কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

মার্চ ২০২৫

একুশে পদক ২০২৫ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পেয়েছেন মেহেদী হাসান খান,  সাহিত্যে পেয়েছেন হেলাল হাফিজ।

জাতীয় নগরীর নীতি অনুযায়ী পাঁচ লাখ থেকে ১ কোটির জনসংখ্যা হলে মহানগর বা মেট্রোপলিটন সিটি বলা হবে। এক কোটি এর উপর হলে মেগাসিটি। পাঁচ লাখ এরকম হলে জেলা শহর।

সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সরা। বাশার আল আসাদ কে সরিয়ে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের সাথে ভুটানেও স্টারলিং চালু হয়।

ডিপসিক আর১ মডেল এ কাজ করে। উদ্ভাবক লিয়াং ওয়েন ফেং। কুয়েন আলিবাবার এআই।

ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো কানাডা চীন এসব দেশের পণ্যের উপরে বাড়তি কর আরোপ করেছে।  ডিপার্টমেন্ট অফ গভমেন্ট এফিসিয়েন্সি এর প্রধান ইলন মাস্ক।

জাস সোলাই – মাটির অধিকার

যাসশ্যাঙ্গুইনাস – অভিভাবকের নাগরিকত্বের বিবেচনায়।

 

 

 

 

Business English

🧾 What is Business English?

Business English is a form of English used in professional and workplace settings. It focuses on the vocabulary, expressions, and communication styles needed in business situations like meetings, negotiations, presentations, emails, and formal reports.

✴️ Key Features:

  • Formal Tone: Polite, respectful, and professional language.

  • Specific Vocabulary: Words like revenue, deadline, client, proposal, etc.

  • Clear Communication: Direct and effective writing/speaking to avoid confusion.

  • Cultural Awareness: Understanding how business is done across cultures.

Continue reading

সাফ কাবলা দলিল কী? জমি কেনাবেচায় কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

বাংলাদেশে জমি কেনাবেচা অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগত কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন আইনি দলিলের মধ্যে সাফ কবলা দলিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

সাফ কবলা দলিল কী?

সাফ কবলা দলিল হলো একটি আইনি দলিল, যা জমি, ফ্ল্যাট বা প্লটের মতো সম্পত্তি এক পক্ষ (বিক্রেতা) থেকে অন্য পক্ষের (ক্রেতা) কাছে অর্থের বিনিময়ে হস্তান্তরের সময় সম্পাদিত হয়। বাংলায় “সাফ” মানে পরিষ্কার বা সম্পূর্ণ, আর “কবলা” মানে দলিল বা চুক্তি। এই দলিলটি সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তরকে আনুষ্ঠানিকভাবে নথিবদ্ধ করে এবং বাংলাদেশের রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ অনুযায়ী সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নিবন্ধিত হয়।

সাফ কবলা দলিলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে, যেমন:

  • বিক্রেতা (দাতা) ও ক্রেতার (গ্রহীতা) পূর্ণ পরিচয়।
  • সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ, যেমন অবস্থান, আয়তন, ও সীমানা (তফসিল বা তাপশিল অনুযায়ী)।
  • বিক্রয় মূল্য ও অর্থ পরিশোধের শর্ত।
  • সম্পাদন ও নিবন্ধনের তারিখ।
  • উভয় পক্ষের ও সাক্ষীদের স্বাক্ষর এবং সাব-রেজিস্ট্রারের অনুমোদন।

নিবন্ধনের পর এই দলিল সম্পত্তির সমস্ত অধিকার, মালিকানা ও স্বার্থ ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করে, এবং বিক্রেতার মালিকানা বিলুপ্ত হয়। এ কারণে বাংলাদেশে জমি কেনাবেচার জন্য এটি সবচেয়ে সাধারণ দলিল।

জমি কেনাবেচায় সাফ কবলা দলিল কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সাফ কবলা দলিল বাংলাদেশে সম্পত্তির মালিকানার মূল ভিত্তি। জমি কেনাবেচায় এর গুরুত্ব নিচের কারণগুলোর জন্য অপরিসীম:

১. মালিকানার প্রমাণ

সাফ কবলা দলিল ক্রেতার সম্পত্তির মালিকানার প্রাথমিক ও আইনি প্রমাণ। নিবন্ধনের পর এটি বিক্রেতার থেকে সমস্ত মালিকানা অধিকার ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করে, যা আইনের দৃষ্টিতে ক্রেতাকে বৈধ মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। নিবন্ধিত সাফ কবলা দলিল ছাড়া মালিকানার কোনো দাবি আইনত বৈধ নয়।

২. বিরোধের বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা

বাংলাদেশে জমি নিয়ে বিরোধ সাধারণ, যা প্রায়ই অস্পষ্ট মালিকানা, প্রতারণামূলক লেনদেন বা জাল দলিলের কারণে হয়। একটি সঠিকভাবে সম্পাদিত ও নিবন্ধিত সাফ কবলা দলিল ক্রেতাকে লেনদেনের স্পষ্ট রেকর্ড প্রদান করে সুরক্ষা দেয়। বিরোধের ক্ষেত্রে আদালত নিবন্ধিত দলিলের উপর নির্ভর করে বৈধ মালিক নির্ধারণ করে, যা তৃতীয় পক্ষের দাবি বা প্রতারক বিক্রেতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।

৩. নিবন্ধনের আইনি বাধ্যবাধকতা

রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ অনুযায়ী, জমির মতো স্থাবর সম্পত্তির সকল বিক্রয় দলিল নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। ২০০৫ সালের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে সাফ কবলা দলিলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। নিবন্ধনবিহীন দলিল মালিকানা প্রদান করে না এবং আদালতে মালিকানার প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, যা এই দলিলের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

৪. প্রতারণা ও জালিয়াতি প্রতিরোধ

সাফ কবলা দলিল নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রার বিক্রেতার মালিকানা, স্বাক্ষর ও অন্যান্য বিষয় যাচাই করে। এটি জাল দলিল বা অননুমোদিত ব্যক্তির দ্বারা বিক্রয়ের ঝুঁকি কমায়। ক্রেতাদের পরামর্শ দেওয়া হয় যে তারা দলিলের সত্যতা যাচাই করুন এবং খতিয়ান, নামজারি রেকর্ড ও কর রশিদের মতো সংশ্লিষ্ট দলিল পরীক্ষা করে নিশ্চিত করুন যে মালিকানা পরিষ্কার।

৫. ভবিষ্যৎ লেনদেনের সুবিধা

নিবন্ধিত সাফ কবলা দলিল সম্পত্তির পরবর্তী লেনদেন, যেমন বিক্রয়, বন্ধক বা উত্তরাধিকারীদের কাছে হস্তান্তরের জন্য অপরিহার্য। এটি জমির রেকর্ড হালনাগাদ (যেমন নামজারি) এবং জমির কর পরিশোধের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে, যা পরিষ্কার মালিকানা রেকর্ড বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বৈধ সাফ কবলা দলিল ছাড়া সম্পত্তির ভবিষ্যৎ লেনদেন আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে পারে।

৬. সম্পত্তির বিস্তারিত স্পষ্টতা

দলিলের তফসিল (তাপশিল) সম্পত্তির অবস্থান, আয়তন, সীমানা এবং দাগ নম্বরের মতো বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। এই স্পষ্টতা সম্পত্তির পরিমাণ বা পরিচয় নিয়ে বিরোধ প্রতিরোধ করে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে লেনদেনের বিষয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়া নিশ্চিত করে।

সাফ কবলা দলিলের খরচ

সাফ কবলা দলিল নিবন্ধনের সঙ্গে বেশ কিছু খরচ জড়িত, যা সম্পত্তির অবস্থান ও মূল্যের উপর নির্ভর করে। ২০২৪ সালের হিসেবে সাধারণ খরচগুলো হলো:

  • নিবন্ধন ফি: দলিলে ঘোষিত সম্পত্তির মূল্যের ১%।
  • স্ট্যাম্প ডিউটি: সম্পত্তির মূল্যের ১.৫%, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ ১,২০০ টাকা।
  • স্থানীয় সরকার কর: সম্পত্তির মূল্যের ৩% (সিটি করপোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে ২%, ইউনিয়ন এলাকায় ১%)।
  • উৎসে কর (আয়কর): অবস্থানের উপর নির্ভর করে দলিলের মূল্যের ৩% থেকে ৮%। ঢাকার গুলশান বা মতিঝিলের মতো প্রাইম এলাকায় এটি ৮% বা প্রতি কাঠায় ২০,০০,০০০ টাকা, যেটি বেশি।

এই খরচ সরকারি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে নির্ধারণ করা হয়, যেমন dolil.gov.bd/calculator, যা নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।

চ্যালেঞ্জ ও সতর্কতা

সাফ কবলা দলিল গুরুত্বপূর্ণ হলেও, ক্রেতাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে:

  • বিক্রেতার মালিকানা যাচাই: পূর্ববর্তী দলিল, খতিয়ান, নামজারি রেকর্ড ও কর রশিদ পরীক্ষা করে বিক্রেতার মালিকানা নিশ্চিত করুন। আইনজীবীর সহায়তা বা স্থানীয় ভূমি অফিসে যাচাই করা উচিত।
  • নিবন্ধনবিহীন দলিল এড়িয়ে চলুন: নিবন্ধনবিহীন দলিল আইনত অকার্যকর এবং কোনো সুরক্ষা দেয় না। সবসময় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নিবন্ধন নিশ্চিত করুন।
  • বাধা বা দায়মুক্তি যাচাই: সম্পত্তি ঋণ, বন্ধক বা আইনি বিরোধমুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করুন।
  • জাল দলিল থেকে সাবধান: দলিলের বিবরণ ভূমি রেকর্ডের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন যাতে জালিয়াতির শিকার না হন।
  • খরচ সম্পর্কে জানুন: নিবন্ধন ফি ও কর সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা রাখুন। সরকারি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে খরচের হিসাব করুন।

উপসংহার

সাফ কবলা দলিল বাংলাদেশে জমি কেনাবেচার মূল ভিত্তি, যা মালিকানা হস্তান্তর করে এবং ক্রেতার অধিকার সুরক্ষিত রাখে। এর বাধ্যতামূলক নিবন্ধন, বিস্তারিত নথিপত্র এবং প্রতারণা প্রতিরোধের ভূমিকা এটিকে নিরাপদ লেনদেনের জন্য অপরিহার্য করে। জমি ক্রয়ের সময় সঠিকভাবে সম্পাদিত ও নিবন্ধিত সাফ কবলা দলিল এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই বিরোধ এড়াতে ও বৈধ মালিকানা নিশ্চিত করতে সহায়ক।

সাফ কবলা দলিলের গুরুত্ব বুঝে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে ক্রেতারা জমি কেনাবেচার জটিলতা সফলভাবে পার করতে পারেন, তাদের বিনিয়োগ ও সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত রাখতে পারেন।

আরবি ভাষা শিক্ষা

আরবি ভাষা সম্পর্কে ধারণা

আরবি ভাষা একটি সমৃদ্ধ ও প্রাচীন ভাষা, যা সেমিটিক ভাষা পরিবারের অন্তর্গত। এটি বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষের মাতৃভাষা এবং ইসলামের ধর্মীয় ভাষা হিসেবে আরও অনেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আরবি ভাষার কিছু মূল বৈশিষ্ট্য:

  1. লিপি: আরবি লিপি ডান থেকে বামে লেখা হয়। এটি ২৮টি অক্ষর নিয়ে গঠিত, যা বিভিন্ন শব্দ ও ধ্বনির জন্য আকার পরিবর্তন করে।
  2. হরকত : হরকত হলো স্বরবর্ণের চিহ্ন (যেমন ফাতহা, কাসরা, দাম্মা), যা উচ্চারণে সহায়তা করে।
  3. ব্যাকরণ: আরবি ব্যাকরণ (নাহু ও সরফ) জটিল হলেও এটি অত্যন্ত সুনিয়ন্ত্রিত। শব্দের মূল (Root) সাধারণত তিন বা চার অক্ষরের হয়, যা বিভিন্ন রূপে পরিবর্তিত হয়।
  4. উপভাষা: আধুনিক প্রমিত আরবি (Modern Standard Arabic – MSA) সর্বত্র ব্যবহৃত হয়, তবে বিভিন্ন দেশে স্থানীয় উপভাষাও রয়েছে।

নিচে ৩০ দিনের একটি গাইডলাইন দেওয়া হলো, যা আপনাকে আরবি ভাষায় দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

Continue reading

Learning English

Let’s learn some rhyming words.

  • Boogie-woogie
    • English Meaning: An energetic dance or a lively style of jazz music, typically fast-paced and upbeat.
    • Example Sentence: She performed a boogie-woogie dance at the party, captivating everyone.
  • Fuddy-duddy
    • English Meaning: A person who is old-fashioned, overly conservative, or fussy.
    • Example Sentence: My uncle is such a fuddy-duddy; he refuses to try modern gadgets.
  • Silly billy
    • English Meaning: A foolish or silly person, often used affectionately.
    • Example Sentence: Why did you wear mismatched shoes, you silly billy?
  • Hocus-pocus
    • English Meaning: Magic, trickery, or deceptive tactics.
    • Example Sentence: He used some hocus-pocus to convince everyone he was a magician.
  • Lovey-dovey
    • English Meaning: Excessively affectionate or romantic behavior.
    • Example Sentence: The new couple was all lovey-dovey, whispering sweet nothings.
  • Helter-skelter
    • English Meaning: In a disorderly or hurried manner.
    • Example Sentence: When the rain started, everyone ran helter-skelter for cover.
  • Namby-pamby
    • English Meaning: Weak, overly sentimental, or lacking strength.
    • Example Sentence: His namby-pamby attitude made it hard to take the project seriously.
  • Willy-nilly
    • English Meaning: Without planning or in a haphazard manner.
    • Example Sentence: She made decisions willy-nilly and ended up in trouble.
  • Jeepers creepers
    • English Meaning: An expression of surprise or amazement (similar to “wow” or “oh my!”).
    • Example Sentence: Jeepers creepers, how did you catch such a huge fish?
  • Higgledy-piggledy
    • English Meaning: In a messy or disorganized way.
    • Example Sentence: His room was higgledy-piggledy, with things scattered everywhere.

Continue reading

চীনা ভাষা শিক্ষা

চিনা ভাষা (Chinese language) মূলত ম্যান্ডারিন ভাষার মাধ্যমেই বোঝানো হয়, যা ‘পুতংহুয়া’ নামেও পরিচিত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ কথা বলে এমন ভাষা, এবং চীনের পাশাপাশি তাইওয়ান ও সিঙ্গাপুরে সরকারিভাবে ব্যবহৃত হয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:

  1. টোনভিত্তিক ভাষা: মানে, এক শব্দের উচ্চারণ বদলালে অর্থ বদলে যায় (উদাহরণ: mā, má, mǎ, mà – চারটি ভিন্ন অর্থ হতে পারে)।

  2. চাইনিজ বর্ণমালা নেই: এখানে আছে চরিত্র (characters) – যেগুলো প্রতিটি শব্দের জন্য আলাদা হয়।

  3. ব্যাকরণ সহজ: ক্রিয়া রূপান্তরের ঝামেলা নেই (যেমন অতীত বা ভবিষ্যৎ বোঝাতে অতিরিক্ত ক্রিয়া লাগে না)।

  4. পিনইন (Pinyin): চাইনিজ শব্দের লাতিন হরফে লেখা রূপ – উচ্চারণ শেখার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।

Continue reading

বাংলাদেশের সংস্কৃতি

চাকমা, মারমা, ত্রিপুরার প্রধান উৎসব কি?

চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা—এই তিনটি প্রধান পার্বত্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব হলো:-

🌸 বৈসু-সাংগ্রাই-বিসিক (বা বিজু)

এই তিনটি নাম তিনটি জনগোষ্ঠীর ভাষায় একই উৎসবকে বোঝায়, যা সাধারণভাবে “বৈসাবি” নামেও পরিচিত।

জনগোষ্ঠী

উৎসবের নাম

চাকমা বৈসু
মারমা সাংগ্রাই
ত্রিপুরা বিসিক

🗓️ সময়:চৈত্র মাসের শেষ তিনদিন (১৩–১৫ এপ্রিল) বা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে।

🥳 বৈশিষ্ট্য:

  • পানির উৎসব (বিশেষ করে মারমা জনগোষ্ঠীর মধ্যে),
  • ফুল ও পিঠা উৎসব (চাকমাদের মধ্যে),
  • ধ্রুপদী নাচগান, ধর্মীয় আচার ও সামাজিক মিলনমেলা।

// ত্রিপুরার বিসিকে চাকমারা বৈসে চা খায়, মারমা সাংরাইয়ে পানি ছিটায় //

******************

মাত্রিতান্ত্রিক উপজাতি-

  • গারো – ময়মনসিং।
  • খাসিয়া – সিলেট (জৈন্তাপুর) । এদের গ্রামের নাম পুঞ্জি। মাচা বানিয়ে থাকে।

// গারো (গোরা) খাস (খাঁটি) মা//

তাত্ত্বিক আলোচনা (আন্তর্জাতিক)

জেনেভা কনভেনশন

👉 সংজ্ঞা:
জেনেভা কনভেনশন হচ্ছে যুদ্ধকালীন সময়েও মানবাধিকার রক্ষার আন্তর্জাতিক আইন। এটি চারটি চুক্তি ও তিনটি প্রটোকল নিয়ে গঠিত।

👉 উদ্দেশ্য:
যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করা বা যুদ্ধে অক্ষম (আহত, বন্দি, বেসামরিক) ব্যক্তিদের মানবিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।


📜 চারটি মূল চুক্তি (১৯৪৯)

ক্রম চুক্তির নাম বিষয়বস্তু
প্রথম চুক্তি (১৮৬৪, হালনাগাদ ১৯৪৯) যুদ্ধক্ষেত্রে আহত ও অসুস্থ সৈন্যদের সুরক্ষা
দ্বিতীয় চুক্তি (১৯০৬, হালনাগাদ ১৯৪৯) সমুদ্রে আহত, অসুস্থ ও জাহাজডুবি হওয়া সৈন্যদের সুরক্ষা
তৃতীয় চুক্তি (১৯২৯, হালনাগাদ ১৯৪৯) যুদ্ধবন্দিদের প্রতি আচরণ ও সুরক্ষা
চতুর্থ চুক্তি (নতুন, ১৯৪৯) যুদ্ধকালীন বেসামরিক জনগণের সুরক্ষা

৪টি চুক্তি = সৈন্য, সমুদ্র, বন্দি, বেসামরিক

*************


🌍 বিশ্বে তেল উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি ও রিজার্ভ (Top 3 দেশ)

ক্যাটাগরি ১ম স্থান ২য় স্থান ৩য় স্থান
তেল উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরব রাশিয়া
তেল আমদানি চীন যুক্তরাষ্ট্র ভারত
তেল রপ্তানি সৌদি আরব রাশিয়া কানাডা
তেল রিজার্ভ ভেনিজুয়েলা সৌদি আরব ইরান

📘 CEPA কী?

CEPA (Comprehensive Economic Partnership Agreement) হলো দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে স্বাক্ষরিত একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি

🔹 এই চুক্তির মাধ্যমে—

  • আমদানি-রপ্তানির ওপর শুল্ক কমে
  • বিনিয়োগে উৎসাহ বাড়ে
  • অবকাঠামো ও পরিষেবায় সহযোগিতা হয়

🔹 ভারতের সাথে ইতোমধ্যে CEPA স্বাক্ষর করেছে:

  • সংযুক্ত আরব আমিরাত
  • জাপান
  • দক্ষিণ কোরিয়া

🔹 বাংলাদেশ এখনো CEPA চুক্তি স্বাক্ষর করেনি, তবে ভারতের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে।


🪙 বিটকয়েন কেনার ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা

🔸 তারিখ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
🔸 কারণ: ভার্চুয়াল মুদ্রার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই
🔸 যা নিষিদ্ধ:

  • ব্যাংক কার্ড দিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা
  • রেমিটেন্স বা রপ্তানি আয়ে ক্রিপ্টো লেনদেন
    🔸 যাদের ওপর প্রযোজ্য:
  • ব্যাংক
  • এমএফএস (মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস)
  • সকল বৈদেশিক মুদ্রা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান

💱 RTGS-এ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন

🔸 RTGS (Real Time Gross Settlement) = এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে তাৎক্ষণিক বড় অঙ্কের লেনদেন
🔸 চালু: ২০১৫ সাল (টাকায়)
🔸 ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে RTGS-এ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন চালু হয়

********************

MFN, GSP ও GSP+ এর পার্থক্য

বিষয় ব্যাখ্যা
MFN (Most Favoured Nation) WTO নিয়ম অনুযায়ী, সব বাণিজ্যিক অংশীদারকে সমানভাবে বাণিজ্য সুবিধা দিতে হবে।
GSP (Generalized System of Preferences) উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য LDC গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা, যেমন শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার।
GSP+ EU কর্তৃক নির্ধারিত বিশেষ সুবিধা, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে পরিবেশ, মানবাধিকার ও সুশাসনের মানদণ্ড পূরণ সাপেক্ষে দেওয়া হয়। শুরু ২০১৫ সালের দিকে।

*******************

Antisemitism বলতে ইহুদি জাতি বা ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ, ঘৃণা, বৈষম্য বা পূর্বধারণা-ভিত্তিক আচরণ বোঝানো হয়।


🔹 সংজ্ঞা:

Antisemitism হলো—
👉 ইহুদি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঘৃণাপূর্ণ মনোভাব, ভাষা বা আচরণ
👉 সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কারণে ইহুদিদের দায়ী করা বা তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা


🔹 ইতিহাস:

  • প্রাচীনকাল: রোমান যুগ থেকেই ইহুদি নিপীড়নের নজির পাওয়া যায়।

  • মধ্যযুগে: ইহুদিদের নানা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়ানো হতো (যেমন: পানি বিষ দেওয়া, যীশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী করা)।

  • নাৎসি যুগ: হিটলারের নেতৃত্বে জার্মানিতে হলোকাস্ট চলাকালীন ৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করা হয় (১৯৩৩–১৯৪৫)।

  • আধুনিক যুগেও: ইউরোপ ও আমেরিকাসহ অনেক দেশেই ইহুদিবিদ্বেষী হামলা, ভাঙচুর ও বৈষম্যের ঘটনা ঘটে।


🔹 ধরণ:

  1. ধর্মীয় বিদ্বেষ: ইহুদি ধর্মের কারণে ঘৃণা করা

  2. জাতিগত বিদ্বেষ: ইহুদি জাতিকে নিম্ন হিসেবে দেখা

  3. রাজনৈতিক বিদ্বেষ: ইসরায়েলের নীতির সমালোচনার আড়ালে পুরো ইহুদি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো

**********************

Checkbook Diplomacy এবং Debt Trap Diplomacy—দুইটি ভিন্ন কূটনৈতিক কৌশল, যেগুলো দেশের প্রভাব বিস্তার ও কৌশলগত সুবিধা অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয়। নিচে এই দুই কৌশলের মূল পার্থক্য ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো:


Checkbook Diplomacy (চেকবই কূটনীতি)

সংজ্ঞা:
এটি এমন একটি কূটনৈতিক কৌশল যেখানে একটি দেশ অর্থনৈতিক সাহায্য, অনুদান বা বিনিয়োগের মাধ্যমে অন্য দেশের উপর প্রভাব বিস্তার করে।

লক্ষ্য:

  • আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাজনৈতিক সমর্থন অর্জন করা (যেমন: জাতিসংঘে ভোট)

  • দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করা

  • বাজার বা সম্পদে প্রবেশাধিকার অর্জন করা

উদাহরণ:

  • উন্নয়নশীল দেশে বিনামূল্যে অবকাঠামো প্রকল্প (ব্রিজ, হাসপাতাল) তৈরি করে বন্ধুত্ব অর্জন

  • জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সংগঠনে ভোট কেনার উদ্দেশ্যে অনুদান প্রদান


Debt Trap Diplomacy (ঋণ-ফাঁদ কূটনীতি)

সংজ্ঞা:
এটি একটি কৌশল যেখানে একটি দেশ ঋণ দিয়ে অন্য দেশকে আর্থিকভাবে নির্ভরশীল করে তোলে এবং সেই দেশের কৌশলগত সম্পদ বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উপর প্রভাব বিস্তার করে

লক্ষ্য:

  • ঋণের দায়ের বিনিময়ে বন্দোবস্ত অর্জন

  • বন্দর, বিমানবন্দর, খনিজ সম্পদ ইত্যাদির নিয়ন্ত্রণ লাভ

  • রাজনৈতিক বা সামরিক ঘাঁটি স্থাপন

উদাহরণ:

  • একটি দেশ অবকাঠামো প্রকল্পে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণদাতা দেশ সেই দেশের কোনো বন্দর বা স্থাপনা দীর্ঘমেয়াদে লিজ নেয়
    (যেমন: শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর চীনের কাছে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া)


⚖️ মূল পার্থক্য:

বিষয় Checkbook Diplomacy Debt Trap Diplomacy
মূল পদ্ধতি অনুদান, সাহায্য বা বিনিয়োগ ঋণ ও ঋণের জাল
লক্ষ্য সদিচ্ছা অর্জন, ভোট/সমর্থন প্রভাব বিস্তার, কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ
পরিশোধের বাধ্যবাধকতা নেই (অনুদান বা উপহার) আছে (ঋণ ফেরত দিতে হয়)
ঝুঁকি উপকারভোগী দেশ স্বাধীন উপকারভোগী দেশ ঋণজালে বন্দি হতে পারে
প্রভাবের ধরন নরম (Soft Power) কঠোর (Hard Leverage)

🧭 সারাংশ:

  • Checkbook Diplomacy হল বন্ধুত্ব বা সমর্থন “কিনে নেওয়ার” চেষ্টা অনুদানের মাধ্যমে।

  • Debt Trap Diplomacy হল ঋণের মাধ্যমে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার এক সূক্ষ্ম কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ পন্থা।

এই দুটি কৌশল অনেক সময় চীন, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, জাপান প্রভৃতি দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে দেখা যায়। তবে এদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট:
একটি চেয়ারে বসতে টাকা দেয়, অন্যটি চেয়ারে বসিয়ে চাবি রেখে দেয়।

 

**********************
**********************

Treaty, Accord ও Convention: আন্তর্জাতিক চুক্তির তিনটি ধরন – তুলনামূলক বিশ্লেষণ


1️⃣ Treaty (চুক্তি / সন্ধি)

সংজ্ঞা:
দুই বা ততোধিক সার্বভৌম রাষ্ট্রের মধ্যে লিখিত ও আনুষ্ঠানিক চুক্তি, যা আইনি বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করে।

বিশেষত্ব:

  • সাধারণত রাষ্ট্রীয় সংসদের অনুমোদন বা অনুসমর্থন (ratification) প্রয়োজন হয়।

  • দীর্ঘ ও জটিল আলোচনার মাধ্যমে প্রণীত হয়।

  • বিষয়: শান্তি, বাণিজ্য, সীমান্ত, জোট, মানবাধিকার ইত্যাদি।

উদাহরণ:

  • Treaty of Versailles (1919) – প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে জার্মানির সঙ্গে মিত্রশক্তির সন্ধি।

  • NPT (Treaty on the Non-Proliferation of Nuclear Weapons)


2️⃣ Accord (সমঝোতা / চুক্তিপত্র)

সংজ্ঞা:
কম আনুষ্ঠানিক একটি চুক্তি বা বোঝাপড়া, যা অনেক সময় চুক্তির চাইতে নমনীয় হয়।

বিশেষত্ব:

  • জাতীয় সংসদের অনুসমর্থন নাও লাগতে পারে

  • তুলনামূলকভাবে দ্রুত কার্যকর ও নমনীয়

  • সাধারণত স্বল্পমেয়াদি বা নির্দিষ্ট ইস্যু ভিত্তিক চুক্তিতে ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ:

  • Paris Accord (2015) – জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সমঝোতা।

  • Camp David Accords (1978) – মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যকার সমঝোতা।


3️⃣ Convention (আন্তর্জাতিক কনভেনশন / সম্মেলনচুক্তি)

সংজ্ঞা:
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যস্থতায় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গৃহীত একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি, যা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিয়ম বা মানদণ্ড স্থাপন করে।

বিশেষত্ব:

  • এটি treaty বা accord – দুই রকমই হতে পারে।

  • অনেক সময় আন্তর্জাতিক রীতিনীতির ভিত্তি হয়ে ওঠে।

  • প্রায়ই জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে গৃহীত হয়।

উদাহরণ:

  • Geneva Conventions – যুদ্ধের নীতিমালা।

  • Vienna Convention on Diplomatic Relations (1961)


📊 মূল পার্থক্য এক নজরে:

বৈশিষ্ট্য Treaty Accord Convention
আনুষ্ঠানিকতা সবচেয়ে আনুষ্ঠানিক তুলনামূলক কম মাঝামাঝি, কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত
আইনি বাধ্যবাধকতা সর্বোচ্চ কম বা পরিবর্তনশীল সাধারণত বাধ্যতামূলক
অনুসমর্থন প্রয়োজন হ্যাঁ না (সবসময় নয়) সাধারণত হ্যাঁ
ব্যবহার ক্ষেত্র শান্তি, নিরাপত্তা, বাণিজ্য পরিবেশ, কূটনীতি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও নিয়ম
স্থায়িত্বকাল দীর্ঘমেয়াদি স্বল্প বা মধ্যম মেয়াদি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি

সারসংক্ষেপে:

  • Treaty: সবচেয়ে শক্তিশালী ও ফরমাল চুক্তি, আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

  • Accord: তুলনামূলক কম ফরমাল, সহজে কার্যকর হয়, নির্দিষ্ট ইস্যুতে বেশি ব্যবহৃত।

  • Convention: আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নির্ধারণে ব্যবহৃত চুক্তি, যা সাধারণত বহু রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পাদিত হয়।

********************************

Shuttle Diplomacy: দ্বন্দ্ব নিরসনে এক ভিন্নধর্মী কূটনৈতিক কৌশল

Shuttle Diplomacy হলো একটি কূটনৈতিক কৌশল যেখানে কোনো তৃতীয় পক্ষ বা মধ্যস্থতাকারী (mediator) প্রতিদ্বন্দ্বী বা বিরোধী পক্ষগুলোর মধ্যে সরাসরি সাক্ষাৎ ছাড়াই বারবার যাতায়াত করে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন।


✈️ কেন একে “Shuttle” বলা হয়?

  • মধ্যস্থতাকারী এক পক্ষ থেকে আরেক পক্ষের কাছে গিয়ে বার্তা ও প্রস্তাবনা পৌঁছে দেন

  • এটি টানা চলাচল বা যাওয়া-আসার মাধ্যমে চলে, অনেকটা শাটল বাস বা ট্রেনের মতো নিয়মিত যাতায়াতের প্রক্রিয়া


🧩 মূল বৈশিষ্ট্য:

  1. প্রতিপক্ষের মুখোমুখি বৈঠক ছাড়াই সমঝোতা চেষ্টার কৌশল।

  2. বিশ্বাসযোগ্য মধ্যস্থতাকারী প্রয়োজন, যিনি উভয় পক্ষের প্রতি নিরপেক্ষ থাকেন।

  3. জটিল বা স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে পক্ষগুলো সরাসরি আলোচনায় অনিচ্ছুক বা অক্ষম।

 


🕊️ ব্যবহার ক্ষেত্র:

  • আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব: যুদ্ধ, সীমানা বিরোধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট।

  • সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় সংঘর্ষ: যেখানে প্রতিক্রিয়া সংবেদনশীল।

  • রাজনৈতিক সংকট: অভ্যন্তরীণ সংঘাত বা গৃহযুদ্ধ চলাকালীন।


🧠 উদাহরণ:

  • ১৯৭০-এর দশকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী Henry Kissinger ইসরায়েল, মিশর ও সিরিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতা করে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ শেষে শান্তিপ্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এটি ছিল Shuttle Diplomacy-এর সবচেয়ে বিখ্যাত দৃষ্টান্ত।


⚖️ সুবিধা:

  • সরাসরি দ্বন্দ্ব এড়ানো যায়।

  • ধীরে ধীরে ভরসা ও বোঝাপড়া তৈরি হয়

  • নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে আলোচনা হয়।

চ্যালেঞ্জ:

  • সময়সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য।

  • ভুল বোঝাবুঝি বা পক্ষপাতের অভিযোগ উঠতে পারে।

  • সব পক্ষকে সমান গুরুত্ব না দিলে সমঝোতা টেকসই হয় না।

***************************

ভিয়েনা কনভেনশনসমূহ: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কূটনীতি, পরিবেশ ও বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিসমূহ


1️⃣ Vienna Convention on Diplomatic Relations (1961)

উদ্দেশ্য:
এই কনভেনশন স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের কাঠামো নির্ধারণ করে। এটি কূটনৈতিক মিশনের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করে, যাতে তারা হোস্ট রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ছাড়া কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে।

গুরুত্ব:

  • আধুনিক আন্তর্জাতিক কূটনীতির ভিত্তি।

  • কূটনৈতিক মিশন অঙ্গচ্ছেদযোগ্য (inviolable) ঘোষণা করে।

  • কূটনীতিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।


2️⃣ Vienna Convention on Consular Relations (1963)

উদ্দেশ্য:
রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কনস্যুলার সম্পর্ক পরিচালনার নির্দেশিকা নির্ধারণ করে, যার মধ্যে কনস্যুলার অফিসারদের দায়িত্ব, অধিকার ও রক্ষা-সুবিধা অন্তর্ভুক্ত।

গুরুত্ব:

  • বিদেশে নাগরিকদের সুরক্ষা ও সহায়তা নিশ্চিত করে।

  • বাণিজ্য ও পারস্পরিক সম্পর্ক সহজ করে।


3️⃣ Vienna Convention on the Law of Treaties (1969)

উদ্দেশ্য:
এই চুক্তিটি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে চুক্তি তৈরির, ব্যাখ্যার এবং কার্যকর করার নিয়মাবলি নির্ধারণ করে।

গুরুত্ব:

  • এটিকে বলা হয় “চুক্তির ওপর চুক্তি” (Treaty on Treaties)।

  • সংরক্ষণ (reservation), সংশোধন (amendment), এবং বাতিলকরণ (invalidation) ইত্যাদি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে।


4️⃣ Vienna Convention for the Protection of the Ozone Layer (1985)

উদ্দেশ্য:
ওজোন স্তর রক্ষা করতে ক্ষতিকর গ্যাস যেমন CFC নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ বিষয়ক এই চুক্তি গৃহীত হয়।

গুরুত্ব:

  • পরিবেশ সংরক্ষণে বৈশ্বিক ঐকমত্যের সূচনা।

  • এর ভিত্তিতে Montreal Protocol তৈরি হয়, যা ওজোন ধ্বংসকারী পদার্থ হ্রাসে সফল হয়েছে।


5️⃣ Vienna Convention on Road Traffic (1968)

উদ্দেশ্য:
আন্তর্জাতিক সড়ক নিরাপত্তা এবং পরিবহন সহজ করতে বিভিন্ন দেশের ট্রাফিক নিয়ম এককরণ করা।

গুরুত্ব:

  • সড়কচিহ্ন, ড্রাইভিং নিয়ম, ও গাড়ির নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সমতা আনে।

  • আন্তর্জাতিক গাড়ি চলাচল সহজ করে।

******************************************

Ceasefire, Armistice ও Modus Vivendi: যুদ্ধবিরতির তিনটি আলাদা ধারণা


📌 ১. Ceasefire (যুদ্ধবিরতি)

সংজ্ঞা:
বিরোধী পক্ষগুলোর মধ্যে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করার একটি চুক্তি বা ঘোষণা

বিশেষত্ব:

  • এটি একতরফা (unilateral) বা দ্বিপক্ষীয় (bilateral) হতে পারে।

  • ফরমাল চুক্তি নাও থাকতে পারে

  • প্রায়ই এটি স্থায়ী শান্তিচুক্তির পূর্বধাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ:
২০২০ সালে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নাগোর্নো-কারাবাখ যুদ্ধের সময় একটি রাশিয়া-মধ্যস্থ ceasefire হয়।


📌 ২. Armistice (যুদ্ধাবসান চুক্তি)

সংজ্ঞা:
দ্বন্দ্বরত পক্ষগুলোর মধ্যে লিখিত, আনুষ্ঠানিক চুক্তি, যাতে যুদ্ধ বন্ধ করা হয় এবং সাধারণত স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য থাকে।

বিশেষত্ব:

  • লিখিত ও ফরমাল হয়।

  • সাধারণত এতে যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময়, নিরস্ত্রীকরণ ইত্যাদি নির্দিষ্ট করা থাকে।

  • পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তির সেতুবন্ধন হিসেবেও বিবেচিত হয়।

উদাহরণ:
১৯১৮ সালের World War I Armistice—জার্মানি ও মিত্রশক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত।


📌 ৩. Modus Vivendi (সহবস্থানের কার্যকর ব্যবস্থা)

সংজ্ঞা:
দুই পক্ষের মধ্যে একটি অস্থায়ী, বাস্তবভিত্তিক বোঝাপড়া, যাতে সংঘাত চলতে থাকলেও সহাবস্থান বজায় থাকে

বিশেষত্ব:

  • অনানুষ্ঠানিক ও অস্থায়ী বোঝাপড়া।

  • সাধারণত লিখিত নয়, বরং অলিখিত নিয়মে চলে।

  • দ্বন্দ্ব পুরোপুরি না মিটলেও স্থিতিশীলতা বজায় রাখে

উদাহরণ:
ভারত ও চীন LAC (Line of Actual Control) এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি ধরনের modus vivendi অনুসরণ করছে, যদিও শান্তিচুক্তি হয়নি।


⚖️ মূল পার্থক্যগুলোর তুলনা:

দিক Ceasefire Armistice Modus Vivendi
ফরমালিটি কখনো ফরমাল, কখনো নয় সবসময় ফরমাল সাধারণত ইনফরমাল
উদ্দেশ্য যুদ্ধ থামানো স্থায়ী শান্তির দিকে অগ্রসর হওয়া সহাবস্থানের বাস্তবধর্মী চুক্তি
স্থিতিকাল অস্থায়ী বা স্থায়ী সাধারণত অস্থায়ী, তবে স্পষ্ট শর্তসহ মূলত অস্থায়ী
চুক্তির রূপ লিখিত নাও হতে পারে লিখিত ও আইনি অলিখিত বা নমনীয় চুক্তি

সারসংক্ষেপে:

  • Ceasefire: যুদ্ধ বন্ধ করার ঘোষণা বা চুক্তি (স্থায়ী/অস্থায়ী)।

  • Armistice: যুদ্ধ থামানোর জন্য একটি আনুষ্ঠানিক, লিখিত চুক্তি যা শান্তির দিকে পথ খুলে দেয়।

  • Modus Vivendi: দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও সহাবস্থানের একটি কার্যকর, অনানুষ্ঠানিক পন্থা

 

*******************************************

আকসা ও জিসোমিয়া চুক্তি কি ?

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে চায়—

  1. ACSA (Acquisition and Cross-Servicing Agreement)
  2. GSOMIA (General Security of Military Information Agreement)

ACSA হলো Acquisition and Cross-Servicing Agreement, যা মূলত মার্কিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে খাদ্য, জ্বালানি, গোলাবারুদ এবং সরঞ্জামাদি বিনিময়ের একটি কাঠামো। এর মাধ্যমে যৌথ মহড়া বা অপারেশনের সময় একে অপরকে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহায়তা দেওয়া যায়।

GSOMIA বা General Security of Military Information Agreement হলো একটি সামরিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে সংবেদনশীল সামরিক তথ্য সুরক্ষিতভাবে আদান-প্রদান করা হয়।

এই চুক্তিগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা, প্রযুক্তিগত সহায়তা, এবং আন্তর্জাতিক যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে পারে। তবে এর পাশাপাশি সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির ভারসাম্য বজায় রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।

*******************************

Continue reading

হিন্দি উর্দু ভাষা শিক্ষা

হিন্দি এবং উর্দু সম্পর্কে ধারণা

  • উৎপত্তি: হিন্দি এবং উর্দু উভয়ই হিন্দুস্তানি ভাষা থেকে উদ্ভূত, যা ইন্দো-আর্য ভাষা পরিবারের অন্তর্গত। এই দুটি ভাষা মূলত উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানে বিকশিত হয়েছে।
  • লিপি:
    • হিন্দি: দেবনাগরী লিপিতে লেখা হয়, যা সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত।
    • উর্দু: নাস্তালিক লিপিতে লেখা হয়, যা ফার্সি-আরবি লিপির একটি রূপ।
  • শব্দভাণ্ডার:
    • হিন্দি: সংস্কৃত, প্রাকৃত এবং দ্রাবিড় ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করেছে।
    • উর্দু: ফার্সি, আরবি এবং তুর্কি শব্দের প্রভাব বেশি।
  • ব্যাকরণ: উভয় ভাষার ব্যাকরণ প্রায় একই, তবে উচ্চারণ এবং শব্দচয়নে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
  • ব্যবহার:
    • হিন্দি: ভারতের অন্যতম সরকারি ভাষা এবং উত্তর ভারতের বিস্তৃত অঞ্চলে কথ্য ভাষা।
    • উর্দু: পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা এবং ভারতের কিছু অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।
  • সাংস্কৃতিক প্রভাব: হিন্দি বলিউড এবং ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত, যেখানে উর্দু কাব্য, গজল এবং ফার্সি সাহিত্যের সঙ্গে সম্পর্কিত।

Continue reading

শায়েরি

Bistar Se Uth Kar Masjid Tak Ja na Sake Iqbal
Khwahish Rakhte Hen
Qabar Se Uth Kar “Jannat” Me Jane Ki….

**********************************

जो चीज़ तुम्हारी काबिलियत में नहीं,
उसके पीछे भागना थकान देता है, मंज़िल नहीं।”

Jo cheez tumhaari qaabiliyat mein nahin,
Uske peeche bhaagna thakaan deta hai, manzil nahin.

*************************

Auqaat se zyada chahat karna bhi gunaah hai

*************************************************************

Jisko bhulane ke liye rukh Masjid ka kiya tha maine.
Jb Dua hone lagi kable kubool to fir usi ko maang baithe..

*************************************************

dil bhi tune banaya, naseeb bhi aey khuda,
phir woh dil mein kyu hai, jo naseeb mein nahi

***************************************
اور بھی دکھ ہیں زمانے میں محبت کے سوا
راحتیں اور بھی ہیں، وصل کی راحت کے سوا
فیض احمد فیض –

मुझ से पहली सी मोहब्बत मेरी महबूब न मांग

और भी दुख हैं ज़माने में मोहब्बत के सिवा
राहतें और भी हैं, वस्ल की राहत के सिवा
– फ़ैज़ अहमद फ़ैज़

 

****

बहुत खास थे तुम इसलिये लड़ते रहे तुमसे

अगर पराये होते तो मुस्कुराकर जाने देते।

*******

डर ये है कि कहीं खो न दूँ उसे

सच ये है कि उसे कभी पाया ही नहीं।

****

दवा की तलाश में रहा दुआ को छोड़ कर
मैं चल न सका दुनिया में ख़ताओं को छोड़ कर
हैरान हूँ मैं अपनी हसरतों पे “इक़बाल”
हर चीज़ ख़ुदा से माँग ली मगर ख़ुदा को छोड़ कर

دوا کی تلاش میں رہا دعا کو چھوڑ کر
میں چل نہ سکا دنیا میں خطاؤں کو چھوڑ کر
حیران ہوں میں اپنی حسرتوں پہ “اقبال”
ہر چیز خدا سے مانگ لی مگر خدا کو چھوڑ کر

 ************************************************

हमारे मुँह से जो निकले वही सदाक़त है
हमारे मुँह में तुम्हारी ज़ुबान थोड़ी है

जो आज साहिब-ए-मसनद हैं, कल नहीं होंगे
किरायेदार हैं, ज़ाती मकान थोड़ी है

सभी का खून शामिल है यहाँ की मिट्टी में
किसी के बाप का हिन्दुस्तान थोड़ी है

ہمارے منہ سے جو نکلے وہی صداقت ہے
ہمارے منہ میں تمہاری زبان تھوڑی ہے

جو آج صاحبِ مسند ہیں، کل نہیں ہوں گے
کرایہ دار ہیں، ذاتی مکان تھوڑی ہے

سبھی کا خون شامل ہے یہاں کی مٹی میں
کسی کے باپ کا ہندوستان تھوڑی ہے