Common Mistakes

ইংরেজি বলার ও লেখার সময় আমরা বাঙালিরা কিছু সাধারণ ভুল করে থাকি বা কিছু ব্যাপারে কনফিউশনে থাকি। যেমন –

✅ সাধারণ ভুল/Confusions – পরিচিত তালিকা:

  1. Wrong prepositions
    ❌ I am good in English.
    ✅ I am good at English.
  2. Confusion between ‘say’, ‘tell’, and ‘speak’
    ❌ He told that he is busy.
    ✅ He said that he is busy.
    ✅ He told me that he is busy.
  3. Using present tense for past events (বাংলা ভাবানুবাদে বিভ্রান্তি)
    ❌ Yesterday I go to market.
    ✅ Yesterday I went to market.
  4. Unnecessary use of “do” in positive sentences
    ❌ I do go there every day.
    ✅ I go there every day
  5. Wrong article usage (‘a’, ‘an’, ‘the’)
    ❌ He is an honest man. ✅ (Correct)
    ❌ She is a MBA holder. ✅ (Incorrect – “an MBA holder” হবে)
  6. Direct translation from Bengali
    ❌ My head is paining.
    ✅ I have a headache.
  7. Plural and singular confusion
    ❌ She have a car.
    ✅ She has a car.
  8. Wrong word order in questions
    ❌ What you are doing?
    ✅ What are you doing?
  9. Using double negatives
    ❌ I don’t know nothing.
    ✅ I don’t know anything.
  10. Confusion between “few”, “a few”, “the few”

Continue reading

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

মার্চ ২০২৫

একুশে পদক ২০২৫ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পেয়েছেন মেহেদী হাসান খান,  সাহিত্যে পেয়েছেন হেলাল হাফিজ।

জাতীয় নগরীর নীতি অনুযায়ী পাঁচ লাখ থেকে ১ কোটির জনসংখ্যা হলে মহানগর বা মেট্রোপলিটন সিটি বলা হবে। এক কোটি এর উপর হলে মেগাসিটি। পাঁচ লাখ এরকম হলে জেলা শহর।

সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সরা। বাশার আল আসাদ কে সরিয়ে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের সাথে ভুটানেও স্টারলিং চালু হয়।

ডিপসিক আর১ মডেল এ কাজ করে। উদ্ভাবক লিয়াং ওয়েন ফেং। কুয়েন আলিবাবার এআই।

ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো কানাডা চীন এসব দেশের পণ্যের উপরে বাড়তি কর আরোপ করেছে।  ডিপার্টমেন্ট অফ গভমেন্ট এফিসিয়েন্সি এর প্রধান ইলন মাস্ক।

জাস সোলাই – মাটির অধিকার

যাসশ্যাঙ্গুইনাস – অভিভাবকের নাগরিকত্বের বিবেচনায়।

 

 

 

 

Business English

🧾 What is Business English?

Business English is a form of English used in professional and workplace settings. It focuses on the vocabulary, expressions, and communication styles needed in business situations like meetings, negotiations, presentations, emails, and formal reports.

✴️ Key Features:

  • Formal Tone: Polite, respectful, and professional language.

  • Specific Vocabulary: Words like revenue, deadline, client, proposal, etc.

  • Clear Communication: Direct and effective writing/speaking to avoid confusion.

  • Cultural Awareness: Understanding how business is done across cultures.

Continue reading

সাফ কাবলা দলিল কী? জমি কেনাবেচায় কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

বাংলাদেশে জমি কেনাবেচা অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগত কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন আইনি দলিলের মধ্যে সাফ কবলা দলিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

সাফ কবলা দলিল কী?

সাফ কবলা দলিল হলো একটি আইনি দলিল, যা জমি, ফ্ল্যাট বা প্লটের মতো সম্পত্তি এক পক্ষ (বিক্রেতা) থেকে অন্য পক্ষের (ক্রেতা) কাছে অর্থের বিনিময়ে হস্তান্তরের সময় সম্পাদিত হয়। বাংলায় “সাফ” মানে পরিষ্কার বা সম্পূর্ণ, আর “কবলা” মানে দলিল বা চুক্তি। এই দলিলটি সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তরকে আনুষ্ঠানিকভাবে নথিবদ্ধ করে এবং বাংলাদেশের রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ অনুযায়ী সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নিবন্ধিত হয়।

সাফ কবলা দলিলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে, যেমন:

  • বিক্রেতা (দাতা) ও ক্রেতার (গ্রহীতা) পূর্ণ পরিচয়।
  • সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ, যেমন অবস্থান, আয়তন, ও সীমানা (তফসিল বা তাপশিল অনুযায়ী)।
  • বিক্রয় মূল্য ও অর্থ পরিশোধের শর্ত।
  • সম্পাদন ও নিবন্ধনের তারিখ।
  • উভয় পক্ষের ও সাক্ষীদের স্বাক্ষর এবং সাব-রেজিস্ট্রারের অনুমোদন।

নিবন্ধনের পর এই দলিল সম্পত্তির সমস্ত অধিকার, মালিকানা ও স্বার্থ ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করে, এবং বিক্রেতার মালিকানা বিলুপ্ত হয়। এ কারণে বাংলাদেশে জমি কেনাবেচার জন্য এটি সবচেয়ে সাধারণ দলিল।

জমি কেনাবেচায় সাফ কবলা দলিল কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সাফ কবলা দলিল বাংলাদেশে সম্পত্তির মালিকানার মূল ভিত্তি। জমি কেনাবেচায় এর গুরুত্ব নিচের কারণগুলোর জন্য অপরিসীম:

১. মালিকানার প্রমাণ

সাফ কবলা দলিল ক্রেতার সম্পত্তির মালিকানার প্রাথমিক ও আইনি প্রমাণ। নিবন্ধনের পর এটি বিক্রেতার থেকে সমস্ত মালিকানা অধিকার ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করে, যা আইনের দৃষ্টিতে ক্রেতাকে বৈধ মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। নিবন্ধিত সাফ কবলা দলিল ছাড়া মালিকানার কোনো দাবি আইনত বৈধ নয়।

২. বিরোধের বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা

বাংলাদেশে জমি নিয়ে বিরোধ সাধারণ, যা প্রায়ই অস্পষ্ট মালিকানা, প্রতারণামূলক লেনদেন বা জাল দলিলের কারণে হয়। একটি সঠিকভাবে সম্পাদিত ও নিবন্ধিত সাফ কবলা দলিল ক্রেতাকে লেনদেনের স্পষ্ট রেকর্ড প্রদান করে সুরক্ষা দেয়। বিরোধের ক্ষেত্রে আদালত নিবন্ধিত দলিলের উপর নির্ভর করে বৈধ মালিক নির্ধারণ করে, যা তৃতীয় পক্ষের দাবি বা প্রতারক বিক্রেতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।

৩. নিবন্ধনের আইনি বাধ্যবাধকতা

রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ অনুযায়ী, জমির মতো স্থাবর সম্পত্তির সকল বিক্রয় দলিল নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। ২০০৫ সালের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে সাফ কবলা দলিলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। নিবন্ধনবিহীন দলিল মালিকানা প্রদান করে না এবং আদালতে মালিকানার প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, যা এই দলিলের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

৪. প্রতারণা ও জালিয়াতি প্রতিরোধ

সাফ কবলা দলিল নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রার বিক্রেতার মালিকানা, স্বাক্ষর ও অন্যান্য বিষয় যাচাই করে। এটি জাল দলিল বা অননুমোদিত ব্যক্তির দ্বারা বিক্রয়ের ঝুঁকি কমায়। ক্রেতাদের পরামর্শ দেওয়া হয় যে তারা দলিলের সত্যতা যাচাই করুন এবং খতিয়ান, নামজারি রেকর্ড ও কর রশিদের মতো সংশ্লিষ্ট দলিল পরীক্ষা করে নিশ্চিত করুন যে মালিকানা পরিষ্কার।

৫. ভবিষ্যৎ লেনদেনের সুবিধা

নিবন্ধিত সাফ কবলা দলিল সম্পত্তির পরবর্তী লেনদেন, যেমন বিক্রয়, বন্ধক বা উত্তরাধিকারীদের কাছে হস্তান্তরের জন্য অপরিহার্য। এটি জমির রেকর্ড হালনাগাদ (যেমন নামজারি) এবং জমির কর পরিশোধের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে, যা পরিষ্কার মালিকানা রেকর্ড বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বৈধ সাফ কবলা দলিল ছাড়া সম্পত্তির ভবিষ্যৎ লেনদেন আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে পারে।

৬. সম্পত্তির বিস্তারিত স্পষ্টতা

দলিলের তফসিল (তাপশিল) সম্পত্তির অবস্থান, আয়তন, সীমানা এবং দাগ নম্বরের মতো বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। এই স্পষ্টতা সম্পত্তির পরিমাণ বা পরিচয় নিয়ে বিরোধ প্রতিরোধ করে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে লেনদেনের বিষয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়া নিশ্চিত করে।

সাফ কবলা দলিলের খরচ

সাফ কবলা দলিল নিবন্ধনের সঙ্গে বেশ কিছু খরচ জড়িত, যা সম্পত্তির অবস্থান ও মূল্যের উপর নির্ভর করে। ২০২৪ সালের হিসেবে সাধারণ খরচগুলো হলো:

  • নিবন্ধন ফি: দলিলে ঘোষিত সম্পত্তির মূল্যের ১%।
  • স্ট্যাম্প ডিউটি: সম্পত্তির মূল্যের ১.৫%, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ ১,২০০ টাকা।
  • স্থানীয় সরকার কর: সম্পত্তির মূল্যের ৩% (সিটি করপোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে ২%, ইউনিয়ন এলাকায় ১%)।
  • উৎসে কর (আয়কর): অবস্থানের উপর নির্ভর করে দলিলের মূল্যের ৩% থেকে ৮%। ঢাকার গুলশান বা মতিঝিলের মতো প্রাইম এলাকায় এটি ৮% বা প্রতি কাঠায় ২০,০০,০০০ টাকা, যেটি বেশি।

এই খরচ সরকারি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে নির্ধারণ করা হয়, যেমন dolil.gov.bd/calculator, যা নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।

চ্যালেঞ্জ ও সতর্কতা

সাফ কবলা দলিল গুরুত্বপূর্ণ হলেও, ক্রেতাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে:

  • বিক্রেতার মালিকানা যাচাই: পূর্ববর্তী দলিল, খতিয়ান, নামজারি রেকর্ড ও কর রশিদ পরীক্ষা করে বিক্রেতার মালিকানা নিশ্চিত করুন। আইনজীবীর সহায়তা বা স্থানীয় ভূমি অফিসে যাচাই করা উচিত।
  • নিবন্ধনবিহীন দলিল এড়িয়ে চলুন: নিবন্ধনবিহীন দলিল আইনত অকার্যকর এবং কোনো সুরক্ষা দেয় না। সবসময় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নিবন্ধন নিশ্চিত করুন।
  • বাধা বা দায়মুক্তি যাচাই: সম্পত্তি ঋণ, বন্ধক বা আইনি বিরোধমুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করুন।
  • জাল দলিল থেকে সাবধান: দলিলের বিবরণ ভূমি রেকর্ডের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন যাতে জালিয়াতির শিকার না হন।
  • খরচ সম্পর্কে জানুন: নিবন্ধন ফি ও কর সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা রাখুন। সরকারি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে খরচের হিসাব করুন।

উপসংহার

সাফ কবলা দলিল বাংলাদেশে জমি কেনাবেচার মূল ভিত্তি, যা মালিকানা হস্তান্তর করে এবং ক্রেতার অধিকার সুরক্ষিত রাখে। এর বাধ্যতামূলক নিবন্ধন, বিস্তারিত নথিপত্র এবং প্রতারণা প্রতিরোধের ভূমিকা এটিকে নিরাপদ লেনদেনের জন্য অপরিহার্য করে। জমি ক্রয়ের সময় সঠিকভাবে সম্পাদিত ও নিবন্ধিত সাফ কবলা দলিল এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই বিরোধ এড়াতে ও বৈধ মালিকানা নিশ্চিত করতে সহায়ক।

সাফ কবলা দলিলের গুরুত্ব বুঝে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে ক্রেতারা জমি কেনাবেচার জটিলতা সফলভাবে পার করতে পারেন, তাদের বিনিয়োগ ও সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত রাখতে পারেন।

আরবি ভাষা শিক্ষা

আরবি ভাষা সম্পর্কে ধারণা

আরবি ভাষা একটি সমৃদ্ধ ও প্রাচীন ভাষা, যা সেমিটিক ভাষা পরিবারের অন্তর্গত। এটি বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষের মাতৃভাষা এবং ইসলামের ধর্মীয় ভাষা হিসেবে আরও অনেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আরবি ভাষার কিছু মূল বৈশিষ্ট্য:

  1. লিপি: আরবি লিপি ডান থেকে বামে লেখা হয়। এটি ২৮টি অক্ষর নিয়ে গঠিত, যা বিভিন্ন শব্দ ও ধ্বনির জন্য আকার পরিবর্তন করে।
  2. হরকত : হরকত হলো স্বরবর্ণের চিহ্ন (যেমন ফাতহা, কাসরা, দাম্মা), যা উচ্চারণে সহায়তা করে।
  3. ব্যাকরণ: আরবি ব্যাকরণ (নাহু ও সরফ) জটিল হলেও এটি অত্যন্ত সুনিয়ন্ত্রিত। শব্দের মূল (Root) সাধারণত তিন বা চার অক্ষরের হয়, যা বিভিন্ন রূপে পরিবর্তিত হয়।
  4. উপভাষা: আধুনিক প্রমিত আরবি (Modern Standard Arabic – MSA) সর্বত্র ব্যবহৃত হয়, তবে বিভিন্ন দেশে স্থানীয় উপভাষাও রয়েছে।

নিচে ৩০ দিনের একটি গাইডলাইন দেওয়া হলো, যা আপনাকে আরবি ভাষায় দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

Continue reading

Learning English

Let’s learn some rhyming words.

  • Boogie-woogie
    • English Meaning: An energetic dance or a lively style of jazz music, typically fast-paced and upbeat.
    • Example Sentence: She performed a boogie-woogie dance at the party, captivating everyone.
  • Fuddy-duddy
    • English Meaning: A person who is old-fashioned, overly conservative, or fussy.
    • Example Sentence: My uncle is such a fuddy-duddy; he refuses to try modern gadgets.
  • Silly billy
    • English Meaning: A foolish or silly person, often used affectionately.
    • Example Sentence: Why did you wear mismatched shoes, you silly billy?
  • Hocus-pocus
    • English Meaning: Magic, trickery, or deceptive tactics.
    • Example Sentence: He used some hocus-pocus to convince everyone he was a magician.
  • Lovey-dovey
    • English Meaning: Excessively affectionate or romantic behavior.
    • Example Sentence: The new couple was all lovey-dovey, whispering sweet nothings.
  • Helter-skelter
    • English Meaning: In a disorderly or hurried manner.
    • Example Sentence: When the rain started, everyone ran helter-skelter for cover.
  • Namby-pamby
    • English Meaning: Weak, overly sentimental, or lacking strength.
    • Example Sentence: His namby-pamby attitude made it hard to take the project seriously.
  • Willy-nilly
    • English Meaning: Without planning or in a haphazard manner.
    • Example Sentence: She made decisions willy-nilly and ended up in trouble.
  • Jeepers creepers
    • English Meaning: An expression of surprise or amazement (similar to “wow” or “oh my!”).
    • Example Sentence: Jeepers creepers, how did you catch such a huge fish?
  • Higgledy-piggledy
    • English Meaning: In a messy or disorganized way.
    • Example Sentence: His room was higgledy-piggledy, with things scattered everywhere.

Continue reading

ঢাকার জলাবদ্ধতা কেন হয়? এর থেকে উত্তরণের উপায় কি?

ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, যা নগরবাসীর জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।

ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতার কারণ:

  1. অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও জলাশয় ভরাট:
    • ঢাকার জলাশয়, খাল, এবং নিম্নাঞ্চল ব্যাপকভাবে ভরাট হয়েছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর সমীক্ষা অনুযায়ী, গত ৯ বছরে ঢাকায় ৩,৪৮৩ একর জলাশয় ও নিম্নাঞ্চল ভরাট হয়েছে, যা ২০১০ সালের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) লঙ্ঘন করে। এর ফলে বৃষ্টির পানি শোষণের জন্য উন্মুক্ত জায়গা কমে গেছে।
    • ১৯২৪ সালে পুরান ঢাকায় ১২০টি পুকুর ছিল, বর্তমানে মাত্র ২০টি টিকে আছে। খালের সংখ্যাও কমে ২২টিতে এসেছে, যা সংকুচিত অবস্থায় রয়েছে।
  2. অবৈধ দখল ও খাল-নালার সংকোচন:
    • ঢাকার খালগুলো অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে, যা পানি নিষ্কাশনের প্রধান পথ বন্ধ করে দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা নদী দূষণ ও দখলের কারণে নাব্যতা হারিয়েছে।
    • নালা-নর্দমায় ময়লা-আবর্জনা জমে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক, এবং কঠিন বর্জ্য নালার মুখ বন্ধ করে দেয়।
  3. অপর্যাপ্ত ও অকার্যকর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা:
    • ঢাকার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সাতটি সংস্থার (যেমন, ঢাকা ওয়াসা, ডিএনসিসি, ডিএসসিসি, রাজউক) অধীনে পরিচালিত হয়, কিন্তু এদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।
    • ঢাকা ওয়াসার ৮০% যন্ত্রপাতি এবং ৫৫টি স্লুইসগেটের মধ্যে ৩৭টি বিকল। ড্রেনেজ লাইনগুলোও অকার্যকর, ফলে পানি নদীতে পৌঁছাতে পারে না।
    • শহরের পশ্চিমাঞ্চলে গোড়ানচাটবাড়ি ও কল্যাণপুর পাম্পস্টেশন পানি নিষ্কাশনের প্রধান পথ, কিন্তু এদের সামনের জলাধার সংকুচিত হওয়ায় পানি জমে থাকে।
  4. অপরিকল্পিত নির্মাণ ও অসমতল ভূমি:
    • ঢাকার নগর পরিকল্পনা শুরু থেকেই অসমতলভাবে গড়ে উঠেছে। উঁচু এলাকার পানি নিচু এলাকায় গড়িয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। ড্রেন নির্মাণে তলদেশ সমতল না করায় পানির প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে না।
    • শহরে উন্মুক্ত জায়গা মাত্র ১৮%, যেখানে একটি আদর্শ শহরে ৪০% উন্মুক্ত জায়গা প্রয়োজন। মূল শহরে এটি ১০% এরও কম।
  5. জনসচেতনতার অভাব:
    • নাগরিকরা ঘরের ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় বা নালায় ফেলে, যা পানির প্রবাহ বন্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ, পলিথিন ব্যাগ ও কঠিন বর্জ্য নালায় জমে।
    • বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি সচেতনতার অভাবে নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখা যায় না।
  6. জলবায়ু পরিবর্তন ও অতিবৃষ্টি:
    • জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিবৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২১ সালে জুন মাসে ২৪ ঘণ্টায় ১৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, যা সাধারণত ৪০ মিলিমিটারের নিচে থাকলে জলাবদ্ধতা হয় না।
    • বর্ষাকালে (মে-অক্টোবর) পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়ে।
  7. শিল্প ও যানবাহনের দূষণ:
    • শিল্পকারখানার বর্জ্য, ইটভাটার ধোঁয়া, এবং যানবাহনের কালো ধোঁয়া নদী ও খালে দূষণ বাড়ায়। বুড়িগঙ্গা নদী এখন সম্পূর্ণ দূষিত।

জলাবদ্ধতা থেকে উত্তরণের উপায়:

  1. খাল-নালা ও জলাশয় দখলমুক্ত করা:
    • অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে খাল-নালা ও জলাশয় পুনরুদ্ধার করতে হবে। ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ প্যারিস ক্যানালের মতো ভরাট খাল পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১০০ কিলোমিটার খাল পরিষ্কারে ১০ কোটি টাকারও কম খরচ হয়েছে, যা আগে ১০০ কোটি টাকার বেশি ছিল।
    • জলাশয় রক্ষায় আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী বা বিশেষ টাস্কফোর্স ব্যবহার করা যেতে পারে।
  2. ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন:
    • ঢাকা ওয়াসার বিকল যন্ত্রপাতি মেরামত ও স্লুইসগেট সচল করতে হবে। নতুন ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক তৈরি এবং পুরনো ড্রেন সমতল করে নির্মাণ করতে হবে।
    • পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত পাম্পস্টেশন স্থাপন এবং তাদের সামনের জলাধার প্রশস্ত করতে হবে।
    • নালায় বর্জ্য ট্র্যাপ বা ছাঁকনি স্থাপন করতে হবে, যাতে পলিথিন ও কঠিন বর্জ্য প্রবেশ করতে না পারে।
  3. সবুজায়ন ও উন্মুক্ত স্থান বৃদ্ধি:
    • শহরে ৪০% উন্মুক্ত জায়গা নিশ্চিত করতে হবে। মাটি ও গাছপালা বৃষ্টির পানি শোষণ করতে পারে, তাই সবুজায়ন বাড়াতে হবে। মোহাম্মদ এজাজ মিরপুর পল্লবীতে কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
    • রুফটপ গার্ডেনের জন্য ৫% ট্যাক্স ছাড়ের উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
  4. জনসচেতনতা বৃদ্ধি:
    • নাগরিকদের ময়লা-আবর্জনা নালায় না ফেলার জন্য সচেতন করতে হবে। জনসচেতনতা ক্যাম্পেইন, স্কুলে শিক্ষা, এবং মিডিয়ার মাধ্যমে এটি করা যায়।
    • বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রোগ্রাম চালু করা যেতে পারে।
  5. সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়:
    • ডিএনসিসি, ডিএসসিসি, ঢাকা ওয়াসা, রাজউক, এবং অন্যান্য সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ তৈরি করে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন তদারকি করা যেতে পারে।
  6. দীর্ঘমেয়াদি ও প্রযুক্তিগত সমাধান:
    • স্পঞ্জ সিটি মডেল: চীনের স্পঞ্জ সিটি ধারণা গ্রহণ করা যেতে পারে, যেখানে শহরের পানি শোষণ ও নিষ্কাশন ক্ষমতা বাড়ানো হয়। এতে পারমেবল পেভমেন্ট, রেইন গার্ডেন, এবং জলাশয় পুনরুদ্ধার জড়িত।
    • স্বল্প, মধ্য, এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, হাতিরঝিল প্রকল্প কিছুটা সফল হলেও এর প্রভাব সীমিত। নতুন প্রকল্পে জলাশয় সংরক্ষণ ও খাল পুনরুদ্ধারে জোর দিতে হবে।
  7. জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা:
    • জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিবৃষ্টি মোকাবিলায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার ক্ষমতা বাড়াতে হবে। মোহাম্মদ এজাজ প্যারিসে “পার্টনারশিপ ফর হেলথি সিটি সামিট”-এ ঋণের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক অনুদানের আহ্বান জানিয়েছেন, যা জলবায়ু প্রকল্পে ব্যবহার করা যেতে পারে।

জলাবদ্ধতার মূল কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ণ, খাল-জলাশয়ের দখল, এবং অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। মোহাম্মদ এজাজের উদ্যোগ (যেমন, খাল পরিষ্কার, সবুজায়ন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ) ইতিবাচক হলেও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সংস্থাগুলোর সমন্বয়, কঠোর আইন প্রয়োগ, এবং প্রযুক্তিগত সমাধান (যেমন, স্পঞ্জ সিটি) প্রয়োজন। জনসচেতনতা ও নাগরিক সহযোগিতাও অপরিহার্য।

চীনা ভাষা শিক্ষা

চিনা ভাষা (Chinese language) মূলত ম্যান্ডারিন ভাষার মাধ্যমেই বোঝানো হয়, যা ‘পুতংহুয়া’ নামেও পরিচিত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ কথা বলে এমন ভাষা, এবং চীনের পাশাপাশি তাইওয়ান ও সিঙ্গাপুরে সরকারিভাবে ব্যবহৃত হয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:

  1. টোনভিত্তিক ভাষা: মানে, এক শব্দের উচ্চারণ বদলালে অর্থ বদলে যায় (উদাহরণ: mā, má, mǎ, mà – চারটি ভিন্ন অর্থ হতে পারে)।

  2. চাইনিজ বর্ণমালা নেই: এখানে আছে চরিত্র (characters) – যেগুলো প্রতিটি শব্দের জন্য আলাদা হয়।

  3. ব্যাকরণ সহজ: ক্রিয়া রূপান্তরের ঝামেলা নেই (যেমন অতীত বা ভবিষ্যৎ বোঝাতে অতিরিক্ত ক্রিয়া লাগে না)।

  4. পিনইন (Pinyin): চাইনিজ শব্দের লাতিন হরফে লেখা রূপ – উচ্চারণ শেখার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।

Continue reading

বাংলাদেশের সংস্কৃতি

চাকমা, মারমা, ত্রিপুরার প্রধান উৎসব কি?

চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা—এই তিনটি প্রধান পার্বত্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব হলো:-

🌸 বৈসু-সাংগ্রাই-বিসিক (বা বিজু)

এই তিনটি নাম তিনটি জনগোষ্ঠীর ভাষায় একই উৎসবকে বোঝায়, যা সাধারণভাবে “বৈসাবি” নামেও পরিচিত।

জনগোষ্ঠী

উৎসবের নাম

চাকমা বৈসু
মারমা সাংগ্রাই
ত্রিপুরা বিসিক

🗓️ সময়:চৈত্র মাসের শেষ তিনদিন (১৩–১৫ এপ্রিল) বা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে।

🥳 বৈশিষ্ট্য:

  • পানির উৎসব (বিশেষ করে মারমা জনগোষ্ঠীর মধ্যে),
  • ফুল ও পিঠা উৎসব (চাকমাদের মধ্যে),
  • ধ্রুপদী নাচগান, ধর্মীয় আচার ও সামাজিক মিলনমেলা।

// ত্রিপুরার বিসিকে চাকমারা বৈসে চা খায়, মারমা সাংরাইয়ে পানি ছিটায় //

******************

মাত্রিতান্ত্রিক উপজাতি-

  • গারো – ময়মনসিং।
  • খাসিয়া – সিলেট (জৈন্তাপুর) । এদের গ্রামের নাম পুঞ্জি। মাচা বানিয়ে থাকে।

// গারো (গোরা) খাস (খাঁটি) মা//

দক্ষিণ এশিয়া

শ্রীলঙ্কার বানিজ্যিক রাজধানী – কলম্বো {Commerce},   প্রশাসনিক রাজধানী কোটে {কোট টাই পরে প্রশাসকরা অফিস করে}

পাকিস্তান কেন ১৪ আগষ্ট এবং ভারত ১৫ আগষ্ট স্বাধীন হওয়ার জন্য বেছে নিয়েছিল?

ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্ট নির্ধারণের অন্যতম কারণ ছিল লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ব্যক্তিগত পছন্দ। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৫ আগস্ট, ১৯৪৫ তারিখে জাপানের আত্মসমর্পণের দিনটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছিলেন এবং সেই দিনটিকেই ভারতের স্বাধীনতার দিন হিসেবে বেছে নেন।

লর্ড মাউন্টব্যাটেন, যিনি ভাইসরয় ছিলেন এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের তত্ত্বাবধান করছিলেন, তিনি দুটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চেয়েছিলেন। ১৪ই আগস্ট করাচিতে পাকিস্তানের ক্ষমতা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এবং ১৫ই আগস্ট দিল্লিতে ভারতের অনুষ্ঠানে তার উপস্থিত থাকার কথা ছিল।

১৪ই আগস্ট ছিল রমজান মাসের ২৭তম দিন, যা মুসলিমদের কাছে একটি পবিত্র রাত। তাই এই দিনটিকে পাকিস্তানের স্বাধীনতার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, ভারতীয় স্বাধীনতা আইন অনুসারে ১৫ই আগস্ট মধ্যরাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক সময় নির্ধারিত ছিল। সেই কারণে ভারত ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করে।

Continue reading