স্বাধীনতার সুখ
– রজনীকান্ত সেন
বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।”
স্বাধীনতার সুখ
– রজনীকান্ত সেন
বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।”
“Hold sway” মানে হলো —
👉 কারো বা কোনো কিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব বিস্তার করা।
🔹 ব্যবহার:
সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (Social Engineering) হলো এমন এক ধরনের প্রতারণা বা ছলচাতুরীর কৌশল, যার মাধ্যমে মানুষকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করে গোপন বা সংবেদনশীল তথ্য বের করে আনা হয়।
সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়াররা মানুষের আস্থার সুযোগ নিয়ে তাদের কাছ থেকে এমন কাজ করিয়ে নেয় বা তথ্য জেনে নেয়, যা তারা সাধারণত কাউকে বলতেন না।
সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং একধরনের মানবকেন্দ্রিক সাইবার হুমকি, যেখানে মানুষের মনোজগতই মূল লক্ষ্য।
******************
Science, Engineering, এবং Technology—এই তিনটি ক্ষেত্র একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত হলেও এদের মাঝে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। নিচে তা সহজভাবে তুলে ধরা হলো:
উদ্দেশ্য: প্রাকৃতিক জগৎ ও ঘটনাকে বোঝা।
কাজ:
পর্যবেক্ষণ
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
তত্ত্ব গঠন
ব্যাখ্যা প্রদান
উদাহরণ:
নিউটনের গতিসূত্র আবিষ্কার
পানির রাসায়নিক গঠন (H₂O)
উদ্দেশ্য: বিজ্ঞানের জ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করা বা কিছু তৈরি করা।
কাজ:
ডিজাইন করা
গঠন ও নির্মাণ
প্রয়োগে উপযোগী সমাধান বের করা
উদাহরণ:
ব্রিজ বা বিল্ডিং ডিজাইন করা
রকেট ইঞ্জিন তৈরি করা
উদ্দেশ্য: মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহারের উপযোগী যন্ত্র, পদ্ধতি বা সিস্টেম তৈরি করা।
কাজ:
নতুন যন্ত্রপাতি বা সফটওয়্যার তৈরি
বিদ্যমান প্রযুক্তিকে উন্নত করা
মানুষের দৈনন্দিন জীবন সহজ করা
উদাহরণ:
স্মার্টফোন
ইন্টারনেট
মোবাইল অ্যাপ
দিক | Science (বিজ্ঞান) | Engineering (প্রকৌশল) | Technology (প্রযুক্তি) |
---|---|---|---|
উদ্দেশ্য | বোঝা | সমাধান বের করা | ব্যবহার উপযোগী কিছু তৈরি করা |
ভিত্তি | তত্ত্ব ও গবেষণা | বিজ্ঞানের প্রয়োগ | প্রকৌশলের বাস্তব রূপ |
ফলাফল | জ্ঞান | ডিজাইন/মডেল | যন্ত্র/প্রযুক্তি |
উদাহরণ | মহাকর্ষের সূত্র | ব্রিজ নির্মাণ | গুগল ম্যাপ, মোবাইল, ল্যাপটপ |
বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন যে পোলিও রোগের জন্য একটি ভাইরাস দায়ী।
প্রকৌশলীরা সেই ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরি করলেন।
প্রযুক্তিবিদরা সেই ভ্যাকসিনটি সংরক্ষণ ও পরিবহন উপযোগী প্রযুক্তি তৈরি করলেন।
এটি একটি অগ্রিম জামানত, যা আমদানিকারক ব্যাংকে জমা রাখে এলসি খোলার জন্য।
সাধারণত পণ্যের মূল্যের ৩০%-৮০% পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এর মাধ্যমে ব্যাংক নিজেকে রক্ষা করে আমদানিকারকের ব্যর্থতার বিপরীতে।
এটি এমন একটি ইন্স্যুরেন্স যা যন্ত্রপাতি স্থাপন, সংযোগ ও কমিশনিং পর্বে সম্ভাব্য ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।
কভার করে:
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি (আগুন, বন্যা, ঝড় ইত্যাদি)
চুরি, দুর্ঘটনা
তৃতীয় পক্ষের ক্ষতি
প্রকল্পে বিলম্ব এবং সম্ভাব্য লাভ ক্ষতি
ঢাকার যানজট নিরসনের এখনই সুযোগ – করণীয় সংক্ষেপে
ঢাকার যানজট শুধু নাগরিকদের ভোগান্তি নয়, বরং অর্থনৈতিক ক্ষতিরও বড় কারণ। এর পেছনে মূল কারণ হলো ব্যক্তিগত গাড়ির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং অনুন্নত গণপরিবহনব্যবস্থা।
একটি বাসে যেখানে ৪০–৫০ জন যাত্রী পরিবহন হয়, সেখানে একই পরিমাণ রাস্তা দখল করে ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করে মাত্র ৪–৫ জন।
গণপরিবহনের মান খারাপ হওয়ায় মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির দিকেই ঝুঁকছে।
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো (উড়ালসড়ক, মেট্রোরেল ইত্যাদি) গণপরিবহন ভিত্তিক না হয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির সুবিধার দিকে বেশি ঝুঁকে গেছে।
২০০৭ সালে যানবাহনের গড় গতিবেগ ছিল ২১ কিমি/ঘণ্টা, বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৪.৮ কিমি/ঘণ্টায় (২০২২)।
ভালো মানের বাস চালু:
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, আরামদায়ক, নিরাপদ বাস চালু করতে হবে।
রংচটা, পুরাতন বাসগুলো বন্ধ করতে হবে।
বাস কোম্পানিভিত্তিক চালনা:
ব্যক্তি মালিকানার চুক্তিভিত্তিক বাস চালনার বদলে কোম্পানিভিত্তিক একক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।
এতে বাসের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, যত্রতত্র থামা বন্ধ হবে।
ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিরুৎসাহিত:
গাড়ির নিবন্ধন, পার্কিং ও জ্বালানি খরচ বাড়িয়ে সীমিত করতে হবে।
নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা যেতে পারে।
গণপরিবহনভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়ন:
শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য অবকাঠামো নির্মাণ না করে গণপরিবহন রুট ও ফিডার লাইন বাড়ানো।
***********************
Integrated Energy and Power Master Plan (IEPMP) 2023 হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, যার মাধ্যমে ২০৫০ সাল পর্যন্ত দেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কাঠামো উন্নয়ন, সরবরাহ নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং কার্বন নির্গমন হ্রাস নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নিচে IEPMP 2023-এ অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরা হলো:
নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা
জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা (Energy Security)
নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো
কার্বন নিঃসরণ ধীরে ধীরে হ্রাস করা (Low-carbon Transition)
বেসরকারি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে মিল রেখে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সম্প্রসারণ
২০৩০ সাল: ৪০,০০০ মেগাওয়াট
২০৪১ সাল: ৬০,০০০ মেগাওয়াট
২০৫০ সাল: ৮৫,০০০ মেগাওয়াট
যেখানে নবায়নযোগ্য শক্তির অংশ থাকবে ৩০% পর্যন্ত
২০৫০ সালের মধ্যে ৩০–৪০% বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য
সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি, বায়োমাস, হাইড্রো ও হাইব্রিড প্রযুক্তি প্রসারের ওপর গুরুত্ব
Floating solar, rooftop solar প্রজেক্ট উন্নয়ন
এলএনজি (LNG) আমদানির সক্ষমতা বৃদ্ধি
নতুন গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানো
২০৫০ সালের পর প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে হাইড্রোজেন ও নবায়নযোগ্য শক্তিতে স্থানান্তর
E-Mobility প্রসারে জাতীয় নীতিমালা
EV চার্জিং স্টেশন স্থাপন
ডিজেলচালিত পরিবহনের বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের প্রসার
কম-কার্বন নীতিমালা গ্রহণ
বিদ্যুৎকেন্দ্রে Clean Coal Technology ব্যবহার
Net Zero Emission লক্ষ্যে কাজ শুরু (বিশেষ করে ২০৭০ সালের মধ্যে)
বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় Smart Grid প্রযুক্তির ব্যবহার
Pre-paid ও Smart Metering সিস্টেম চালু ও বিস্তার
IPP (Independent Power Producers) অংশগ্রহণ
Energy efficiency projects–এ বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ
IEPMP 2023 বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী পরিকল্পনা যা:
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে
নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার ঘটাবে
কার্বনমুক্ত ভবিষ্যতের ভিত্তি রচনা করবে
স্মার্ট প্রযুক্তি ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় অগ্রসর করবে
***************************
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০”–এর আওতায় স্বাক্ষরিত সব চুক্তি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চুক্তি পর্যালোচনার জন্য ৫ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে
এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্ট বিচারপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম চৌধুরী
কমিটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২০১০ সালের বিশেষ আইনের অধীনে করা সব চুক্তি যাচাই-বাছাই করবে
২০১০ সালে তৎকালীন সরকার বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে চুক্তি করতে এই আইন প্রণয়ন করে
এই আইনে সরকারি ক্রয় বিধি এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া এড়িয়ে সরাসরি চুক্তি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল
এ আইন অনুযায়ী চুক্তির বিষয়ে আইনগত দায়মুক্তি দেওয়া হয়, অর্থাৎ কোনো আদালতে মামলা করা যায় না
অনেক চুক্তি দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কেনার বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে
একাধিক প্রতিষ্ঠানকে কাজ না করেও ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে
বিভিন্ন পক্ষের অভিযোগ: দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বচ্ছতার অভাব
২০২৩ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে অতিরিক্ত চুক্তি করা হয়েছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ গ্রহণ না করেও টাকা দিতে হচ্ছে
****************
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আইকিউ এআর বাতাসের গুণগতমান পর্যবেক্ষণ করে।
ইনডেক্স ১৫০ এর বেশি হলে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। ইন্ডেক্স ৩০০ এর উপরে গেলে সেটাকে দুর্যোগপূর্ণ / hazardous হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজ সকালে ঢাকার স্কোর ছিল ৩৩৫।
ঢাকা > লাহোর > দিল্লি।
কারনঃ –
যানবাহন, কলকারখানা, ইট ভাটা, নির্মাণ কাজের ধুলাবালি
বর্তমানে জ্বালানি সংকটের মূল কারণ হলো ডলার সংকট।
দেশের ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৬০ শতাংশই আমদানিকৃত।
দেশে জ্বালানি ব্যবহারের দুটি বড়খাত হলো বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহন।
যানবাহনকে ইলেকট্রিক গাড়িতে প্রতিস্থাপন করতে পারলে খরচ এবং বায়ু দূষণ কমবে।
গরমকাল গ্যাস থেকে আমরা প্রায় সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি এর জন্য প্রায় ২৩ ০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হয়।
তেল দিয়ে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করি।
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তাবনা
-গ্যাসের পরে সবচেয়ে কম খরচ হল কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সেক্ষেত্রে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো সার্বক্ষণিক চালু রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
-চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো বাদ দিতে হবে.
অথবা ক্যাপাসিটি সার্জের পরিবর্তে নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট নীতিতে চুক্তি করা যেতে পারে
।
-দোকানপাট মার্কেট রাত আটটার পরে বন্ধ করার নীতি আরো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
-সকালে অফিস এর সময় আরো একঘন্টা এগিয়ে আনা যেতে পারে। প্রয়োজনে গ্রীষ্মের ওষুধ খেলে ভিন্ন অফিস সময় প্রবর্তন করা যেতে পারে। এমনকি স্ট্যাগার্ড করেও দেওয়া যেতে পারে।
–নিউক্লিয়ার ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের সমন্বয়ে গ্রিন এনার্জি দিকে যেতে হবে।
-গ্রিডের সক্ষমতা বাড়াতে হবে স্মার্ট গ্রিড গড়ে তুলতে হবে।
********************
Energy Transition (এনার্জি ট্রানজিশন) বলতে বোঝানো হয়—
👉 জীবাশ্ম জ্বালানি (যেমন: কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস) নির্ভরতা কমিয়ে
👉 নবায়নযোগ্য জ্বালানি (যেমন: সৌর, বায়ু, জলবিদ্যুৎ, জিওথার্মাল, বায়োমাস) ব্যবহারের দিকে ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া।
কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমানো
পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশেষ করে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে।
সৌর প্যানেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন
বৈদ্যুতিক গাড়ি (EV) চালু করা
গ্রিডে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ বাড়ানো
২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে
সোলার হোম সিস্টেম, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প, ও অফগ্রিড বিদ্যুৎ উৎপাদন এর অংশ
সামাজিক সমস্যা | ব্যাখ্যা |
---|---|
১. দারিদ্র্য (Poverty) | প্রায় ১৮.৭% মানুষ এখনো জাতীয় দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। |
২. বেকারত্ব (Unemployment) | বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা (প্রায় ৪%)। |
৩. লিঙ্গ বৈষম্য (Gender Inequality) | গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২২ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ১৪৬টি দেশের মধ্যে ১২৯তম। |
৪. শিশুশ্রম (Child Labor) | প্রায় ১৭ লক্ষ শিশু শ্রমে নিয়োজিত (বিভিন্ন উৎস অনুসারে)। |
৫. নিরক্ষরতা (Illiteracy) | প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ৭৪.৩%, তবে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। |
৬. বাল্যবিবাহ (Early Marriage) | ১৮ বছরের আগেই ২১.৮% মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায় (UNICEF, 2021)। |
৭. নারীর প্রতি সহিংসতা (Violence Against Women) | প্রতি তিনজনের একজন নারী ঘরোয়া সহিংসতার শিকার হন (BBS, 2015)। |
৮. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব (Climate Change Impact) | সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা মানুষের জীবনধারায় প্রভাব ফেলে। |
৯. নিরাপদ খাদ্যের অভাব (Lack of Safe Food) | খাদ্য নিরাপত্তা বেড়েছে, তবে খাবারের গুণগতমান এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ (FAO)। |
১০. স্বাস্থ্যসেবা ও স্যানিটেশন সমস্যার বিস্তার | দরিদ্র এলাকায় চিকিৎসা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা এখনো দুর্বল। |
ধরন | ব্যাখ্যা |
---|---|
Absolute Poverty | যাদের দৈনিক আয় $1.90 এর নিচে; খাদ্য, পানীয়, বাসস্থান ও বস্ত্রের অভাব। |
Relative Poverty | সমাজের গড় আয়ের তুলনায় কম আয়; সমাজে বৈষম্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। |
গভীর সমুদ্র বন্দর এমন এক ধরনের বন্দর যা ৩০ ফুট বা তার বেশি গভীরতায় নির্মিত হয়, যাতে ভারি ও বৃহৎ জাহাজ চলাচল করতে পারে।
*******************
**************************
Moral, Value, এবং Ethics — এই তিনটি শব্দ প্রায়ই একসাথে ব্যবহৃত হলেও এগুলোর মধ্যে সূক্ষ্ম কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। নিচে সেগুলোর পার্থক্য সহজভাবে তুলে ধরা হলো:
বিষয় | Moral (নৈতিকতা) | Value (মূল্যবোধ) | Ethics (নৈতিক নীতি) |
---|---|---|---|
🔹 সংজ্ঞা | ব্যক্তির ভালো-মন্দ, সঠিক-ভুলের প্রতি বিশ্বাস | ব্যক্তি বা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাস বা নীতিমালা | ভালো-মন্দ নির্ধারণে প্রতিষ্ঠিত নীতি ও নিয়ম |
🔹 উৎস | ব্যক্তিগত চেতনা ও পারিবারিক শিক্ষা | সংস্কৃতি, ধর্ম, সমাজ ও অভিজ্ঞতা | সমাজ, পেশা বা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক নিয়ম |
🔹 উদ্দেশ্য | সঠিক আচরণে অনুপ্রাণিত করা | জীবনে কী গুরুত্বপূর্ণ তা নির্ধারণ | মানবিক, পেশাগত বা সামাজিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সহায়তা |
🔹 ব্যপ্তি | ব্যক্তিকেন্দ্রিক (আমি কী ঠিক মনে করি) | ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের | নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আচরণের গাইডলাইন |
🔹 উদাহরণ | মিথ্যা বলা উচিত নয় | সততা, শ্রদ্ধা, সহানুভূতি | একজন চিকিৎসক গোপনীয়তা রক্ষা করবেন |
Moral → আমি কী মনে করি ভালো বা খারাপ।
Value → আমি বা সমাজ কী গুরুত্বপূর্ণ মনে করি।
Ethics → নির্দিষ্ট নিয়ম বা নীতি যা আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
🎯 উদাহরণ দিয়ে বলা:
একজন চিকিৎসকের value হলো “জীবন বাঁচানো”,
তার moral বলছে, “রোগীকে সর্বোচ্চ যত্ন দেওয়া উচিত”,
আর ethics অনুযায়ী, তিনি রোগীর অনুমতি ছাড়া তথ্য প্রকাশ করতে পারবেন না।
এইভাবে তিনটির ভূমিকা একে অপরের পরিপূরক হলেও, দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রয়োগ ভিন্ন।
*************************************
Governance, Good Governance, এবং Bad Governance — এই তিনটি ধারণা শাসনব্যবস্থার গুণগত দিক ও কার্যকারিতার সঙ্গে জড়িত। নিচে সহজভাবে এদের পার্থক্য তুলে ধরা হলো:
বিষয় | Governance (শাসনব্যবস্থা) | Good Governance (সুশাসন) | Bad Governance (দুর্ব্যবস্থা / কুশাসন) |
---|---|---|---|
🔹 সংজ্ঞা | কোনো রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের পরিচালনার প্রক্রিয়া | জনগণের অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতাভিত্তিক শাসন | শাসনের এমন প্রক্রিয়া যেখানে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম বিদ্যমান |
🔹 লক্ষ্য | নিয়মতান্ত্রিকভাবে শাসন চালানো | ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা | ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনগণের স্বার্থ উপেক্ষা |
🔹 বৈশিষ্ট্য | নীতি নির্ধারণ, আইন প্রণয়ন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি | স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন, অংশগ্রহণ, দক্ষতা, সমতা | দুর্নীতি, পক্ষপাতিত্ব, অব্যবস্থাপনা, অবিচার, জবাবদিহিতার অভাব |
🔹 উদাহরণ | সরকার, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার প্রশাসনিক কাঠামো ও চালনা | দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, সেবা সহজপ্রাপ্যতা, মানবাধিকার রক্ষা | ঘুষ, অনিয়ম, বিচারহীনতা, সেবার অনুপলব্ধতা |
Governance → শাসনের সামগ্রিক প্রক্রিয়া (যথা আইন, প্রশাসন, নীতি)।
Good Governance → জনগণের কল্যাণে দক্ষ, স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক শাসন।
Bad Governance → জনগণের দুর্ভোগ বাড়ানো, দুর্নীতিপূর্ণ ও জবাবদিহিতাহীন শাসন।
📌 উদাহরণ দিয়ে বলা:
একটি দেশে আইন আছে, প্রশাসন চলছে — এটা Governance।
যদি সেই প্রশাসন জনগণের সমস্যা শুনে দ্রুত সমাধান দেয়, সেটা Good Governance।
আর যদি ঘুষ ছাড়া কাজ না হয়, সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার না পায়, তবে সেটা Bad Governance।
বিষয় | Concessional Loan (সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ) | Unconcessional Loan (বাজারমূল্য ঋণ) |
---|---|---|
সুদের হার | কম | তুলনামূলক বেশি |
শর্ত | সহজ, দীর্ঘ সময়, গ্রেস পিরিয়ডসহ | কঠিন, সময় সীমিত |
উৎস | বিশ্বব্যাংক, ADB, উন্নয়ন সংস্থা | বাণিজ্যিক ব্যাংক বা প্রাইভেট লেন্ডার |
উদাহরণ (বাংলাদেশ) | বিশ্বব্যাংক থেকে শিক্ষাখাতে ঋণ | বেসরকারি ব্যবসার স্বল্পমেয়াদি ঋণ |
মূল লক্ষ্য | টেকসই উন্নয়ন ও প্রকল্প সহায়তা | তাৎক্ষণিক অর্থায়ন বা বিনিয়োগ |
মূল পার্থক্য:
Concessional loan হলো সাহায্য সহযোগিতাসহ ঋণ, আর Unconcessional loan বাজারের নিয়মে পাওয়া ঋণ।
বিষয় | Supplier Credit (সরবরাহকারী ঋণ) | Buyer Credit (ক্রেতা ঋণ) |
---|---|---|
কে ঋণ দেয়? | রপ্তানিকারক (seller/exporter) | বিদেশি ব্যাংক |
অর্থ পরিশোধ | ক্রেতা সময় নিয়ে পরে পরিশোধ করে | ব্যাংক আগেই অর্থ দেয়, ক্রেতা ব্যাংককে শোধ করে |
রপ্তানিকারকের ঝুঁকি | বেশি (ক্রেতা পরিশোধ না করলে সমস্যা) | কম (ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পায়) |
উদাহরণ (বাংলাদেশ) | বাংলাদেশি কোম্পানি বিদেশে মাল পাঠিয়ে পরে টাকা পায় | বাংলাদেশি কোম্পানি বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মাল কেনে |
***************
🔸 মূল সিদ্ধান্ত: এখন থেকে আমদানি দায় পরিশোধে চীনা মুদ্রা ইউয়ান (CNY) ব্যবহার করা যাবে।
জিডিপি (২০২৩): $460 বিলিয়ন (আইএমএফ অনুযায়ী)
বিশ্ব র্যাংকিং: ৩৫তম
বিষয় | তথ্য |
---|---|
মোট আমদানি (2022–23) | $75 বিলিয়ন (পূর্বে $80B) |
প্রধান আমদানি পণ্য | খাদ্যপণ্য, শিল্প যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য |
সবচেয়ে বড় উৎস দেশ | চীন – $20B (প্রায় ২৫% আমদানি) |
২য় স্থান | ভারত – $13B |
পশ্চিমা দেশ থেকে | কম পরিমাণে, তবে উন্নত প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি আসে |
দেশ / অঞ্চল | রপ্তানি আয় (2021–22) | মন্তব্য |
---|---|---|
যুক্তরাষ্ট্র | $14B | সর্বোচ্চ রপ্তানি গন্তব্য |
ইউরোপীয় ইউনিয়ন | $25B (সমষ্টিগত) | সবচেয়ে বড় রপ্তানি জোট |
চীন | খুব কম | ৯৭% পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকলেও রপ্তানি কম |
মোট রপ্তানি | $52B |
🔹 পশ্চিমের সাথে: বাণিজ্য ভারসাম্য বাংলাদেশের পক্ষে
🔹 চীন-ভারতের সাথে: ভারসাম্য বাংলাদেশের বিপক্ষে (আমদানি বেশি, রপ্তানি কম)
দেশ | বিনিয়োগ অবস্থা (২০২৩ পর্যন্ত) |
---|---|
যুক্তরাষ্ট্র | সর্বোচ্চ বিনিয়োগ |
যুক্তরাজ্য | ২য় |
জাপান | উল্লেখযোগ্য |
চীন | পিছিয়ে |
ভারত | আরও কম |
🔹 মোট এফডিআই (2023 জুন পর্যন্ত): প্রায় $2.5 বিলিয়ন
****************
বিষয় | বর্ণনা |
---|---|
উদ্ভাবক | কার্ল মার্ক্স (Karl Marx) |
প্রকৃতি | এটি একটি দার্শনিক ও অর্থনৈতিক তত্ত্ব |
মূল ধারণা | সমাজ পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি হলো শ্রেণি সংগ্রাম (class struggle) |
লক্ষ্য | পুঁজিবাদ ধ্বংস করে একসময় কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা |
গুরুত্ব | এটি একটি রোডম্যাপ বা পথনির্দেশ — কিভাবে পুঁজিবাদী সমাজ ধীরে ধীরে সমাজতন্ত্র হয়ে পরে কমিউনিজমে পরিণত হবে |
বিষয় | বর্ণনা |
---|---|
সম্পত্তির মালিকানা | ব্যক্তিগত মালিকানা সীমিতভাবে থাকে (ব্যক্তিগত সম্পত্তি থাকতে পারে), কিন্তু বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা সেবা খাত রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকে |
সরকারের ভূমিকা | অর্থনীতিতে গভীর হস্তক্ষেপ থাকে, সরকার পরিকল্পনা করে |
লক্ষ্য | ধনী-গরিবের ব্যবধান কমিয়ে সমতা প্রতিষ্ঠা |
উদাহরণ | সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড — এরা সমাজকল্যাণমূলক সমাজতন্ত্র অনুসরণ করে |
মূলনীতি | “From each according to his ability, to each according to his work.” |
বিষয় | বর্ণনা |
---|---|
সম্পত্তির মালিকানা | সবকিছু জনগণের যৌথ মালিকানায় থাকে, ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে না |
সরকারের ভূমিকা | রাষ্ট্র সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে (অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক জীবন ইত্যাদি) |
লক্ষ্য | শ্রেণিবিহীন সমাজ গঠন, যেখানে সবাই সমান |
উদাহরণ | সোভিয়েত ইউনিয়ন, কিউবা, উত্তর কোরিয়া (চেষ্টা করা হয়েছিল) |
মূলনীতি | “From each according to his ability, to each according to his need.” |
দিক | Marxism | Socialism | Communism |
---|---|---|---|
প্রকার | তত্ত্ব (Theory) | একটি ব্যবস্থা (System) | চূড়ান্ত লক্ষ্য (Goal) |
ব্যক্তিগত সম্পত্তি | বিশ্লেষণ করে | সীমিতভাবে অনুমোদিত | সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ |
সরকারের ভূমিকা | বিশ্লেষণ করে | অর্থনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা | পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ |
শ্রেণিব্যবস্থা | শ্রেণি সংগ্রাম বোঝায় | শ্রেণি কমানোর চেষ্টা | শ্রেণিবিহীন সমাজ |
উদাহরণ | Karl Marx-এর লেখা ও বিশ্লেষণ | স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশসমূহ | সোভিয়েত ইউনিয়ন, কিউবা |
Marxism → তাত্ত্বিক রূপরেখা
Socialism → পথে প্রথম ধাপ
Communism → চূড়ান্ত গন্তব্য
✳️ Marxism gives the idea, Socialism is the path, and Communism is the destination.
***********************
Bill of Entry বা “বিল অব এন্ট্রি” হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ শুল্কসংক্রান্ত দলিল, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি আমদানি বা রপ্তানিকৃত পণ্যের তথ্য ঘোষণা করতে ব্যবহৃত হয় এবং সংশ্লিষ্ট দেশের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়।
সংজ্ঞা:
Bill of Entry একটি কাস্টমস ডিক্লারেশন ফর্ম, যা আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক কর্তৃক কাস্টমস অফিসে দাখিল করা হয়—পণ্যের প্রকৃতি, পরিমাণ, মূল্য, উৎপত্তি ইত্যাদি জানাতে।
প্রয়োজনীয়তা:
শুল্ক ও কর নির্ধারণে সহায়তা করে
কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের জন্য বাধ্যতামূলক
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিসংখ্যান তৈরিতে সহায়ক
আইনগত ও নিয়ন্ত্রক অনুগততা নিশ্চিত করে
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
আমদানিকারক/রপ্তানিকারকের তথ্য | নাম, ঠিকানা, যোগাযোগ |
পণ্যের বিবরণ | পরিমাণ, ওজন, বর্ণনা, পণ্যের ধরন |
ট্যারিফ শ্রেণিবিন্যাস | HS কোড (Harmonized System code) |
চালান মূল্য | ইনভয়েস অনুযায়ী ঘোষিত মূল্য |
পরিবহণ মাধ্যম | সমুদ্রপথ, আকাশপথ, স্থলপথ ইত্যাদি |
উৎপত্তি দেশ | পণ্যের উৎপত্তিস্থল |
অন্যান্য তথ্য | প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ছাড়পত্র ইত্যাদি |
✅ Customs Clearance – পণ্য ছাড়ের প্রক্রিয়া দ্রুততর করা
📊 Trade Statistics – বাণিজ্য পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণে সহায়তা
📜 Regulatory Compliance – শুল্ক ও বাণিজ্য আইন মানা নিশ্চিত করা
ধরন | ব্যবহার |
---|---|
Import Bill of Entry | কোনো পণ্য আমদানি করার সময় ব্যবহৃত |
Export Bill of Entry | রপ্তানির সময় ব্যবহৃত |
Transit Bill of Entry | কোনো দেশ দিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার পথে ব্যবহৃত (ট্রানজিট পণ্য) |
বিল অব এন্ট্রি ভুল হলে বা সময়মতো দাখিল না করলে জরিমানা বা শুল্ক ছাড়ে বিলম্ব হতে পারে।
প্রতিটি দেশের কাস্টমস রুল অনুযায়ী ফরম্যাট বা প্রক্রিয়ায় কিছু ভিন্নতা থাকতে পারে।
******************
Circular Economy বা বৃত্তাকার অর্থনীতি হলো একটি টেকসই অর্থনৈতিক মডেল, যার মূল লক্ষ্য হলো— বর্জ্য কমানো, সম্পদের পুনঃব্যবহার এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার নিশ্চিত করা।
এটি প্রচলিত লিনিয়ার মডেল (নাও – তৈরি করো – ফেলে দাও) এর বিপরীতে একটি চক্রাকার পদ্ধতি, যেখানে পণ্য ও উপকরণ বারবার ব্যবহার, মেরামত এবং পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পদের অপচয় রোধ করা হয়।
Reduce, Reuse, Recycle – কম ব্যবহার, পুনঃব্যবহার ও পুনঃচক্রায়ন।
Renewable Energy – নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার।
Durable Product Design – মেরামতযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী পণ্যের নকশা।
Shared Economy – পণ্য ভাগাভাগি করে ব্যবহার (যেমন: ride sharing, tool library)।
🌍 পরিবেশগত: দূষণ ও বর্জ্য হ্রাস করে, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করে।
💼 অর্থনৈতিক: নতুন চাকরি ও শিল্পক্ষেত্রের সৃষ্টি।
👥 সামাজিক: স্বাস্থ্য ও জীবনের মান উন্নয়ন।
পুনর্ব্যবহারযোগ্য বোতল ও প্যাকেজিং
ইলেকট্রনিক পণ্যের মেরামত ও পুনঃবিক্রয়
কম্পোস্টিং ও বায়োগ্যাস উৎপাদন
সোলার বা উইন্ড এনার্জি ব্যবহার
Circular Economy পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী এবং ভবিষ্যৎ-নির্ভর একটি অর্থনৈতিক মডেল, যা বর্জ্যহীন সমাজ গঠনের দিকে আমাদের এগিয়ে নেয়।
**************************
রেপো রেট, রিভার্স রেপো ও ব্যাংক হার: সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
🔹 রেপো রেট (Repo Rate) / নীতি সুদহার:
এই হারেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকগুলিকে স্বল্পমেয়াদে ঋণ দেয়।
👉 উদ্দেশ্য: অর্থনীতিতে নগদ অর্থ (তারল্য) সরবরাহ বাড়ানো।
👉 হার কমালে ঋণপ্রবাহ বাড়ে, হার বাড়ালে কমে।
🔹 রিভার্স রেপো রেট (Reverse Repo Rate):
তফসিলি ব্যাংকগুলো যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অতিরিক্ত টাকা রাখে, তখন সেই আমানতের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে সুদ দেয় – সেটিই রিভার্স রেপো।
👉 উদ্দেশ্য: বাজার থেকে অতিরিক্ত তারল্য তুলে নেওয়া।
🔹 ব্যাংক হার (Bank Rate):
এটি হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে দীর্ঘমেয়াদে ঋণ দেওয়ার হার।
👉 বাংলাদেশ ব্যাংক মাসিক ভিত্তিতে এটি নির্ধারণ করে।
👉 বর্তমান হার: ৮% (বাংলাদেশে)
🔚 সারাংশ:
রেপো ও ব্যাংক হার বাড়ালে অর্থ সরবরাহ কমে (মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক)।
কমালে অর্থ সরবরাহ বাড়ে (অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক)।
রিভার্স রেপো রেট মূলত অতিরিক্ত নগদ টানার জন্য ব্যবহৃত হয়।
***********************
থ্রি জিরো থিওরি বা তিন শূন্য তত্ত্ব
🔹 প্রবর্তক: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস
🔹 মূল উপাদান (৩টি লক্ষ্য):
শূন্য দারিদ্র্য (Zero Poverty)
শূন্য বেকারত্ব (Zero Unemployment)
শূন্য কার্বন নিঃসরণ (Zero Net Carbon Emission)
🔹 লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজন:
তারুণ্য – উদ্যমী ও সৃজনশীল তরুণ প্রজন্ম
প্রযুক্তি – উদ্ভাবনী সমাধান ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার
সুশাসন – ন্যায্যতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা
সামাজিক ব্যবসা (Social Business) – মুনাফার পরিবর্তে সমস্যার সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়া ব্যবসা
🔹 ড. ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি:
তিনি মনে করেন বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা দারিদ্র্য সৃষ্টি করে, আর এই ব্যবস্থার কাঠামো পরিবর্তন ছাড়া টেকসই সমাধান সম্ভব নয়।
তাঁর মতে,
“আমরা জন্মেছি সমস্যা সমাধানের জন্য, কারও অধীনে চাকরি
আধুনিক ভূ-রাজনৈতিক পরিভাষায় “Neo-Colonial Resistant” বলতে বোঝানো হয় এমন রাষ্ট্র বা শক্তিকে, যারা আধুনিক উপনিবেশবাদী প্রভাব, বিশেষত পশ্চিমা শক্তির সামরিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। এই প্রেক্ষাপটে ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যে এমন একটি প্রতিরোধ শক্তি (resistance actor) হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। Continue reading
(আসল নাম: Convention on the Law of the Non-Navigational Uses of International Watercourses)
এটি আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য ও যুক্তিসংগত ব্যবহার, পরিবেশ সংরক্ষণ, এবং অন্য দেশের ক্ষতি না করা– এমন কিছু মূলনীতি নির্ধারণ করে।
ভাটির দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় এটি কার্যকর রক্ষাকবচ, কারণ এটি বলছে—
🔹 সব দেশ পানি ভাগ করবে ন্যায্যতা ও যৌক্তিকতার ভিত্তিতে,
🔹 নদীর বাস্তুতন্ত্রের প্রয়োজনীয় পানিও সংরক্ষিত রাখতে হবে,
🔹 কোনো দেশ এমন ব্যবহার করতে পারবে না যাতে ভাটির দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
➡️ দুঃখজনকভাবে, বাংলাদেশ এখনো এটি অনুসমর্থন (ratify) করেনি।
********************
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন এবং সেই সফরের সময় তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। বাংলাদেশে তখন আশাবাদী পরিবেশ তৈরি হয়েছিল যে বহু প্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তি এবার স্বাক্ষরিত হবে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ মুহূর্তে সফরে না এসে চুক্তির বিরোধিতা করেন।
তিনি দাবি করেন—
🔸 পশ্চিমবঙ্গে নিজেই পানির সংকট রয়েছে।
🔸 তিস্তা থেকে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিলে রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
চুক্তিটি বাতিল হয় বা স্থগিত থাকে।
মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় তিস্তার চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়ায় বাংলাদেশে হতাশা তৈরি হয়।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়।
**********************
পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার এর মধ্যে পৌঁছালে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়।
বিপদসীমা অতিক্রম করলে তা বন্যা হিসেবে গণ্য হয়।
বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কতা ব্যবস্থার বড় অংশ নির্ভর করে উজান থেকে ভারতের নদীর পানির আগমন ও তথ্য বিনিময়ের উপর।
*************************
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আইকিউ এআর বাতাসের গুণগতমান পর্যবেক্ষণ করে।
ইনডেক্স ১৫০ এর বেশি হলে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। ইন্ডেক্স ৩০০ এর উপরে গেলে সেটাকে দুর্যোগপূর্ণ / hazardous হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজ সকালে ঢাকার স্কোর ছিল ৩৩৫।
ঢাকা > লাহোর > দিল্লি।
কারনঃ –
যানবাহন, কলকারখানা, ইট ভাটা, নির্মাণ কাজের ধুলাবালি
************************************************************
Water Rights এবং Water Justice– এই দুটি ধারণা সম্পর্কিত হলেও ভিন্ন। নিচে সহজভাবে পার্থক্যটি তুলে ধরা হলো:
🔸 অর্থ:
জলাধিকার হলো ব্যক্তির, গোষ্ঠীর বা দেশের আইনগত বা নৈতিক অধিকার যাতে তারা পানি ব্যবহার করতে পারে।
🔸 বৈশিষ্ট্য:
🔸 উদাহরণ:
🔸 অর্থ:
জলবিচার হলো সবার জন্য ন্যায্য, টেকসই ও নিরাপদ পানির প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।
🔸 বৈশিষ্ট্য:
🔸 উদাহরণ:
দিক | Water Rights (জলাধিকার) | Water Justice (জলবিচার) |
---|---|---|
ভিত্তি | আইনগত বা ঐতিহাসিক অধিকার | নৈতিকতা, সমতা ও মানবাধিকার |
ফোকাস | ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধিকার | সবার ন্যায্য পানি প্রাপ্তি |
লক্ষ্য | নির্দিষ্ট অধিকার রক্ষা | সামাজিক ও পরিবেশগত ন্যায্যতা নিশ্চিত |
দৃষ্টিভঙ্গি | স্বত্বাধিকার-ভিত্তিক (ownership-based) | অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি |
Water Rights বলছে “আমি পানি পাওয়ার অধিকার রাখি”, আর Water Justice বলছে “সবাই যেন ন্যায্যভাবে পানি পায়”।
এজন্য একটি টেকসই ও ন্যায়ভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনায় দুইটি ধারণাই গুরুত্বপূর্ণ।
***************
***************
ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ভারতের একটি বৃহৎ বাঁধ, যা বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কলকাতা বন্দরের নৌচলাচল বজায় রাখা ও পলি অপসারণ ছিল এর মূল উদ্দেশ্য। তবে বাঁধটির বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশসহ বিহার ও পশ্চিমবঙ্গেও পড়েছে।
১. বিহার:
নদীতে পলি জমার ফলে বন্যার প্রকোপ বেড়েছে।
নদীতীরবর্তী এলাকায় ভূমি ধস ও বাস্তুচ্যুতি হয়েছে।
২. পশ্চিমবঙ্গ:
কৃষি ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়ক।
কলকাতা শহরের পানির সরবরাহে অবদান রাখে।
তবে অতিরিক্ত পলি অপসারণ করতে না পারায় সমস্যাও রয়ে গেছে।
৩. বাংলাদেশ:
গঙ্গার পানি প্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে লবণাক্ততা বেড়েছে।
হিলসা মাছের প্রজনন ব্যাহত ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।
নৌচলাচল ও কৃষিকাজ ব্যাহত হয়।
কূটনৈতিক আলোচনা: ১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও বাস্তবায়নের জোরালো পদক্ষেপ।
পরিবেশগত পুনরুদ্ধার: বনায়ন, জলাভূমি সংরক্ষণ ও নদী খনন।
বিকল্প পানির উৎস: জলাশয়, খাল, ও প্রযুক্তিনির্ভর পানির ব্যবহার।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে চুক্তি পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগ।
ড্যাপ বা “বিসদ অঞ্চল পরিকল্পনা” (Detailed Area Plan) হচ্ছে রাজউকের অধীন ঢাকার উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ। এটি ২০২২–২০৩৫ সময়কাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে।
এটির আওতায় ঢাকা মহানগর ও আশপাশের ১,৫০০ বর্গকিমি এলাকা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
চ্যালেঞ্জ | বিস্তারিত |
---|---|
বৈষম্য | এলাকা ভিত্তিক FAR-এর অসম বণ্টন |
অস্পষ্টতা | অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের সুযোগ |
আর্থিক প্রভাব | ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধি, আবাসন খাত ক্ষতিগ্রস্ত |
পরিবেশ | জলাশয় ও খাল ভরাটের ঝুঁকি |
**************************
**************************
ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা: সমস্যা, কারণ ও সমাধান
ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা একটি দীর্ঘস্থায়ী ও প্রকট সমস্যা, যা বর্ষাকালে নগরবাসীর জীবনযাত্রা, যাতায়াত, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
গত ৯ বছরে ৩,৪৮৩ একর জলাশয় ও নিচু জমি ভরাট হয়েছে।
১৯২৪ সালে পুরান ঢাকায় ১২০টি পুকুর থাকলেও এখন মাত্র ২০টি রয়েছে।
খালের সংখ্যা ২২টিতে এসে ঠেকেছে; এগুলোর অধিকাংশই সংকুচিত ও কার্যত মৃত।
খাল ও নদী (যেমন বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা) দখল ও দূষণের শিকার।
ড্রেন ও নালায় পলিথিন, প্লাস্টিকসহ কঠিন বর্জ্য জমে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকার ড্রেনেজ পরিচালনায় ৭টি সংস্থা থাকলেও সমন্বয়হীনতা প্রকট।
ওয়াসার ৮০% যন্ত্র বিকল, ৫৫টি স্লুইসগেটের মধ্যে ৩৭টি অচল।
গুরুত্বপূর্ণ পাম্পস্টেশন (যেমন কল্যাণপুর) জলাধার সংকোচনের কারণে অকার্যকর।
ঢাকার অনেক স্থানে উচ্চ থেকে নিচু এলাকায় পানি গড়িয়ে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
ড্রেন নির্মাণে তলদেশ সমান না থাকায় পানি জমে থাকে।
শহরে মাত্র ১৮% উন্মুক্ত স্থান রয়েছে, যা আদর্শ মান (৪০%) থেকে অনেক কম।
মানুষ নালা ও রাস্তায় ময়লা ফেলে পানির প্রবাহ ব্যাহত করে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি অসচেতনতা সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে।
বৃষ্টিপাতের হার বেড়েছে। যেমন, ২০২১ সালে একদিনে ১৩৩ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।
প্রচণ্ড বৃষ্টিতে বিদ্যমান ড্রেনেজ সিস্টেম অপ্রতুল হয়ে পড়ে।
নদী-খালে শিল্পবর্জ্য, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটার দূষণ পানির প্রবাহ ও গুণমান নষ্ট করে।
অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে প্রাকৃতিক জলাধার পুনঃস্থাপন।
সেনাবাহিনী বা বিশেষ টাস্কফোর্স দিয়ে অভিযান পরিচালনার পরামর্শ।
ওয়াসার যন্ত্রপাতি ও স্লুইসগেট সংস্কার।
নতুন ড্রেনেজ লাইন ও পাম্পস্টেশন স্থাপন।
নালায় বর্জ্য ছাঁকনি (waste trap) বসানো।
শহরের ৪০% এলাকা উন্মুক্ত রাখতে উদ্যোগ।
রুফটপ গার্ডেনে ট্যাক্স ছাড়।
কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু গাছ লাগানোর মতো উদ্যোগ।
ময়লা নালায় না ফেলার জন্য প্রচারণা।
স্কুল, মিডিয়া ও কমিউনিটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া।
ডিএনসিসি, ডিএসসিসি, রাজউক, ওয়াসা প্রভৃতি সংস্থার সমন্বয় বাড়ানো।
কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (Central Control Room) গঠন।
স্পঞ্জ সিটি মডেল: পারমেবল রাস্তা, রেইন গার্ডেন, জলাধার সংরক্ষণ।
জলাবদ্ধতা প্রতিরোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ।
জলবায়ু প্রকল্পে আন্তর্জাতিক অনুদান আহ্বান (যেমন, প্যারিস সামিটে মোহাম্মদ এজাজের প্রস্তাব)।