BRICS কি উগ্র পুঁজিবাদকে পরাস্ত করতে পারবে?
🔑 প্রসঙ্গ ও প্রেক্ষাপট:
-
BRICS: Brazil, Russia, India, China, South Africa।
-
সম্প্রসারিত হচ্ছে — আর্জেন্টিনা, মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব, UAE যুক্ত হচ্ছে।
🌐 কারণ ও লক্ষ্য:
-
পশ্চিমা আধিপত্যভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন IMF, World Bank এর বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
-
নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো: গ্লোবাল সাউথের জন্য সমতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
-
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে রাশিয়া দক্ষিণমুখী নীতি গ্রহণ করে (তেল-গ্যাস রপ্তানির জন্য)।
🎯 মূল চ্যালেঞ্জ:
-
বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো থাকা সত্ত্বেও BRICS কীভাবে একটি কার্যকর বিকল্প গঠন করবে তা ভবিষ্যৎই বলবে।
***********
জাতিসংঘে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে।
- যোগদানের পরপরই, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় ভাষণ দেন, যা ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
- জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে বাংলাদেশের একটি স্থায়ী মিশন রয়েছে, যার প্রধান হলেন স্থায়ী প্রতিনিধি। বর্তমানে মোহাম্মদ আবদুল মুহিত এই পদে অধিষ্ঠিত।
- জেনেভা ও ভিয়েনাতেও বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন রয়েছে, যা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে।
- এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ একবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে।
- ১৯৮৬-৮৭ সালে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি ছিলেন প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশী যিনি এই সম্মান অর্জন করেছেন।
- মে মাসের ১৮ তারিখে (আজ), ২০২৫ সালে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে এই পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। নির্বাচিত হলে তিনি দ্বিতীয় বাংলাদেশী হবেন যিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন।
- বাংলাদেশ এ পর্যন্ত দুইবার নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ লাভ করেছে, যা একটি সম্মানজনক অর্জন।
**************************************
BIMSTEC (Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation) হলো একটি আঞ্চলিক সংস্থা, যা বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান—এই সাতটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত। BIMSTEC-এর স্থায়ী সচিবালয় বাংলাদেশে (ঢাকা) অবস্থিত।

BIMSTEC
মূল লক্ষ্য:
অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাণিজ্য, পর্যটন, পরিবহন, জ্বালানি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
কার্যক্রম:
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
সংযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন (বন্দর, রেল, সড়ক যোগাযোগ)।
জ্বালানি ও প্রযুক্তি সহযোগিতা।
সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা।
চ্যালেঞ্জ:
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পার্থক্য।
পর্যাপ্ত সংযোগ ব্যবস্থা না থাকা।
চুক্তি বাস্তবায়নে ধীরগতি।
সাম্প্রতিক অগ্রগতি:
২০২২ সালে BIMSTEC-এর নতুন চার্টার স্বাক্ষরিত হয়।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (FTA) আলোচনা চলছে।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস BIMSTEC-এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
#BIMSTEC #DrYunus #Update