস্থার ভিতরের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া
  • নেটওয়ার্কে প্রবেশের পথ খোঁজা

🛡️ প্রতিকার:

  • অপরিচিত ইমেইল ও লিংকে ক্লিক না করা
  • ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে না দেয়া
  • অফিসে পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ঢুকতে না দেয়া
  • নিয়মিত নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা

সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং একধরনের মানবকেন্দ্রিক সাইবার হুমকি, যেখানে মানুষের মনোজগতই মূল লক্ষ্য।

******************

Science, Engineering, এবং Technology—এই তিনটি ক্ষেত্র একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত হলেও এদের মাঝে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। নিচে তা সহজভাবে তুলে ধরা হলো:


🔬 Science (বিজ্ঞান)

উদ্দেশ্য: প্রাকৃতিক জগৎ ও ঘটনাকে বোঝা।
কাজ:

  • পর্যবেক্ষণ

  • পরীক্ষা-নিরীক্ষা

  • তত্ত্ব গঠন

  • ব্যাখ্যা প্রদান

উদাহরণ:

  • নিউটনের গতিসূত্র আবিষ্কার

  • পানির রাসায়নিক গঠন (H₂O)


🛠️ Engineering (প্রকৌশল)

উদ্দেশ্য: বিজ্ঞানের জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করা বা কিছু তৈরি করা।
কাজ:

  • ডিজাইন করা

  • গঠন ও নির্মাণ

  • প্রয়োগে উপযোগী সমাধান বের করা

উদাহরণ:

  • ব্রিজ বা বিল্ডিং ডিজাইন করা

  • রকেট ইঞ্জিন তৈরি করা


💡 Technology (প্রযুক্তি)

উদ্দেশ্য: মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহারের উপযোগী যন্ত্র, পদ্ধতি বা সিস্টেম তৈরি করা।
কাজ:

  • নতুন যন্ত্রপাতি বা সফটওয়্যার তৈরি

  • বিদ্যমান প্রযুক্তিকে উন্নত করা

  • মানুষের দৈনন্দিন জীবন সহজ করা

উদাহরণ:

  • স্মার্টফোন

  • ইন্টারনেট

  • মোবাইল অ্যাপ


🧾 তুলনামূলক টেবিল:

দিক Science (বিজ্ঞান) Engineering (প্রকৌশল) Technology (প্রযুক্তি)
উদ্দেশ্য বোঝা সমাধান বের করা ব্যবহার উপযোগী কিছু তৈরি করা
ভিত্তি তত্ত্ব ও গবেষণা বিজ্ঞানের প্রয়োগ প্রকৌশলের বাস্তব রূপ
ফলাফল জ্ঞান ডিজাইন/মডেল যন্ত্র/প্রযুক্তি
উদাহরণ মহাকর্ষের সূত্র ব্রিজ নির্মাণ গুগল ম্যাপ, মোবাইল, ল্যাপটপ

একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে বোঝানো:

বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন যে পোলিও রোগের জন্য একটি ভাইরাস দায়ী
প্রকৌশলীরা সেই ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরি করলেন
প্রযুক্তিবিদরা সেই ভ্যাকসিনটি সংরক্ষণ ও পরিবহন উপযোগী প্রযুক্তি তৈরি করলেন

Project Management

LC Margin কী?

  • এটি একটি অগ্রিম জামানত, যা আমদানিকারক ব্যাংকে জমা রাখে এলসি খোলার জন্য।

  • সাধারণত পণ্যের মূল্যের ৩০%-৮০% পর্যন্ত হয়ে থাকে।

  • এর মাধ্যমে ব্যাংক নিজেকে রক্ষা করে আমদানিকারকের ব্যর্থতার বিপরীতে।


Erection All Risk (EAR) Insurance

এটি এমন একটি ইন্স্যুরেন্স যা যন্ত্রপাতি স্থাপন, সংযোগ ও কমিশনিং পর্বে সম্ভাব্য ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।

কভার করে:

  • প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি (আগুন, বন্যা, ঝড় ইত্যাদি)

  • চুরি, দুর্ঘটনা

  • তৃতীয় পক্ষের ক্ষতি

  • প্রকল্পে বিলম্ব এবং সম্ভাব্য লাভ ক্ষতি

Structure and Transport

ঢাকার যানজট নিরসনের এখনই সুযোগ – করণীয় সংক্ষেপে

ঢাকার যানজট শুধু নাগরিকদের ভোগান্তি নয়, বরং অর্থনৈতিক ক্ষতিরও বড় কারণ। এর পেছনে মূল কারণ হলো ব্যক্তিগত গাড়ির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং অনুন্নত গণপরিবহনব্যবস্থা।


🔑 মূল সমস্যা:

  • একটি বাসে যেখানে ৪০–৫০ জন যাত্রী পরিবহন হয়, সেখানে একই পরিমাণ রাস্তা দখল করে ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করে মাত্র ৪–৫ জন।

  • গণপরিবহনের মান খারাপ হওয়ায় মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির দিকেই ঝুঁকছে।

  • উন্নয়ন প্রকল্পগুলো (উড়ালসড়ক, মেট্রোরেল ইত্যাদি) গণপরিবহন ভিত্তিক না হয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির সুবিধার দিকে বেশি ঝুঁকে গেছে।

  • ২০০৭ সালে যানবাহনের গড় গতিবেগ ছিল ২১ কিমি/ঘণ্টা, বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৪.৮ কিমি/ঘণ্টায় (২০২২)।


যা করণীয়:

  1. ভালো মানের বাস চালু:

    • শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, আরামদায়ক, নিরাপদ বাস চালু করতে হবে।

    • রংচটা, পুরাতন বাসগুলো বন্ধ করতে হবে।

  2. বাস কোম্পানিভিত্তিক চালনা:

    • ব্যক্তি মালিকানার চুক্তিভিত্তিক বাস চালনার বদলে কোম্পানিভিত্তিক একক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।

    • এতে বাসের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, যত্রতত্র থামা বন্ধ হবে।

  3. ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিরুৎসাহিত:

    • গাড়ির নিবন্ধন, পার্কিং ও জ্বালানি খরচ বাড়িয়ে সীমিত করতে হবে।

    • নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা যেতে পারে।

  4. গণপরিবহনভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়ন:

    • শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য অবকাঠামো নির্মাণ না করে গণপরিবহন রুট ও ফিডার লাইন বাড়ানো।

✅ 5. ধীরগতির যানবাহন নিয়ন্ত্রণ:

  • ঢাকার প্রধান সড়কে রিকশার মতো ধীরগতির যানবাহন নিষিদ্ধ করতে হবে।
  • অলিগলি বা নির্দিষ্ট এলাকায় রিকশা চলতে পারে, তবে প্রধান রাস্তায় নয়।

 

✅ 6. সব বাস এক কোম্পানির আওতায়:

  • বর্তমানে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাসের কারণে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
  • সমাধান: সব বাসকে একটি বা কয়েকটি কোম্পানির অধীনে এনে নির্দিষ্ট রুটে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করতে হবে।

✅ 7. ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিবহন শৃঙ্খলা:

  • ট্রাফিক সিগন্যাল চালু ও মানতে বাধ্য করা।
  • মোড়ের ৫০–১০০ মিটারের মধ্যে কোনো যান থামানো বা পার্কিং নিষিদ্ধ করতে হবে।
  • বাস থামার নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করতে হবে।
  • বাসগুলো পেছন পেছন থামবে, পাশাপাশি নয়।
  • ভ্রাম্যমাণ ট্রাফিক মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।

✅ ৪. আলাদা বাস লেন:

  • বিদ্যমান রাস্তার মধ্যে বিভাজক দিয়ে বাসের জন্য পৃথক লেন চালু করা।
  • এতে বাস চলাচল দ্রুত ও সময়মতো নিশ্চিত হবে।

***********************