#প্রাচীন যুগ:
প্রাচীন বাংলার জনগোষ্ঠীকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় – আর্য এবং অনার্য।
অনার্যদের মধ্যে অনেকগুলো জাতি ছিল। এদের মধ্যে অস্ট্রিক্ট জাতি থেকে বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে বলে মনে করা হয়। অস্ট্রিক দের কে নিশাদ ও বলা হয়। প্রায় ৫ হাজার বছর পূর্বে ইন্দোচীন থেকে অস্ট্রিক এরা বাংলায় প্রবেশ করে এখানে আগে থেকেই থাকা নেগ্রিটো দের উৎখাত করে।
অস্ট্রিক দের পরে আসে দ্রাবিড় এর পরে আসে মঙ্গল। এদেরকে একসাথে অনার্য বলা হয়।
[মনে রাখার উপায়: নে অতিরিক্ত দায়িত্ব মঙ্গলজনক]
খ্রিস্টপূর্ব 200 সালের দিকে আর্যরা ভারতবর্ষে আসে। এর আগে তারা ইউরাল পর্বতের দক্ষিণ অংশে বসবাস করত। আর্যরা সনাতনের ধর্মালম্বী ছিল। তাদের ধর্মগ্রন্থের নাম ছিল বেদ।
বাংলাদেশের মানুষ নিতরাত্বিকভাবে আদিঅস্টেলীয় প্রোটোটো অস্ট্রেলিয়ান।
#প্রাচীন বাংলার জনপদ:
প্রাচীন বাংলায় মোট ১৬ টি জনপদের নাম জানতে পাওয়া যায়। এরমধ্যে প্রাচীনতম ছিল পুণ্ড্র।
পুণ্ড্র: বগুড়া মহাস্থানগড় রাজশাহী রংপুর
বরেন্দ্র: এটি পুন্এড্রের একটি অংশ ছিল। খুব সম্ভবত পুণ্ড্র থেকেই বরেন্দ্র ভাগ হয়ে গিয়েছিল। মহানন্দা করোতোয়া পদ্মা নদীর মাঝখানের অংশটাই বরেন্দ্র নামে পরিচিত। এই এলাকায় কৈবর্ত এর বিদ্রোহ হয়েছিল। ফকির সন্ন্যাস বিদ্রোহ ও অঞ্চলে হয়েছিল।
বঙ্গ: ঢাকা ময়মনসিংহ ফরিদপুর
সমতট: কুমিল্লা নোয়াখালী
চন্দ্রদ্বীপ: বরিশাল বিভাগ
গৌড়: মুর্শিদাবাদ মালদহ
রাঢ়: পশ্চিমবাংলার দক্ষিণ অংশ
হরিকেল: সিলেট চট্টগ্রাম।
ঐতোর অরণ্যক বইতেই সর্বপ্রথম বঙ্গ শব্দটি পাওয়া যায়।
আবুল ফজল তার আইনে আকবরীতে দেশ হিসেবে বঙ্গ ব্যবহার করেছেন।