৪৪ বিসিএস ভাইভা অভিজ্ঞতাঃ বোর্ড – সুজায়েতুল্লাহ

 

ভাইভা ১৪/০৫/২০২৫

বোর্ডঃ মোঃ সুজায়েত উল্যা স্যার

 

chairman sir: CSE নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করেছেন। . এখন চাকরি করছেন কোথাও ?

– বললাম করছি, প্রতিষ্ঠানের নাম এবং পদের নাম বললাম

(এক্সটার্নাল ১ এর দিকে ইঙ্গিত করে বললেন আপনি জিজ্ঞেস করেন)

External 01

2) what is the difference between computer science and computer engineering

3) Computer science “সায়েন্স” কেনো ? “Accounting ” এটি কি সায়েন্স?

5) আপনার চাকরির রোল কি ? কি কাজ করেন স্টক এক্সচেঞ্জ এর আইটি তে।

6) সার্কিট ব্রেকার নিয়ে কাজ করে থাকে কোন ডিপার্টমেন্ট

7) আপনার প্রথম ক্যাডার চয়েস কি?

8) আপনি সিএসই পড়াশোনা করে প্রশাসনে কেনো আসতে চাচ্ছেন?

9) এগুলো তো আপনি পুলিশ ক্যাডারের গেলেও করতে পারবেন। তাহলে প্রশাসন কেনো?

10) প্রশাসনের সাথে আপনার সাব্জেক্ট নলেজ কিভাবে কাজে লাগাবেন?

11) বর্তমানে বাংলাদেশ যে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেলো, আপনি কি মনে করেন বাংলাদেশ সঠিক পথে আছে ? আমরা কি সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছি? এআই এর এই যুগে কি আমরা প্রস্তুত?

12) বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাকিং সম্পর্কে জানেন ? এখানে দায় কার ? কিভাবে হ্যাক করে নিয়ে গেলো ? ঠেকানো গেলো না কেনো?

 

External 02:

10) Fireball কি?( উনি মূলত firewall বুঝাতে চেয়েছেন , আমি একবার সরি বলে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছি তখনো fireball বলছিলেন। পরে উত্তর দিতে গিয়ে বুঝি যে উনি firewall বুঝাচ্ছেন।

11) IoT কি?

12) Data Variable আর Information এর মধ্যে পার্থক্য কি ?

13) অগমেন্টেড রিয়েলিটি কি ?

14) গত ১৪ ই এপ্রিল সংসদ ভবনের সামনে যে একটা শো হলো এটা কি ? এটা কি আউগমেন্টেড রিয়েলিটি এর উদাহরণ হতে পারে?

15) Indian civil service সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে ? বলেন কিছু ধারণা থাকলে

16) মাইক্রোসফট এক্সেল এর কিছু জিনিস জিজ্ঞেস করেছে , পারি নাই সেগুলা ।

17) ম্যাক্রোসফট এক্সেল এর pivot কি?

(শেষে বললেন fireball কি এটা বাসায় গিয়ে দেখবেন)

 

Chairman sir:

 

17) এই ডিজিটাল যুগে আরেকটা টার্ম ব্যবহার হয় সেটা হলো Digital Divide. What is digital divide ?

18) How can we eradicate digital divide from the society?

19) জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ সম্পর্কে সংবিধানে একটি ধারা আছে। কোন দুটি ক্ষেত্রে এটা শিথিল থাকে,

20) গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ সম্পর্কে একটি ধারা আছে, এই ধারা মোতাবেক একজন ব্যক্তি কি কি রক্ষাকবচ পায় ?

 

আপনি আসতে পারেন।

সালাম দিয়ে চলে আসলাম

*************

৪৪তম বিসিএস ভাইভা অভিজ্ঞতা
========================
তারিখ: ১৪/০৫/২০২৫
বোর্ড: সুজায়েতুল্লাহ স্যার

সময়: ২৩-২৫ মিনিট

পছন্দ: পুলিশ, এডমিন, অডিট, ট্যাক্স…

অনুমতি নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে সালাম দিয়ে বসলাম।

চেয়ারম্যান স্যার: আপনার নাম কি? এখন কোথায় কর্মরত আছেন?

আমি: মোঃ আসাদ মাহমুদ। বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছি।

চেয়ারম্যান স্যার: আপনি তো মার্কেটিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন বলে এক্সটার্নাল ১ এর দিকে ইঙ্গিত করে বললেন আপনার জিজ্ঞাসার বিষয়।

এক্সটার্নাল ১: বাংলাদেশ ব্যাংক ও ক্যাডার সার্ভিস দুটোই প্রেস্টিজিয়াস জব। তো বাংলাদেশ ব্যাংকের জব করেও কেন তুমি কেন ক্যাডার সার্ভিস এর দিকে আসতে চাও।

আমি: স্যার, বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরির অ্যাপ্লাই এর আগে আমি এই বিসিএসে অ্যাপ্লাই করেছি। (চেয়ারম্যান স্যার হেসে হেসে বলল, ওখানে ও চাকরি করতেছে আর এখানে মাত্র ভাইবা দিতে আসছে) আর প্রিপারেশন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরীক্ষাও দিয়েছি এবং বিসিএস এরও পরীক্ষা দিয়েছি।

এক্সটার্নাল-১: এছাড়াও কেন আসতে চাও?

আমি: অনেক আগে থেকেই আমার নিজের এবং পরিবারের ইচ্ছা আছে যে আমি এখানে আসি। বাংলাদেশ ব্যাংকে বেসিক্যালি পলিসি নিয়ে কাজ করা হয়, আর ক্যাডার সার্ভিসে সরাসরি পাবলিকের সাথে কাজ করা যায়।

এক্সটার্নাল ১: তার মানে বলতে চাচ্ছো, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ পাবলিকের সাথে সম্পৃক্ত নয়?

আমি: পাবলিকের সাথে সম্পৃক্ত কিন্তু ডিরেক্টলি নয়। (স্যার পজিটিভ মাথা নাড়লেন)

এক্সটার্নাল -১: তোমার প্রথম চয়েজ কি?

আমি: পুলিশ

এক্সটার্নাল ১: তুমি কিভাবে পুলিশের ব্র্যান্ডিং করবেন?

আমি: স্যার পুলিশের কার্যক্রম Service Marketing এর সাথে যায়। সেক্ষেত্রে, জনগণের সাথে মিশে পজেটিভ কাজ করে, বিট পুলিশিং এর কার্যক্রম বৃদ্ধি করে জনগণ ও জেন-জি দের পালস বুঝে সে অনুযায়ী কাজ করে পুলিশের ব্র্যান্ডিং করবো। এছাড়া জনগন আজকাল সোশাল মিডিয়ার কারনে অনেক সহজে তথ্যের এক্সেস পাচ্ছে এবং আগের চেয়ে বেশি সচেতন। সো জনগনের সাথে মিশে পজেটিভ ওয়েতে কাজ করে পুলিশের ব্র্যান্ডিং করার চেষ্টা করবো।

এক্সটার্নাল -১: জেন জি এর পর আর কোন জেনারেশন আছে?

আমি: জেনারেশন আলফা এবং কত সাল থেকে শুরু হয়েছে বলায় আমি বললাম ২০১২ সাল থেকে।

এক্সটার্নাল -১: Service Marketing এর ৫ টি এরিয়া আছে। কি কি?

আমি: Intangibility, Perishability, Durability…স্যার বাকি ২টা মনে নেই

এক্সটার্নাল -১: আচ্ছা, নো প্রবলেম। ঠিক আছে।

এক্সটার্নাল -১: IMC কি?

আমি: দুঃখিত বলায় স্যার হাসিমুখে ধ্যাত বলার পর আমি বললাম, Integrated Marketing Communication.

এক্সটার্নাল ১: IMC এর কোন জিনিসের মাধ্যমে পুলিশের Negative Image দূর করার চেষ্টা করবে?

আমি: স্যার, Public Relations এর মাধ্যমে জনগনের থেকে Feedback নিয়ে সে অনুযায়ী পুলিশের কিছু কার্যক্রম rectify করার চেষ্টা করবো। (স্যার মনে হয় উত্তরে pleased হয়েছেন)

এক্সটার্নাল -১: Social Marketing and Societal Marketing কি একই? দুইটা সম্পর্কে বলো?

আমি: স্যার দুটোর কনসেপ্ট একই (আমি নিজেও কনফিউজড)। Societal Marketing হচ্ছে কোনো প্রতিষ্ঠান এর কাজের মাধ্যমে যেন CSR (Corporate Social Responsibility) activities fulfill হয়, যেখানে প্রতিষ্ঠানের কাজের মাধ্যমে যেন পরিবেশ এবং মানুষের ক্ষতি না হয়।

এক্সটার্নাল-১: Production Concept এবং Product Concept কি?

আমি: Production Concept হচ্ছে একটা Organization কি পরিমান Production করবে, কিভাবে করবে ইত্যাদি আর Product Concept হচ্ছে Product এর quality maintain করে কিভাবে peoples দের কাছে পৌঁছে দিবে।

এক্সটার্নাল -১: ধরো এই দুটি Concept এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংক কোনটি ফলো করে?

আমি: সোনালী ব্যাংক Production Concept এবং ইস্টার্ন ব্যাংক Product Concept (স্যার পজেটিভলি উত্তর নিয়েছেন)

এক্সটার্নাল -২: আজকাল তো পরিবেশ বান্ধব, গ্রীণ প্রোডাক্ট বলে বিভিন্ন কোম্পানি, সুপার শপগুলো ভেজাল প্রোডাক্ট দেয়। যাই হোক, Green Washing বলতে কি বুঝ?

আমি: দুঃখিত স্যার। এই টার্মটি আমি প্রথম শুনলাম।

এক্সটার্নাল-২: PRB কি?

আমি: Police Regulations of Bengal

এক্সটার্নাল -২: এটাকে কি বলা হয়?

আমি: পুলিশের বাইবেল।

এক্সটার্নাল -২: CrPC কি?

আমি: Code of Criminal Procedure. যেখানে অপরাধের ধরণ ও শাস্তির বিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশে কার্যকর হবে।

এক্সটার্নাল -২: ৫ই আগষ্টের পর দেশের প্রায় সব থানা পুলিশ শূন্য ছিল। আমার ছেলেও পাহাড়া দিয়েছে। আমার জানা মতে কোনো সভ্য দেশে যুদ্ধ ছাড়া এমন ঘটনা ঘটেনি। পুলিশের যে এই নেতিবাচক ইমেজ দূর করতে কি করা উচিত?

আমি: স্যার, যখনই কোনো সরকার ক্ষমতায় আসে তখনই পুলিশকে Politically Abuse করে। এটা দূর করতে হবে। সাথে অনেক আগের CrPC, Penal Code এর কিছু আইনের আওতায় থেকে বের হতে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করা উচিত।

——–এবার চেয়ারম্যান স্যার নিজে প্রশ্ন করা শুরু করলেন (যেহেতু উনি এডমিন ক্যাডার, পুলিশ কমিশন এর কথা শুনে পার্সোনালি নিয়েছে কিনা কে জানে)—-

চেয়ারম্যান স্যার: তার মানে স্বাধীন পুলিশ কমিশন থাকলে পুলিশ দুর্নীতি করবে না, আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ থাকলে দুর্নীতি করবে।

আমি: না স্যার, পুলিশ কমিশন এর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথেও থাকবে। politically abuse যাতে না হয় সেজন্য পুলিশ কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একসাথে কাজ করবে।

চেয়ারম্যান স্যার: শোনেন পুলিশ তো CrPC, PRB এর আইনের মধ্যে কোনো Illegal কাজ করতে বলে নি। লোকাল মাস্তানদের কথা মত কাজ করলে সেটাকে কি বলবে?

আমি: স্যার, এটা তো Individual নৈতিকতার অবক্ষয়।

চেয়ারম্যান স্যার: Exactly. সিনিয়র স্যাররা জনগনকে গুলি করতে বললে কি করবে?

আমি: আইনের বাহিরে গিয়ে আমি কাউকে গুলি করবো না।

চেয়ারম্যান স্যার: আরে তুমি না, সম্মিলিত ভাবে সবাইকে বলছি। জনগনের এত ক্ষোভ কেন ছিল যে থানা ভাঙচুর করেছে। এসব নেতিবাচক ইমেজের জন্য কি করবে?

আমি: ক্ষমতা দেখিয়ে জনগনের চাওয়া পাওয়া পূরণ করেনি, জনগনের উপর প্রভাব খাটিয়েছে। সেজন্যই জনগনের এত ক্ষোভ ছিল। তাই জনগণের সাথে মিশে তাদের চাওয়া পাওয়া অনুযায়ী কাজ করে নেতিবাচক মনোভাব দূর করার চেষ্টা করবো।

চেয়ারম্যান স্যার: পুলিশের কিন্তু চ্যালেঞ্জ ও আছে। কোনো কাজ আইনগতভাবে করতে না পারলে সেটা কিন্তু punishable offence. তুমি কি এই চ্যালেঞ্জ নিতে চাও?

আমি: হ্যাঁ স্যার।

চেয়ারম্যান স্যার: Okay. তোমার Attitude Positive. Best Of Luck.

অন্যান্য স্যারদের দিকে ইঙ্গিত করে, ওকে কি আর কিছু জিজ্ঞেস করবেন?

উনারা না বলায় এবং আমাকে আসতে বলায়, আমি সালাম দিয়ে কাগজপত্র নিয়ে বের হয়েছি।

আরো টুকটাক আলোচনা ছিলো, অনেক কিছু মনে নেই তবে মূল এইগুলোই ছিল।
(Collected)

বাংলাদেশের ইতিহাস

মুসলিম লীগের অবসান:

১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বরে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ মৃত্যুবরণ করেন এবং ১৯৫১ সালের অক্টোবরে লিয়াকত আলি খানকে হত্যা করা হয়। দুই প্রবীণ নেতার মৃত্যুর পর দলটি ভেঙে পড়তে শুরু করে। ১৯৫৩ সাল নাগাদ লীগের মধ্যে বিভেদ দলের সদস্যদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে পরিচালিত করে। ১৯৫৩ সালের এপ্রিলে লিয়াকত আলি খানের স্থলাভিষিক্ত বাঙালি নেতা খাজা নাজিমুদ্দিনকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এছাড়াও ১৯৫৫ সালের মে মাসে প্রথম জাতীয় নির্বাচনে (পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে) যুক্তফ্রন্টের গঠিত রাজনৈতিক জোটের কাছে মুসলিম লীগ পরাজিত হয়। ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং জেনারেল আইয়ুব খান প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হয়ে সব ধরনের রাজনীতি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে দেয়। এর ফলে পুরনো মুসলিম লীগের সমাপ্তি ঘটে। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল মুহাম্মদ আইয়ুব খান সামরিক আইন ঘোষণার পর দলটি ভেঙে দেওয়া হয়। Continue reading

সংবিধান, আইন, সরকারের গঠন

 

 

*************************

প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার

(ক) প্রধানমন্ত্রী পদে মেয়াদসীমা:

  • কেউ যেন দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন – এই বিধান সংযুক্ত করা।

(খ) চার বছর অন্তর সংসদ নির্বাচন:

  • গণতান্ত্রিক গতিশীলতা বাড়াতে নির্বাচন পাঁচ নয়, চার বছর পরপর হোক।

(গ) বিচার বিভাগের স্বাধীনতা:

  • বিচারকদের নিয়োগ, বদলি ইত্যাদি জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে করতে হবে।

  • সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগই কমিশন গঠন করবে।

(ঘ) সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন:

  • জনগণের সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা।

(ঙ) সংখ্যানুপাতিক ভোট ব্যবস্থা:

  • ৩০০ সদস্যের পুরনো পদ্ধতির সঙ্গে ১০০ সদস্যের সংখ্যানুপাতিক উচ্চকক্ষ সংযুক্ত করা।

(চ) নারীর অংশগ্রহণ:

  • ৫০ রিজার্ভ সিট বাদ দিয়ে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধি নিশ্চিত করা।

(ছ) তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল:

  • তবে এতে বিচার বিভাগ জড়িত না রেখে নিরপেক্ষ পদ্ধতিতে উপদেষ্টা নিয়োগ নিশ্চিত করা।

(জ) সংবিধান পুনর্লিখন কমিশন ও গণভোট:

  • সংবিধান পুনর্লিখন কমিশন গঠন করে সব প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে তা গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদন।

******************

সরকারি কর্মচারী আচরণবিধিমালা অনুযায়ী সম্পদের হিসাব দেওয়ার নিয়ম

🔷 মূলনীতি:
সরকারি কর্মচারী আচরণবিধিমালা, ১৯৭৯ (সংশোধিত ২০২২) অনুযায়ী—
➤ প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে
1️⃣ চাকরিতে যোগদানের সময়
2️⃣ এরপর প্রতি ৫ (পাঁচ) বছর অন্তর
নিজের ও নির্ভরশীলদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারকে জমা দিতে হয়।

🔷 উদ্দেশ্য:
✅ সরকারি কর্মচারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা
দুর্নীতি প্রতিরোধ করা

🔷 বর্তমান নির্দেশনা:
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্দেশ দিয়েছে—
প্রতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে।

🔷 গোপনীয়তা:
✔️ জমাকৃত সম্পদের হিসাব একটি স্বীকৃত খামে গোপনীয়ভাবে জমা দিতে হয়।
✔️ এটি তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর আওতায় পড়ে না।
❗ তবে কারও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা বা মামলা হলে, তখন সেই তথ্য গোপন থাকে না।

***************************

সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা – সংক্ষেপে বিশ্লেষণ

🔹 আইনি ভিত্তি:
ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সীমিত সময়ের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়।

🔹 ক্ষমতার সময়সীমা:
👉 ৬০ দিন (২ মাস)

🔹 কারা এই ক্ষমতা পায়:
👉 সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

🔹 যে ১৭টি ধারা এক্সিকিউট করতে পারবে:

  • গ্রেপ্তার, পরোয়ানা, তল্লাশি: ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০৫

  • মুচলেকা ও নিরাপত্তা: ধারা ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬

  • জনশৃঙ্খলা: ধারা ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩, ১৪২

🔹 ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:

  • ২০০১: বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার দাবি করে, কিন্তু তা নাকচ হয়।

  • ২০০২: বিএনপি সরকার ৮৪ দিনের জন্য সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়, চালু হয় অপারেশন ক্লিনহার্ট, ১২ হাজার গ্রেপ্তার, ৪০ জন মৃত্যুবরণ।

    পরে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ ২০০৩ জারি করে সেনাবাহিনীকে ক্যাম্পে ফেরানো হয়।

  • ২০১০: আওয়ামী লীগ আরপিও (RPO) থেকে সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞা থেকে বাদ দেয়।

🔹 মূল বিষয়:
এই ক্ষমতা অসামরিক শাসনের আওতায় সেনাবাহিনীকে বিশেষ প্রশাসনিক ক্ষমতা দেয়, যা সংবেদনশীল এবং বিতর্কিত। অতীতে এ ক্ষমতার ব্যবহার ও অপব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক রয়েছে।

সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (Commissioned Officer) বলতে বোঝানো হয় সেই সব সেনা কর্মকর্তাদের, যারা সরকার বা রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে কমিশন লেটার (Commission Letter) পেয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এবং একটি নির্দিষ্ট পদমর্যাদায় নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

🔹 কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পদসমূহ (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী):

  1. সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট / লেফটেন্যান্ট

  2. ক্যাপ্টেন

  3. মেজর

  4. লেফটেন্যান্ট কর্নেল

  5. কর্নেল

  6. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল

  7. মেজর জেনারেল

  8. লেফটেন্যান্ট জেনারেল

  9. জেনারেল (Army Chief)

👉 এরা সরাসরি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (BMA) থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কমিশন লাভ করেন এবং বিভিন্ন ইউনিট, ব্রিগেড, বা ডিভিশনের নেতৃত্ব দেন।

🔸 কমিশনপ্রাপ্ত না হলে কে হন?

নন-কমিশনড অফিসার (NCO) যেমন: সার্জেন্ট, ওয়ারেন্ট অফিসার, করপোরাল ইত্যাদি, যারা সাধারণত ফোর্সে থেকে প্রমোশনের মাধ্যমে পদ লাভ করেন কিন্তু কমিশনধারী নন।

*******************************

সরকারের গঠন

  • আইন বিভাগ – আইন প্রণয়ন করে।
  • নির্বাহী বা শাসন বিভাগ – আইন বাস্তবায়ন করে।
  • বিচারবিভাগ – অপরাধের শাস্তি প্রদান করে, জনগণের অধিকার রক্ষা করে।

নির্বাহী বিভাগের কাঠামো:
রাষ্ট্রপতি: সংবিধানের ৪৮ তম অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির কথা উল্লেখ রয়েছে। ৫৫ তম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে রাষ্ট্রের সকল আদেশে রাষ্ট্রপতির নামে গৃহীত হবে।
প্রধানমন্ত্রী: সংবিধানের ৫৫ ও ৫৬ অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রী পরিষদের কথা বলা আছে। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের আমলের সংবিধানের ১২ তম সংশোধনীর মাধ্যমে আমরা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের থেকে প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকারে ফেরত এসেছি।
সংবিধানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ:
৪৮ রাষ্ট্রপতি দেশের অলংকারিক প্রধান। সবকিছুতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিয়ে কাজ করবেন।
৪৯ ক্ষমা প্রদর্শন করতে পারবেন।
৫৫ রাষ্ট্রপতি দেশের প্রধান নির্বাহী
৫৫ ৫৬ শাসন বিভাগের জবাবদিহিতা
৫৯ ৬০ স্থানীয় প্রশাসন
৬৪ অ্যাটর্নি জেনারেল
১৫ রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।

  • খাদ্য বস্ত্র আশ্রয় শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।
  • যুক্তিসঙ্গত মজুরের বিনিময়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।
  • যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম বিনোদন এবং অবকাশের ব্যবস্থা করবে।
  • সামাজিক নিরাপত্তার বিধান করবে।

বাংলাদেশের এটর্নী জেনারেল কি নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা না বিচার বিভাগের?

বাংলাদেশের অ্যাটর্নী জেনারেল নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা।

সংবিধানের ৬৪(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তিনি নিযুক্ত হন এবং রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে তার পদে বহাল থাকেন।

তিনি মূলত সরকারকে আইনি পরামর্শ প্রদান করেন এবং আদালতে সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন। এই কাজগুলো নির্বাহী বিভাগের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।

যদিও অ্যাটর্নী জেনারেলকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্য হতে হয় এবং তিনি সকল আদালতে সরকারের পক্ষে আইনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের অধিকার রাখেন, তবুও তিনি বিচার বিভাগের অংশ নন। তার নিয়োগ এবং কার্যকাল নির্বাহী বিভাগের উপর নির্ভরশীল।