উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ: কাঞ্চনজঙ্ঘার পথে তেতুলিয়া ও চা বাগানের অনন্য সৌন্দর্য

ভ্রমণ মানেই নতুন অভিজ্ঞতা, নতুন মানুষ ও নতুন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়া। দৈনন্দিন যান্ত্রিক জীবনে যখন ক্লান্তি গ্রাস করে, তখন প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়া মানসিক প্রশান্তির অন্যতম উপায়। আমি একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু কাজের চাপে কখনো কখনো জীবন একঘেয়ে মনে হয়। তাই মনে করি, ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়া উচিত

আজ শেয়ার করছি উত্তরবঙ্গের একটি অবিস্মরণীয় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা২০২২ সালের ১০ নভেম্বর, হুট করেই সিদ্ধান্ত নিলাম কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যাব। কাঞ্চনজঙ্ঘা নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ, তবে বাংলাদেশ থেকে এটি দেখার সর্বোত্তম স্থান হলো তেতুলিয়া। আমাদের পরিকল্পনার কথা শুনে আরও কয়েকজন বন্ধু যোগ দিলেন, এবং মোট ১২ জনের দল হয়ে রাজশাহী থেকে তেতুলিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম


রাজশাহী থেকে পঞ্চগড়ের পথে যাত্রা শুরু

রাত ৯টায় তিতুমীর এক্সপ্রেসে যাত্রা শুরু হলো। ট্রেনের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি অন্ধকার রাতের মাঝে চাঁদের আলোয় জ্বলজ্বল করছে বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত। বন্ধুদের সাথে গল্প, গান, আর হালকা নাশতার মধ্যে কখন যে সময় কেটে গেল, বুঝতেই পারলাম না।

সকাল হতে না হতেই পঞ্চগড় স্টেশনে পৌঁছালাম। ঠান্ডা আবহাওয়া আর হালকা কুয়াশার মধ্যে স্টেশনে নেমে মনে হলো, সত্যিই যেন অন্য এক জগতে চলে এসেছি। সেখানে আগে থেকেই বুক করা দুটি অটোতে চেপে আমরা তেতুলিয়ার পথে রওনা হলাম। রাস্তার দু’পাশে সারি সারি চা বাগান, সরিষার ক্ষেত, আর মাঝে মাঝে আকাশ ছুঁতে চাওয়া বিশাল গাছ আমাদের পুরো পথজুড়েই মুগ্ধ করেছে।


তেতুলিয়া ডাকবাংলো ও কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন

প্রথম গন্তব্য ছিল তেতুলিয়া ডাকবাংলো, যা এই অঞ্চলের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

তেতুলিয়া ডাকবাংলো

এখান থেকেই পরিষ্কার আকাশ থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। কিন্তু আমাদের ভাগ্য সহায় ছিল না—সকালবেলার কুয়াশার কারণে কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন মিলল না।

কাঞ্চনজঙ্ঘা

তবে হতাশ হওয়ার কিছু ছিল না! ডাকবাংলোর শান্ত পরিবেশ, নদীর ধারে সবুজ গাছপালা, আর উন্মুক্ত প্রান্তর আমাদের মন ভরিয়ে দিয়েছিল। আমরা নদীর ধারে বসে কিছুক্ষণ প্রকৃতির শীতল বাতাস উপভোগ করলাম এবং কিছু সুন্দর ছবি তুললাম।


বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট: ইতিহাস ও সংস্কৃতির মিলনস্থল

এরপর আমরা গেলাম বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, যেখানে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সংযোগস্থলে অবস্থিত মৈত্রী ফলক রয়েছে। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ফলক

এখানে দাঁড়িয়ে দেখলাম দুই দেশের মানুষের সীমান্ত পেরিয়ে যাতায়াত, বিজিবি ও বিএসএফ-এর টহল এবং ঐতিহাসিক মৈত্রী চুক্তির চিহ্ন। এক কথায়, এটি শুধু একটি সীমান্ত নয়, বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়


কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট: সবুজের রাজ্য

আমাদের ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ ছিল কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট রিসোর্ট। এটি বাংলাদেশের একমাত্র অর্গানিক চা বাগান, যা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় অবস্থিত।

কেন এটি বিশেষ?
চারপাশ সবুজ চা গাছে ঘেরা
কৃত্রিম লেক ও মনোরম রিসোর্ট
নিঃশব্দ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এলাকা
দেশের একমাত্র অর্গানিক চা উৎপাদন কেন্দ্র

কাজী অ্যান্ড কাজী চা বাগান

আমরা প্রথমে চা বাগানের ভেতর হাঁটাহাঁটি করলাম। চারপাশে সবুজের সমারোহ, পাখির ডাক, আর হালকা কুয়াশার আবরণ সত্যিই এক স্বপ্নময় পরিবেশ তৈরি করেছিল। রিসোর্টের কাছে পৌঁছানোর পর দেখলাম একটি সুন্দর লেক, যার ওপর কাঠের ব্রিজ বানানো। এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখা এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট রিসোর্ট

রিসোর্টের কটেজগুলো দেখতে ছিল রাজকীয় ধাঁচের। সেখানকার নিরাপত্তা প্রধান আমাদের স্বাগত জানালেন এবং সৌভাগ্যক্রমে আমরা রিসোর্টের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পেলাম।

এইখানে কিছু রুম এতটাই নির্জন যে সেখানে গেলে মনে হয় আঠারো শতকের কোনো বাড়িতে এসেছি। জানালা দিয়ে তাকালেই চা বাগানের সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো ঠিকরে পড়ে, যা এক স্বপ্নময় দৃশ্য।

কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট রিসোর্ট

এইখানে যে ধরনের চা বাগান দেখা যায় এইটা শুধুমাত্র এই এলাকাতেই পাওয়া যায়। অনেক গাছের বয়স ১৫-২০ বছর। এই চা বাগানের বিশেষত্ব হলো এইটা সমতলে হয় যেটা আমরা সিলেট বা মৌলভীবাজার অঞ্চলে দেখতে পাই না। চা বাগানের মধ্যে বসে এক কাপ তাজা গরম চা পান করার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ ছিল। এর স্বাদ ছিল সাধারণ চায়ের চেয়ে অনেক আলাদা, কারণ এটি কেমিক্যালমুক্ত ও সম্পূর্ণ অর্গানিক


ফেরার পথে আনন্দময় স্মৃতি

সারাদিন ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যার দিকে আমরা রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তবে মন পড়ে রইল সেই সবুজ প্রকৃতির মাঝে, নির্মল বাতাসে, আর কাঞ্চনজঙ্ঘার অদেখা সৌন্দর্যের আশায়

ফেরার পথে আমরা সবাই নিজেদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করছিলাম—কে সবচেয়ে বেশি ছবি তুলেছে, কে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে, আর কে আবার কবে আসবে সে পরিকল্পনা করছিল।


আপনার তেতুলিয়া ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন!

আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী হন, ইতিহাস পছন্দ করেন, কিংবা নতুন কিছু আবিষ্কার করতে চান, তাহলে তেতুলিয়া আপনার জন্য আদর্শ ভ্রমণ গন্তব্য

বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগ
তেতুলিয়ার ডাকবাংলোর প্রশান্তিময় পরিবেশ
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
কাজী অ্যান্ড কাজী চা বাগানের অনন্য অভিজ্ঞতা

আপনি কি কখনো তেতুলিয়া ঘুরতে গিয়েছেন? আপনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? কমেন্টে জানান!

MS Word Excel

Microsoft Word-এ একই ডকুমেন্টে কিছু পেজ Portrait এবং কিছু পেজ Landscape করার সহজ উপায়

Microsoft Word ব্যবহারকারীদের অনেক সময় একই ডকুমেন্টে PortraitLandscape উভয় ধরণের পেজ লেআউটের প্রয়োজন হয়। এটি বিশেষভাবে দরকার হয় টেবিল, চার্ট বা চওড়া কন্টেন্ট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে। এই পোস্টে আমরা ধাপে ধাপে দেখাবো কিভাবে সহজেই এটি করা যায়।


📌 Step-by-Step গাইড: Microsoft Word-এ কিছু পেজ Portrait ও কিছু পেজ Landscape করা

🔹 Step 1: লেআউট পরিবর্তনের জন্য পেজ নির্বাচন করুন

প্রথমে, আপনি যে পেজটিকে Landscape করতে চান, তার ঠিক আগে কোথাও কার্সর ক্লিক করুন

🔹 Step 2: Section Break যুক্ত করুন

📌 এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ! কারণ Section Break ছাড়া Landscape & Portrait একসঙ্গে কাজ করবে না।

Section Break যোগ করতে:
1️⃣ Layout ট্যাবে যান।
2️⃣ Breaks অপশনে ক্লিক করুন।
3️⃣ Next Page অপশনটি সিলেক্ট করুন।

এটি আগের অংশ এবং নতুন অংশ আলাদা করবে, যাতে লেআউট পরিবর্তন করা যায়।

🔹 Step 3: পেজ লেআউট পরিবর্তন করুন

➡ এখন Landscape পেজ সেট করতে:
1️⃣ Cursor নতুন Section Break করা অংশে রাখুন।
2️⃣ Layout ট্যাবে গিয়ে Orientation > Landscape সিলেক্ট করুন।

এখন দেখবেন শুধুমাত্র সিলেক্ট করা পেজ Landscape হয়েছে, বাকি অংশ Portrait আছে!

🔹 Step 4: পুনরায় Portrait মোডে ফেরত আসা

➡ আবার Landscape এর পরের অংশকে Portrait করতে চাইলে,
1️⃣ Landscape পেজের পরের অংশে কার্সর নিয়ে যান।
2️⃣ Step 2 অনুসারে আবার Section Break দিন।
3️⃣ Layout > Orientation > Portrait সিলেক্ট করুন।

ব্যাস! আপনার ডকুমেন্টে কিছু পেজ Portrait এবং কিছু পেজ Landscape হয়ে গেলো! 🎉


📌 কেন এটি দরকার হতে পারে?

বড় টেবিল ও চার্ট উপস্থাপন করতে
প্রেজেন্টেশন ও রিপোর্টিং সহজ করতে
PDF Export করলে ফরম্যাট ঠিক রাখতে


এভাবে Microsoft Word-এ Portrait ও Landscape একসঙ্গে ব্যবহার করে ডকুমেন্টকে প্রফেশনাল লুক দেওয়া সম্ভব! আপনি যদি এই টিপসটি পছন্দ করেন, তবে শেয়ার করতে ভুলবেন না! 🚀💡

ভূমি ব্যবস্থাপনা

CS, SA, এবং RS দলিলের সম্পর্ক ও পার্থক্য

CS (Cadastral Survey), SA (State Acquisition), এবং RS (Revisional Survey) দলিল হলো বাংলাদেশের জমি মালিকানা ও ভূমি রেকর্ডের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়।

✅ CS (Cadastral Survey) দলিল:

  • ব্রিটিশ আমলে (1888-1940) ভূমি জরিপের মাধ্যমে তৈরি।
  • জমির পরিমাণ ও মালিকানা নির্ধারণের জন্য CS খতিয়ান তৈরি হয়।
  • এটি প্রাথমিক ভূমি রেকর্ড হিসেবে পরিচিত।

✅ SA (State Acquisition) দলিল:

  • ১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলোপের পর SA জরিপ চালু হয়।
  • এই জরিপে CS দলিলের পরিবর্তন এনে নতুন খতিয়ান তৈরি করা হয়।
  • সরকারি অধিগ্রহণের ফলে জমির মালিকানায় পরিবর্তন আসে।

✅ RS (Revisional Survey) দলিল:

  • স্বাধীনতার পর আধুনিকায়নের জন্য RS জরিপ চালু করা হয়।
  • এতে CS ও SA জরিপের ভুল সংশোধন করা হয় এবং নতুন RS খতিয়ান তৈরি হয়।
  • বর্তমান জমির মালিকানা যাচাই করতে RS খতিয়ান সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য।

📌 CS, SA ও RS-এর পারস্পরিক সম্পর্ক:

  • CS → SA → RS পর্যায়ে জমির রেকর্ড আপডেট করা হয়েছে।
  • CS দলিল মূল ভিত্তি হলেও, সর্বশেষ মালিকানা যাচাইয়ের জন্য RS খতিয়ান বেশি গ্রহণযোগ্য।
  • জমির ইতিহাস নিশ্চিত করতে CS, SA ও RS খতিয়ান একসঙ্গে মিলিয়ে দেখা গুরুত্বপূর্ণ।

 

শিশুর যত্ন

৭ মাস থেকে ১ বছর বয়সী বাচ্চার যত্ন:

৭ মাস থেকে ১ বছর বয়সী বাচ্চার যত্ন নিতে হলে সঠিক খাবার, ঘুম, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং মানসিক বিকাশের দিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর পুষ্টি ও বিকাশের জন্য প্রতিদিনের যত্ন গুরুত্বপূর্ণ।

১. খাদ্য ও পুষ্টি:

✅ বুকের দুধ: ১ বছরের আগ পর্যন্ত বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ প্রধান খাবার হিসেবে চলবে।

✅ সলিড খাবার: ৭ মাস থেকে ১ বছর বয়সে শিশুকে দিনে ২-৩ বার সলিড খাবার দিতে হবে।

✅ খাবারের ধরন: খিচুড়ি, ডাল-ভাত, সেদ্ধ ডিমের কুসুম, শাক-সবজি, ফল (কলা, পেঁপে, আপেল, নাশপাতি), ওটস, সুজি, দই, পনির।

✅ পানি: শিশুকে সেদ্ধ বা ফিল্টার করা পানি দেওয়া উচিত।

✅ নতুন খাবার: নতুন খাবার দিতে গেলে ৩-৪ দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

 

২. ঘুমের রুটিন:

✅ ঘুমের প্রয়োজন: ১ বছর বয়সী শিশুর দিনে ১৩-১৪ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন, যার মধ্যে ১০-১২ ঘণ্টা রাতের ঘুম এবং ২-৩ ঘণ্টা দিনের ঘুম।

✅ ঘুমানোর পরিবেশ: ঘরটি শান্ত, নিরাপদ এবং আরামদায়ক হওয়া উচিত।

✅ রুটিন তৈরি করুন: শিশুর ঘুমের আগে গোসল, গান শোনা বা গল্প বলা অভ্যাসে আনা যেতে পারে।

৩. স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা:

✅ টিকা: শিশুর নিয়মিত টিকা দেওয়া উচিত।

✅ স্বাস্থ্য পরীক্ষা: শিশুর ওজন এবং উচ্চতা ঠিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।

✅ স্বাস্থ্যবিধি: শিশুর হাত-মুখ পরিষ্কার রাখা, নরম ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা।

✅ ঠাণ্ডা-গরম থেকে সুরক্ষা: শিশুকে ঠাণ্ডা বা গরম থেকে সুরক্ষিত রাখুন।

৪. নিরাপত্তা:

✅ ঘরেই নিরাপত্তা: শিশুর কাছে ধারালো জিনিস বা ক্ষতিকর বস্তু না রাখুন, এবং সিঁড়ির কাছে নিরাপত্তা গেট ব্যবহার করুন।

✅ খেলনা নির্বাচন: শিশুদের জন্য নিরাপদ খেলনা নির্বাচন করুন, যেগুলো ছোট অংশ বা ধারালো নয়।

৫. মানসিক ও সামাজিক বিকাশ:

✅ শিশুর খেলাধুলা: রঙিন বই, খেলনা ব্লক, বল বা গান শেখানো যেতে পারে।

✅ কথা বলা: শিশুর সঙ্গে কথোপকথন করুন, গল্প বলুন।

✅ অনুভূতি বোঝা: শিশুর কান্নার কারণ বোঝার চেষ্টা করুন এবং ধৈর্য ধরে তার সাথে আচরণ করুন।

*********************

চোখের যত্ন

চোখের ড্রাইনেস দূর করার উপায়: কার্যকর ও প্রাকৃতিক সমাধান

চোখের শুষ্কতা বা ড্রাইনেস একটি সাধারণ সমস্যা, যা দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের সামনে থাকা, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া বা বাতাসের শুষ্কতার কারণে হতে পারে। এটি প্রতিরোধ ও নিরাময়ের জন্য কিছু কার্যকর উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে।

১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

২. চোখের ব্যায়াম করুন

চোখের শুষ্কতা দূর করতে নিয়মিত ব্লিঙ্কিং ও ২০-২০-২০ রুল অনুসরণ করুন—প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরের কিছু দেখুন।

৩. আর্টিফিশিয়াল টিয়ারস ব্যবহার করুন

ড্রাই আই সিনড্রোম থাকলে চোখের চিকিৎসকের পরামর্শে লুব্রিকেন্ট আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।

৪. স্ক্রিন টাইম কমান

দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহারের কারণে চোখ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই মাঝে মাঝে বিরতি নিন।

৫. পুষ্টিকর খাবার খান

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার (যেমন মাছ, বাদাম, অলিভ অয়েল) চোখের ড্রাইনেস কমাতে সাহায্য করে।

৬. পরিবেশ আর্দ্র রাখুন

শুষ্ক বাতাসের কারণে চোখের আর্দ্রতা কমতে পারে। তাই প্রয়োজনে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।

৭. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
চোখের শুষ্কতা দূর করতে দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করলেই ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। চোখ সুস্থ রাখতে নিয়মিত যত্ন নিন এবং প্রাকৃতিক উপায়গুলো অনুসরণ করুন।

*********************************************************************************************

২০-২০-২০ রুল ফলো করার জন্য পিসিতে এলার্ম সেট করার উপায়

২০-২০-২০ রুল অনুসরণ করতে প্রতি ২০ মিনিট পরপর আপনাকে একটি এলার্ম সেট করতে হবে। এটি চোখের চাপ কমায় এবং স্ক্রিন টাইমের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সহায়তা করে।

Windows PC-তে এলার্ম সেট করার উপায়:

  1. Windows Clock অ্যাপ ব্যবহার করুন:
    • Start Menu > Clock লিখে অনুসন্ধান করুন।
    • “Alarms & Clock” অ্যাপ খুলুন।
    • New Alarm যোগ করুন এবং ২০ মিনিট অন্তর পুনরাবৃত্তি (Repeat) সেট করুন।
  2. Microsoft To-Do বা Reminders ব্যবহার করুন:
    • Microsoft To-Do বা Sticky Notes-এ “20-20-20 Break” রিমাইন্ডার সেট করুন।
  3. Browser Extension বা Online Timer ব্যবহার করুন:
  4. Third-Party Software ব্যবহার করুন:
    • f.lux, EyeLeo, বা ProtectYourVision সফটওয়্যার ডাউনলোড করে স্বয়ংক্রিয় রিমাইন্ডার সেট করুন।

Mac-এ এলার্ম সেট করার উপায়:

  • Siri-কে বলুন: “Hey Siri, set a timer for 20 minutes.”
  • Clock অ্যাপ বা Reminders অ্যাপ ব্যবহার করুন।
  • Break Timer বা Awareness সফটওয়্যার ইনস্টল করুন।

চোখের সুস্থতা

চোখের ড্রাইনেস দূর করার উপায় কি ?

চোখের ড্রাইনেস দূর করার কিছু কার্যকর উপায় হলো:

  1. চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন – কৃত্রিম টিয়ার বা লুব্রিকেটিং আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
  2. পর্যাপ্ত পানি পান করুন – শরীর হাইড্রেটেড রাখলে চোখ শুষ্ক হবে না।
  3. কম্পিউটার ব্যবহারের সময় বিরতি নিন – প্রতি ২০ মিনিট পর চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম দিন বা দূরে তাকান।
  4. বাতাসের সংস্পর্শ এড়ান – সরাসরি ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনারের বাতাস থেকে চোখ রক্ষা করুন।
  5. চোখের ব্যায়াম করুন – চোখ ঘোরানো, বারবার পলক ফেলা ড্রাইনেস কমাতে সাহায্য করে।
  6. ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খান – মাছ, বাদাম, চিয়া সিড ইত্যাদি চোখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  7. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন – কম ঘুম চোখের ড্রাইনেস বাড়াতে পারে।
  8. ধুলাবালি ও ধোঁয়া থেকে বাঁচুন – বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

*****************************************************************************

২০-২০-২০ রুল ফলো করার জন্য কম্পিউটারে কিভাবে এলার্ম সেট করবেন?

২০-২০-২০ রুল অনুসরণ করতে কম্পিউটারে এলার্ম সেট করার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করতে পারেন:

Windows Timer বা Alarm ব্যবহার করুন

  1. Windows Clock App ব্যবহার করুন:
    • Start MenuClock লিখে অনুসন্ধান করুন।
    • Timer অপশনে গিয়ে ২০ মিনিটের জন্য টাইমার সেট করুন।
    • টাইমার শেষ হলে নোটিফিকেশন আসবে।
  2. Windows Task Scheduler ব্যবহার করে পপ-আপ রিমাইন্ডার সেট করুন।

Browser Extensions ব্যবহার করুন

  • Eye Care 20 20 20 (Chrome Extension)
  • Break Timer (Chrome/Firefox)
  • Stretch Reminder (Google Chrome)

Desktop Apps ব্যবহার করুন

  • Workrave (Windows/Linux)
  • EyeLeo (Windows)

Google Assistant বা Cortana ব্যবহার করুন

  • “Hey Google, set a 20-minute reminder for eye break”

 

 

কবিতা

মিছিলেও প্রেম হোক
ভেঙ্গে যাক মোহ
তুমি হও ব্যারিকেড
আমি বিদ্রোহ।

– শেখ শাহিনুর রহমান

***

বুঝিবে সে কিসে

কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন

ব্যথিতবেদন বুঝিতে পারে।

কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে

কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে।

যতদিন ভবে, না হবে না হবে,

তোমার অবস্থা আমার সম।

ঈষৎ হাসিবে, শুনে না শুনিবে

বুঝে না বুঝিবে, যাতনা মম।

****

অপব্যয়ের ফল

কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

যে জন দিবসে মনের হরষে

জ্বালায় মোমের বাতি,

আশু গৃহে তার দখিবে না আর

নিশীথে প্রদীপ ভাতি।

****

দুখের তুলনা

কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

একদা ছিল না ‘জুতো’ চরণ-যুগলে
দহিল হৃদয় মম সেই ক্ষোভানলে।
ধীরে ধীরে চুপি চুপি দুঃখাকুল মনে,
গেলাম ভজনালয়ে ভজন কারণে !
দেখি তথা এক জন, পদ নাহি তার,
অমনি ‘জুতো’র খেদ ঘুচিল আমার,
পরের অভাব মনে করিলে চিন্তন
নিজের অভাব ক্ষোভ রহে কতক্ষণ ?

***********

প্রিয়তমাসু

-সুকান্ত ভট্ট্যাচার্য

সীমান্তে আজ আমি প্রহরী
অনেক রক্তাক্ত পথ অতিক্রম করে
আজ এখানে এসে থমকে দাঁড়িয়েছি
স্বদেশের সীমানায়।

ধূসর তিউনিসিয়া থেকে স্নিগ্ধ ইতালী,
স্নিগ্ধ ইতালী থেকে ছুটে গেছি বিপ্লবী ফ্রান্সে
নক্ষত্র নিয়ন্ত্রিত নিয়তির মত
দুর্নিবার, অপরাহত রাইফেল হাতে;
-ফ্রান্স থেকে প্রতিবেশী বর্মাতেও।

আজ দেহে আমার সৈনিকের কড়া পোষাক
হাতে এখনো দুর্জয় রাইফেল,
রক্তে রক্তে তরঙ্গিত জয়ের আর শক্তির দুর্বহ দম্ভ,
আজ এখন সীমান্তের প্রহরী আমি।

আজ কিন্তু নীল আকাশ আমাকে পাঠিয়েছে আমন্ত্রণ
স্বদেশের হাওয়া বয়ে এনেছে অনুরোধ
চোখের সামনে খুলে ধরেছে সবুজ চিঠি;
কিছুতেই বুঝিনা কী করে এড়াব তাকে,
কী করে এড়াব এই সৈনিকের কড়া পোষাক?
যুদ্ধ শেষ; মাঠে মাঠে প্রসারিত শান্তি,
চোখে এসে লাগছে তারই শীতল হাওয়া,
প্রতি মুহুর্তে শ্লথ হয়ে আসে হাতের রাইফেল
গা থেকে খসে পড়তে চায় এই কড়া পোষাক
রাত্রে চাঁদ ওঠে, আমার চোখে ঘুম নেই।

তোমাকে ভেবেছি কতদিন,
কত শত্র“র পদক্ষেপ শোনার প্রতীক্ষার অবসরে
কত গোলা ফাটার মুহূর্তে।
কতবার অবাধ্য হয়েছে মন, যুদ্ধ জয়ের ফাঁকে ফাঁকে,
কতবার হৃদয় জ্বলেছে অনুশোচনার অঙ্গারে
তোমার আর তোমাদের ভাবনায়।
তোমাকে ফেলে এসেছি দারিদ্র্যের মধ্যে,
ছুঁড়ে দিয়েছি দুর্ভিক্ষের আগুনে,
ঝড়ে আর বন্যায় মারী আর মড়কের দুঃসহ আঘাতে
বার বার বিপন্ন হয়েছে তোমাদের অস্তিত্ব।
আর আমি ছুটে গেছি এক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আর এক যুদ্ধক্ষেত্রে।
জানিনা আজো আছো কি নেই,
দুর্ভিক্ষে ফাঁকা আর বন্যায় তলিয়ে গেছে কি-না ভিটে,
জানি না তাও।
তবু লিখছি তোমাকে আজ, লিখছি আত্মম্ভর আশায়,
ঘরে ফেরার সময় এসে গেছে।

জানি আমার জন্যে কেউ প্রতীক্ষা ক’রে নেই,
মালায় আর পতাকায় প্রদীপে আর মঙ্গল ঘটে
জানি সম্বর্ধনা রটবে না লোকমুখে,
মিলিত খুশীতে মিলবে না বীরত্বের পুরষ্কার।
তবু, একটি হৃদয় নেচে উঠবে আমার আবির্ভাবে-
সে তোমার হৃদয়।
যুদ্ধ চাইনা আর, যুদ্ধ তো থেমে গেছে;
পদার্পণ করতে চায় না মন ইন্দোনেশিয়ায়।
আর সামনে নয়,
এবার পেছন ফেরার পালা।
পরের জন্য যুদ্ধ করেছি অনেক,
এবার যুদ্ধ তোমার আর আমার জন্যে।
প্রশ্ন করো যদি এত যুদ্ধ করে পেলাম কী? উত্তর তার-
তিউনিসিয়ায় পেয়েছি জয়,
ইতালিতে জনগণের বন্ধুত্ব,
ফ্রান্সে পেয়েছি মুক্তির মন্ত্র;
আর নিষ্কন্টক বর্মায় পেলাম ঘরে ফেরার তাগাদা।

আমি যেন সেই বাতিওয়ালা-
যে সন্ধ্যায় রাজপথে-পথে বাতি জ্বালিয়ে ফেরে
অথচ নিজের ঘরে নেই যার বাতি জ্বালার সামর্থ্য
নিজের ঘরেই জমে থাকে দুঃসহ অন্ধকার।

****************************************

তোমার চোখ এত লাল কেন?

নির্মলেন্দু গুণ

নির্মলেন্দু গুণ

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই

কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,

শুধু ঘরের ভিতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য।

বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই

কেউ আমাকে খেতে দিক।আমি হাতপাখা নিয়ে

কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,

আমি জানি, এই ইলেক্ট্রিকের যুগ

নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী-সেবার দায় থেকে।

আমি চাই কেউ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করুক,

আমার জল লাগবে কিনা, নুন লাগবে কিনা।

পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা

তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না।

এঁটো বাসন গেজ্ঞি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি।

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই

কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা

খুলে দিক।কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক।

কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে

জিজ্ঞেস করুক, তোমার চোখ এত লাল কেন?

****************************************

ছাড়পত্র

-সুকান্ত ভট্টাচার্য

যে শিশু ভুমিষ্ঠ হলো আজ রাত্রে
তার মুখে খবর পেলুম:
সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,
নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার
জন্মমাত্র সুতীব্র চিৎকারে।

খর্বদেহ নিঃসহায় তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত
উত্তোলিত, উদ্ভাসিত
কী এক দুর্ব্যোধ্য প্রতিজ্ঞায়।

সে ভাষা বুঝে না কেউ,
কেউ হাসে, কেউ করে মৃদু তিরস্কার।

আমি কিন্তু মনে মনে বুঝেছি সে ভাষা।
পেয়েছি নতুন চিঠি আসন্ন যুগের-
পরিচয়-পত্র পড়ি ভূমিষ্ঠ শিশুর,
অস্পষ্ট কুয়াশা ভরা চোখে।

এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান,
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদের।

চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি-
নব জাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

অবশেষে সব কাজ সেরে
আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে
করে যাব আশীর্বাদ,
তারপর হবো ইতিহাস।

***************************************************************************************************

বৃষ্টি থেমে গেলে ছাতাটাকেও বোঝা মনে হয়।কালি ফুরিয়ে গেলে কলমটাও আবর্জনার ঝুড়িতে জমা হয়। বাসি হয়ে গেলে প্রিয়জনের দেয়া ফুলটাও পরদিন ডাস্টবিনে পাওয়া যায়।

পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম সত্য হলো আপনার উপকারের কথা মানুষ বেশিদিন মনে রাখবে না। জীবনের সবচেয়ে নিদারুণ বাস্তবতা হলো, কার কাছে আপনি কতদিন প্রায়োরিটি পাবেন, সেটা নির্ভর করবে কার জন্য কতদিন কিছু একটা করার সামর্থ আছে তার উপর।

এই বাস্তবতা আপনি মানলেও সত্যি, না মানলেও সত্যি। আজ সকালে যে পত্রিকার দাম ১০ টাকা, একদিন পর সেই একই পত্রিকার ১ কেজির দাম ১০ টাকা। হাজার টাকা খরচ করে একাডেমিক লাইফে বছরের শুরুতে যে বইগুলো গুরুত্ব দিয়ে কিনেন, বছর শেষে সেই বইগুলোই কেজি মাপে বিক্রি করে দেন।

সময় ফুরিয়ে গেলে এভাবেই মূল্য কমতে থাকে সবার, সবকিছুর। আমরা আপাদমস্তক স্বার্থপর প্রাণী। ভিখারিকে ২ টাকা দেয়ার আগেও মানুষ চিন্তা করে কতটুকু পূণ্য অর্জন হবে। বিনা স্বার্থে কেউ ভিক্ষুককেও ভিক্ষা দেয় না।

এতকিছুর পরও চলুন একটু হেসে কথা বলি। রাগটাকে কমাই। অহংকারকে কবর দেই।

যদি সুখী হতে চান তবে প্রত্যাশা কমান।

আপনি কারো জন্য কিছু করে থাকলে সেটা চিরতরে ভুলে যান। কারণ সেটা যতদিন আপনি মনে রাখবেন ততদিন সেটা আপনাকে অহংকারী করে তুলবে।

আবার কেউ যদি আপনার জন্য খুব ছোট্ট কিছু একটা করে থাকে,

তবে সেটা আজীবন মনে রাখবেন। কারণ এটা আপনাকে বিনয়ী ও কৃতজ্ঞতাসম্পন্ন একজন ভালো মানুষ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখবে।

******************

আজ থেকে এক হাজার শীত বসন্ত শেষে এই পথেই যদি আসি আবার…
আজ থেকে এক হাজার শীত বসন্ত শেষে এই পথেই যদি আসি আবার…

সঙ্গে সেই স্মৃতি ভার রঙ চটা সেই গীটার।। সেই অহংকার আগুন সেই জোয়ার,
হয় তো সব থাকবে সেই আগেকার মতই পাব কি দেখা রাজশ্রী তোমার……
আজ থেকে এক হাজার শীত বসন্ত শেষে এই পথেই যদি আসি আবার

হয়তো পথের ধারে পাব বারে বারে আমার শৈশব কৈশোর অমলিন ।।
পাব মায়ের আঁচল প্রিয়া বধূর কাজল অগভীর ধানসিঁড়ির দিন… প্রতিদিন…
থাকবে একলা চলা নয় তো সঙ্গে বলা থাকবে হাজার পাগলামী আমার…
হয় তো সব থাকবে সেই আগেকার মতই পাব কি দেখা রাজশ্রী তোমার……

আজ থেকে এক হাজার শীত বসন্ত শেষে এই পথেই যদি আসি আবার…

হয় তো সন্ধ্যা এসে প্রকৃতির আদেশে নিথর কৃষ্ণ নীল রঙ ছড়াবে ।।
ঘর ভোলা এক পাখি থামিয়ে ডাকাডাকি হঠাৎ স্তব্ধতার গান শোনাবে…
ফিরব সেই পথে আবার সঙ্গে সাত সাগর বাধার ।। সঙ্গে সেই স্থির মন ঢেউ গোনার…
হয়ত সব থাকবে সেই আগেকার মতই, পাব কি দেখা রাজশ্রী তোমার…
আজ থেকে এক হাজার শীত বসন্ত শেষে এই পথেই যদি আসি আবার…
আজ থেকে এক হাজার শীত বসন্ত শেষে এই পথেই যদি আসি আবার…

সঙ্গে সেই স্মৃতি ভার রঙ চটা সেই গীটার ।। সেই অহংকার আগুন সেই জোয়ার,
হয় তো সব থাকবে সেই আগেকার মতই পাব কি দেখা রাজশ্রী তোমার……
আজ থেকে এক হাজার শীত বসন্ত শেষে এই পথেই যদি আসি আবার…
আজ থেকে এক হাজার শীত বসন্ত শেষে এই পথেই যদি আসি আবার…

– নচিকেতা চক্রবর্তী

*********************************

বনলতা সেন

জীবনানন্দ দাশ

হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার-অশােকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরাে দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবন্তীর কারুকার্য; অতি দূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে, বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতাে চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।

সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়ােজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে—সব নদী—ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখােমুখি বসিবার বনলতা সেন।

শিশুতোষ কবিতা

 

শিখি ইংরেজি বর্ণমালা 

A লিখব তাই তো রে ভাই
ঘরের চালা আঁকি
B লিখতে চশমাখানা
দাঁড় করিয়ে রাখি

লিখতে হবে C এবারে
গোল্লা এঁকে তাই
ডানদিকেতে আলতো করে
একটু মুছে যাই

D লিখতে গোল্লা আবার
মাঝখানেতে কাঠি
বামদিকটা মুছে দিলেই
চুকবে লেখার পাটই

E যেন ভাই এক চিরুনি
তিন দাঁতেতে গড়া
নিচের খানা সরিয়ে দিলে
F-কে যাবে পড়া

G লিখতে C এর কাছে
যাই না চলো ফিরে
আড়াআড়ি দুইটা কাঠি
নিচপ্রান্ত ঘিরে

দুইটা লাঠি লম্বা করে
পেট বরাবর টেনে
H তুমি লিখতে পারো
অবাক হবে জেনে

I এর বেলায় একটা কাঠি
এত্ত সোজা, ধুর!
J এর বেলায় I এর নিচেই
বাম দিকেতে শুঁড়

I ব্যাটাকে লাগবে আবার
লিখতে যে K ওরে
দুইটা কাঠি দাও মাঝেতে
কোনাকুনি করে

E-চিরুনির উপরদিকে
দাঁত পড়ল দুই
বলল সবাই, এই রে বাবা
L হলি যে তুই!

M হলো ভাই আকাশপানে
পাখির খোলা ঠোঁট
ওটাই চেপে N লেখা যায়
পায় না পাখি চোট

O দেখতে ডিমের মতো
P লিখবে ভাই?
D এর বামের সেই কাঠিটা
লম্বা করা চাই

O এর ডানে নিচের দিকে
পা বেরোলে Q
R লিখতেও P এর নিচে
পা জুড়ে দাও নিউ

S দেখতে সাপের মতো
এঁকেবেঁকে চলা
I এর মাথায় কাঠি দিয়ে
T লিখতে বলা

U লিখতে মুছতে হবে
ডিমের উপরদিকে
কোণাকুনি দুইটা রেখায়
V লেখা নাও শিখে

M-কে দিলে উলটো করে
W নাম তারই
X যেন ভাই দুইটা লাঠি
করছে মারামারি

Y যেন এক পায়েতে
V দাঁড়িয়ে ঠায়
N-টা যদি দাও ঘুরিয়ে
Z-কে পাওয়া যায়

ছড়াকার – আফিফা আবেদীন সাওদা

©কারিমুনি

শিশুতোষ কবিতা

Aলিখব তাই তো রে ভাই

ঘরের চালা আঁকি

Bলিখতে চশমাখানা

দাঁড় করিয়ে রাখি

লিখতে হবে C এবারে

গোল্লা এঁকে তাই
ডানদিকেতে আলতো করে
একটু মুছে যাই

D লিখতে গোল্লা আবার
মাঝখানেতে কাঠি
বামদিকটা মুছে দিলেই
চুকবে লেখার পাটই

E যেন ভাই এক চিরুনি
তিন দাঁতেতে গড়া
নিচের খানা সরিয়ে দিলে
F-কে যাবে পড়া

G লিখতে C এর কাছে
যাই না চলো ফিরে
আড়াআড়ি দুইটা কাঠি
নিচপ্রান্ত ঘিরে

দুইটা লাঠি লম্বা করে
পেট বরাবর টেনে
H তুমি লিখতে পারো
অবাক হবে জেনে

I এর বেলায় একটা কাঠি
এত্ত সোজা, ধুর!
J এর বেলায় I এর নিচেই
বাম দিকেতে শুঁড়

I ব্যাটাকে লাগবে আবার
লিখতে যে K ওরে
দুইটা কাঠি দাও মাঝেতে
কোনাকুনি করে

E-চিরুনির উপরদিকে
দাঁত পড়ল দুই
বলল সবাই, এই রে বাবা
L হলি যে তুই!

M হলো ভাই আকাশপানে
পাখির খোলা ঠোঁট
ওটাই চেপে N লেখা যায়
পায় না পাখি চোট

O দেখতে ডিমের মতো
P লিখবে ভাই?
D এর বামের সেই কাঠিটা
লম্বা করা চাই

O এর ডানে নিচের দিকে
পা বেরোলে Q
R লিখতেও P এর নিচে
পা জুড়ে দাও নিউ

S দেখতে সাপের মতো
এঁকেবেঁকে চলা
I এর মাথায় কাঠি দিয়ে
T লিখতে বলা

U লিখতে মুছতে হবে
ডিমের উপরদিকে
কোণাকুনি দুইটা রেখায়
V লেখা নাও শিখে

M-কে দিলে উলটো করে
W নাম তারই
X যেন ভাই দুইটা লাঠি
করছে মারামারি

Y যেন এক পায়েতে
V দাঁড়িয়ে ঠায়
N-টা যদি দাও ঘুরিয়ে
Z-কে পাওয়া যায়

ছড়াকার – আফিফা আবেদীন সাওদা

©কারিমুনি

খুচরা আপডেট

#জেনজি

প্রজন্ম বলতে বোঝায় কাছাকাছি সময়ে জন্মগ্রহণকারী মানুষজন যারা চিন্তা চেতনা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে কাছাকাছি ধরনের হয়। 

১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী শিশুরা জেনারেশন জেড। 

২০১৩ থেকে ২০২৪ এ জন্মগ্রহণকারীরা জেনারেশন আলফা।

২০২৫ থেকে ২০৩৯ সাল পর্যন্ত জন্মগ্রহণকারীরা জেনারেশন বিটা হিসেবে পরিচিত হবে।

#রেলঃ 

বর্তমানে দেশের ৪৯ টি জেলা রেল লাইনের মাধ্যমে যুক্ত রয়েছে। বরিশাল বিভাগের কোন জেলাতেই রেল সংযোগ নেই। 

#ব্রিকসঃ 

ব্রিকস এর দশম সদস্য হিসেবে যোগদান করেছে ইন্দোনেশিয়া। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশটি ব্রিকসে যোগদানের ফলে আরো শক্তিশালী হবে। ইন্দোনেশিয়ার সর্ববৃহৎ মুসলিম জনসংখ্যার দেশ এবং আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।  ব্রিকস এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য গুলো হল ভারত চীন রাশিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল। গত বছর ইরান সংযুক্ত আরব আমিরাত মিশর এবং ইথিওপিয়া ব্রিকস এ যোগ দেয়।